অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

সতর্কতা

সতর্কতা

  • ১) স্পন্ডিলোসিস অথবা স্লিপ ডিস্ক রোগে সামনে ঝোঁকা আসন যথা — পশ্চিমোত্তানাসন, জানুশিরাসন, পদহস্তাসন, শশঙ্গাসন, অর্ধকূর্মাসন, যোগমুদ্রা প্রভৃতি অভ্যাস করা অনুচিত।
  • ২) হাই ব্লাডপ্রেসার রোগীর মাথা ঝোঁকানো আসন যথা — শীর্ষাসন, পদহস্তাসন, শশঙ্গাসন, হলাসন, মত্স্যাসন ও ময়ূরাসন, উড্ডীয়ান, কপালভাতি প্রভৃতি করা নিষেধ।
  • ৩) হার্নিয়া পেটের অভ্যন্তরীণ চাপ বৃদ্ধি পায় এমন আসন যথা — ধনুরাসন, ময়ূরাসন, যোগমুদ্রা প্রভৃতি না করাই ভালো।
  • ৪) গ্যাসট্রিক আলসারে উড্ডীয়ান, যোগমুদ্রা, কপালভাতি, ময়ূরাসন, পশ্চিমোত্তানাসনও করবেন না। এমনকী কোন কোন ক্ষেত্রে পবনমুক্তাসনও চলবে না।
  • ৫) প্রতিটি আসনের পর শবাসন করা বাঞ্ছনীয়। যত বার যতক্ষণ আসন করবেন ঠিক তত বার তত ক্ষণ সময় শবাসনে বিশ্রাম নেবেন। শবাসনেই প্রকৃত আসনের ফল পাওয়া যায়।
  • ৬) মেয়েদের মাসিকের সময় চার পাঁচ দিন কোনও আসন চলবে না।
  • ৭) অন্ত:সত্ত্বা অবস্থায় পেটে চাপ পড়ে এমন যোগাসন অভ্যাস করা নিষেধ। ন্যাটালব্যায়াম ও প্রাণায়াম করা যেতে পারে।
  • ৮) ক্যানসার, রক্তক্ষরণ (হেমোরাইজিক ডায়োথেসিস), টিবি এবং হেপাটাইটিস প্রভৃতি রোগে যোগভ্যাস নিষিদ্ধ।
  • ৯) চোখের কয়েকটি রোগের কথা — রেটিনাইটিস, অপটিক নার্ভ অ্যাট্রফি, গ্লুকোমা ইত্যাদিতে শীর্ষাসন প্রভৃতি মাথা ঝোঁকানো আসন করা নিষেধ।
  • ১০) রোগ অবস্থায় জ্বর নিয়ে বা অসুস্থ থাকাকালীন যোগাভ্যাস না করাই ভালো।
  • ১১) হার্টে বেদনা, ইস্কিমিয়া, করোনারি থ্রম্বোসিস প্রভৃতি রোগে বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ নিয়ে আসন প্রাণায়াম করা উচিত। যারা ব্রেনের কাজ করেন তাঁরা যোগাসন অভ্যাস করলে ভবিষ্যতে তাঁদের আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে না।
  • ১২) তিরিশের বেশি বয়সের লোকেদের অনুশীলনের শুরুতে শক্ত আসন করা উচিত নয়। ওয়ার্মিং ব্যায়াম করে তার পর করবেন।
  • ১৩) সর্বাঙ্গাসন, হলাসনের পর মত্স্যাসন বা উষ্ট্রাসন অবশ্য করণীয়।
  • ১৪) আসন অভ্যাস করার সময় মৌন থাকা উচিত।
  • ১৫) আসন করার পরই স্নান করা উচিত নয়। কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে স্নান করা ভালো। স্নান করার পর আসন করা যেতে পারে।
  • ১৬) শশঙ্গাসন, মত্স্যাসন, শীর্ষাসন প্রভৃতি মাথায় চাপ পড়ে এমন আসনসমূহ শক্ত জায়গায় করা উচিত নয়। তোষকের ওপর কিংবা মাটিতে কিছু পেতে নিয়ে আসন করা বিধেয়।
  • ১৭) আসন করার সময় শ্বাসপ্রশ্বাস সব সময় স্বাভাবিক থাকবে। কখনও বন্ধ রাখা যাবে না। মুদ্রা ও প্রাণায়ামের ক্ষেত্রে শ্বাসপ্রশ্বাসের বিশেষ নিয়ম আছে।
  • ১৮) ভরাপেটে যোগাসন করা উচিত নয়। দৈনিক পূর্ণ আহারের পর আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা এবং স্বল্প আহারের পর আধ ঘণ্টা পর যোগাসন করা বিধেয়।
  • ১৯) বয়স ও রোগ অনুযায়ী কোন কোন আসন করা দরকার তার জন্য অভিজ্ঞ শিক্ষক বা শিক্ষিকার পরামর্শ নেওয়া ভালো। কোনও যোগব্যায়াম কেন্দ্রে নিত্য গিয়ে শেখার অসুবিধা থাকলে প্রথম প্রথম কয়েকদিন শিখে তার পর বাড়িতেও করতে পারেন। তবে মাঝে মাঝে শিক্ষক বা শিক্ষিকার দ্বারা আসনগুলি ঠিক ভাবে করা হচ্ছে কি না দেখিয়ে নেওয়া ভাল।
  • ২০) সকাল ও বিকালে যোগব্যায়াম করার উত্তম সময়। যাঁরা অফিসে কাজ করেন তাঁরা রাত্রেও করতে পারেন। সকালবেলা টাটকা হাওয়া ও ধুলো, ধোঁয়ামুক্ত বিশুদ্ধ ঠান্ডা পরিবেশ থাকে বলে অনেকে সকালবেলা আসন করার উত্কৃষ্ট সময় মনে করেন। সারা দিনের পরিশ্রমের পর যোগব্যায়াম করলে শরীর সতেজ হয় এবং সমস্ত অবসাদ ক্লান্তি দূর হয়।
  • যাঁদের পক্ষে সারা দিন পরিশ্রমের পর নানা কাজের ব্যস্ততায় আসন করা হয়ে ওঠে না, তাঁরা ঘুম থেকে উঠে বিছানাতেই যোগাসন করে নেবেন।

  • ২১) দৈনিক সব আসন করা সম্ভব নয়। সাধারণের জন্য দৈনিক ছ’টি/সাতটি আসন চার্ট অনুযায়ী করতে পারেন। আর যাঁরা যোগাসন অভ্যাসে অধিক অগ্রসর, তাঁদের কথা অবশ্য স্বতন্ত্র।
  • কোমরে ও ঘাড়ে ব্যথা থাকলে সামনে ঝোঁকা, দৌড়ানো, লাফানো, ঝাঁপানো, ভারী জিনিস তোলা বারণ। হাঁটুতে ব্যাথা থাকলে মাটিতে বসবেন না।

সূত্র : যোগসন্দর্শন, ডা. দিব্যসুন্দর দাস

সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/6/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate