শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমের স্বামী সেবানন্দ জানালেন, ‘বর্তমানে হাসপাতালে কুড়িটি শয্যা রয়েছে। ২ জন আবাসিক চিকিৎসক রয়েছেন। এ ছাড়াও ২ জন চিকিৎসক প্রতি দিন হাসপাতালের রোগী দেখেন। চার জন স্বাস্থ্যকর্মী আছেন। এ ছাড়া সপ্তাহে প্রায় প্রতি দিনই আউটডোরে নানা সমস্যার চিকিৎসা চলে। আউটডোরে দেখানোর জন্য দশ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়।’ একটি বাঁশ পাতা রঙের কাগজে মোড়া অঙ্কের খাতার মতো পাতলা একটা খাতা দেওয়া হয়। যাতে ডাক্তারবাবুরা রোগী দেখার পর ওষুধ লিখে দেন। হাসপাতালেই ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রায় ২৫ শতাংশ কম দামে ওষুধ মেলে। এর পাশাপাশি ইসিজি, এক্সরে, ছোটখাটো রক্তপরীক্ষা হয়। তবে বড় মাপের কিছু পরীক্ষা কলকাতা থেকে কম খরচে করিয়ে আনার ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে প্রতি মাসের শেষ শনিবার হাসপাতালের ছবিটা পাল্টে যায়। সে দিন কলকাতা থেকে নামী-দামি ডাক্তারবাবুরা আসেন। তাই ওই দিন ভিড়ও হয় একটু বেশি। দূর-দূরান্ত থেকে গ্রামের মানুষরা আসেন। ওষুধও দেওয়া হয় বিনামূল্যে। হাসপাতালেরই এক স্বাস্থ্যকর্মী জানালেন, ‘কলকাতার দামি হাসপাতাল থেকে ব্যস্ত চিকিৎসকদের এই স্বাস্থ্য শিবিরে আনার প্রধান কারিগর হলেন ডাঃ সুব্রত মৈত্র।’ নাক-কান-গলা, স্ত্রীরোগ, নার্ভ, শিশু, মেডিসিন এই সব ক’টি বিভাগেই চিকিৎসকরা রোগী দেখতে আসেন। কখনও আবার হার্ট, ক্যান্সার ইত্যাদি বিশেষ রোগের চিকিৎসকরাও আসেন। স্বাস্থ্য শিবিরের পাশাপাশি চলে স্বাস্থ্য কর্মশালাও।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/2/2020