অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

মানবিকতার বোধ থেকেই অগ্রণী বলরামপুর

মানবিকতার বোধ থেকেই অগ্রণী বলরামপুর

ফল? কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নয়, পঞ্চায়েতের নির্দেশ নয়, বাইরের নেতৃত্ব নয়, স্রেফ মানবিকতার বোধ থেকেই এগিয়ে এসেছিল বলরামপুর। একে স্বামী মারা গিয়েছেন। শাশুড়ি ও এক মেয়েকে নিয়ে খুবই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই মহিলা। তার উপরে নিজের অসুখ। ওঁর কিছু আত্মীয়-পরিজন গ্রামেই থাকেন। সেই চন্দন দত্ত, শম্পা দত্তরা প্রথম থেকেই খেয়াল রাখছিলেন, যাতে ওঁর সঙ্গে আচার-আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা কারও মধ্যে প্রকাশ না পায়। এই শুভবুদ্ধিরই সংক্রমণ ছড়াল গ্রামে। এখন গ্রামবাসীরা সহজ সুরে বলেন, “অসুখ করেছে বলে গ্রামের বউকে তো আর পর করে দেওয়া যায় না!”

বধূ নিজেই বলছেন, এই তিন বছরে পুজো-পার্বণ থেকে শুরু করে সামাজিক অনুষ্ঠান, বাজারহাট থেকে রাস্তাঘাট কোথাওই তাঁকে বৈষম্যের শিকার হতে হয়নি। গ্রামের আর পাঁচ জন মেয়ে বন্যা-সীমা-বুলা-আনন্দময়ী দত্তেরা নিয়মিত তাঁর বাড়ি গিয়ে গল্পগুজব করে আসেন। কখন কী লাগবে, খোঁজ রাখেন। ওঁরা বলেন,  “রোগ তো ছোঁয়াচে নয়। আমরা তাই পুজো-পার্বণে যোগ দেওয়া, নিমন্ত্রণ বাড়িতে যাওয়া, সব এক সঙ্গেই করি।” অথচ হাতের কাছেই উদাহরণ রয়েছে, এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার ‘অপরাধে’ বর্ধমান শহরে এক পরিবারকে কুয়ো থেকে জল তুলতে বাধা দিতেন প্রতিবেশীরা। আর বলরামপুরের মুদি ব্যবসায়ী রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অসুস্থ বলে দোকানের জিনিস দেব না, তা কি হয়?” স্থানীয় বাসিন্দা শুভেন্দু দত্তর মনে হয়, “আমাদের ব্যবহারে উনি যাতে কষ্ট না পান, সেটা দেখা তো আমাদেরই দায়িত্ব।”

শুধু স্বাভাবিক মেলামেশাই নয় মহিলার সংসার চালানোর দায়িত্ব, চিকিৎসার খরচও গ্রামের মানুষ যখন যতটা পারেন জুগিয়েছেন। চাল-ডাল পাঠানোই হোক বা ওষুধপথ্য, সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন। বছর দুয়েক আগে মহিলার এক মাত্র মেয়ের বিয়ে গ্রামের লোকেরা দাঁড়িয়ে থেকে দিয়েছেন। গ্রামবাসীরা জানান, জামাইয়ের বাড়ি পাশের গ্রামে।  সবাই সব জানতেন। কিন্তু মেয়ের রক্তপরীক্ষা করে কিছু না মেলায় বিয়েতে আপত্তি করেননি।

৬ তারিখ যে প্রকাশ্য বৈঠকে মহিলা নিজের সমস্যার কথা বললেন, তার পিছনেও গ্রামবাসীদেরই প্রেরণা। মহিলা বলছেন, “গ্রামের মানুষ পাশে আছেন বলেই তো প্রশাসনের কর্তাদের হাতের কাছে পেয়ে সব কথা বললাম।”

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, ১১।১২।১৪

সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/20/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate