মারণ রোগের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর প্রাণ বাঁচল নবজাতকের।
দিল্লির এক হাসপাতালে কয়েক দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর সোয়াইন ফ্লুয়ে আক্রান্ত মায়ের জঠর থেকে সম্প্রতি ভূমিষ্ঠ হল রোগমুক্ত সন্তান। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সুস্থ আছে সদ্যোজাত। দ্রুত সেরে উঠছেন মা-ও।
গত ২৫ জানুয়ারি ২৮ বছরের ওই মহিলাকে দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তখন তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের বয়স সাত মাস। চিকিৎসকেরা জানান, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি এক্স-রে করে দেখা যায়, বাইল্যাটারাল নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত তিনি। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ আশঙ্কাজনক ভাবে কমে যাওয়ায় কৃত্রিম ভাবে ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। সেই পরিস্থিতিতে গর্ভস্থ শিশুকে বাঁচিয়ে রাখা ক্রমশই কঠিন হয়ে পড়েছিল। চিকিৎসক অরূপ বসুর কথায়, “আমরা বুঝতেই পারছিলাম না, মা ও শিশু দু’জনের প্রাণ কী ভাবে বাঁচাব। ভ্রূণের বৃদ্ধি তখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে শিশুটিকে ভূমিষ্ঠ করানোও সম্ভব ছিল না। এ দিকে, মায়ের শরীরের অবস্থা যে ভাবে খারাপ হচ্ছিল, তাতে গর্ভেই বাচ্চাটির মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা ছিল।”
অবশেষে চিকিৎসকদের একটি কমিটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়, মা ও শিশু দু’জনকে বাঁচাতে হলে সেই অবস্থাতেই অস্ত্রোপচার করে শিশুটিকে ভূমিষ্ঠ করাতে হবে। সেই মতো, ওই মহিলাকে বিশেষ কিছু ওষুধ দিয়ে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। ২৯ জানুয়ারি, ভূমিষ্ঠ হয় সন্তান। তবে ফুসফুসে সংক্রমণের জন্য আপাতত বিশেষ ভাবে শুশ্রূষা করানো হচ্ছে শিশুটির।
চিকিৎসকেরা জানান, সেই সময় তাঁদের সামনে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মায়ের প্রাণ বাঁচানো। তবে ওষুধপত্র ও যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁর দেহে অক্সিজেন সরবরাহ করে সে যাত্রায় প্রাণসংশয় কাটে। বর্তমানে মা ও শিশু দু’জনেই সেরে উঠছে।
সূত্র : সংবাদ সংস্থা, আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/14/2020