আব বা টিউমার সদৃশ কোষগুলোর প্রকৃতির ভিত্তিতে কর্কট রোগ (ক্যান্সার) নিম্নলিখিত বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে:
কার্সিনোমা : এপিথেলিয়াল কোষ থেকে উদ্ভূত ক্যান্সার ''কার্সিনোমাস ক্যান্সার'' নামে পরিচিত। এই প্রকারের ক্যান্সার সবচেয়ে পরিচিত ক্যান্সার, বিশেষত: বয়স্ক মানুষদের মধ্যে এটি বেশী মাত্রায় দেখা যায়। কার্সিনোমা মূলত: স্তন, প্রোস্টেট (মূত্রস্থলীর গ্রীবা সংলগ্ন গ্রন্থিবিশেষ), ফুসফুস,অগ্ন্যাশয় ও মলাশয়ে (কোলন) ঘটে থাকে।
সারকোমা : এই ধরণের ক্যান্সার ''যোজক কলা'' (কানেক্টিভ টিস্যু) থেকে উদ্ভত (যেমন, হাড়, তরুণাস্থি, চর্বি, স্নায়ু)। অস্থি মজ্জার বাইরে মেসেনকাইমাল কোষে এটি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়।
লিম্ফোমা ও লিউকোমিয়া : ক্যান্সারের এই দুটো ভাগ হেমাটোপোইটিক (রক্ত গঠনের) কোষ থেকে বেড়ে ওঠে এবং যথাক্রমে মজ্জা (ম্যারো ) ছেড়ে লিম্ফ নোডে (গ্রন্থিতে) প্রায় পূর্ণতা প্রাপ্ত হতে থাকে। শিশুদের মধ্যে লিউকোমিয়া ক্যান্সার সবচেয়ে বেশী দেখা যায়।
জার্ম সেল টিউমার : এটি প্লুরিপোটেন্ট কোষ থেকে উদ্ভূত এক প্রকার ক্যান্সার (এ ক্ষেত্রে এই প্রারম্ভিক কোষের
ব্লাস্টমা : এই প্রকারের ক্যান্সার 'প্রিকার্সার' ("অগ্রদূত") কোষ বা আদিম কলা (এমব্রায়নিক টিস্যু) থেকে উদ্ভূত হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মধ্যে বেশী পরিমাণে এটি দেখা যায়।
সুত্রঃ এন এইচ পি
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/21/2020