ডাঃ রত্নাবলী চক্রবর্তী নিজের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে বলেন, কয়েকটি ক্ষেত্রে বয়স্কদের চেয়ে ছোটরা, বিশেষ করে স্কুলের ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। স্কুলের বাচ্চাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচতনতা যাতে আরও বাড়ানো যায় সে দিকে জোর দিতে হবে।
ডাঃ মধুছন্দা কর বলেন, ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনেঅনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। যে সব ক্যান্সার সারার নয় তার জন্য রেডিয়েশন থেরাপি বা পেইন ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থা এখন জেলা স্তরে করা যায়। অথচ সাধারণ মানুষ কিছু না জেনে রোগী নিয়ে বোম্বে ছোটেন। নন কমিউনিকেটিভ ডিজিজ সম্পর্কে সচেতনতা শিবির খুবই কম হয়। এ ব্যাপারে বিকাশপিডিয়ার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেওয়া উচিত।
ডাঃ শুভাশিস মিত্র বলেন, সমাজে চিকিৎসকরা ছাড়াও চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রচুর মোটিভেটর রয়েছেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সমাজের উপকার করছেন। সত্যিই যদি সাধারণ মানুষের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদান করতে হয় তা হলে এই সব মোটিভেটরদের কাজে লাগাতে হবে। যেমন এখনও বহু মানুষ গ্রামের কোয়াক ডাক্তারদের সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করেন। এই বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে তাদের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করতে হবে।
ডাঃ লাবণ্য মন্ডল বলেন, পোলিও রবিবারের প্রচার যথেষ্ট সদর্থক সাড়া ফেলেছে। সুতরাং স্বাস্থ্য পরিষেবায় প্রচারের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।
মুখ্য বক্তা ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, সার্বিক স্বাস্থ্য পরিষেবা সামাজিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি এবং প্র্যাকটিস এই দুটোর উপরই দাঁড়িয়ে আছে। ব্যক্তিগত স্তরে, সামাজিক স্তরে এবং গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় স্তরে এই দুই ভিত্তি নিয়ে কাজ করতে হবে। ফলে প্রচুর তথ্য দেওয়ার সুযোগ থেকে যাবে। দেখতে হবে সেই তথ্যগুলি যেন যুক্তিসঙ্গত, সর্বজনগ্রাহ্য ও নিরপেক্ষ হয়। আমাদের দেশের প্রধান অসুবিধা হল প্রাইমারি কেয়ারের ব্যাপারে চিকিৎসকদের নিজেদের মধ্যে কোনও সংযোগ নেই। গ্রামের কেউ আমার কাছে চিকিৎসা করানোর পর নতুন সাধারণ উপসর্গ দেখা দিলে গ্রামের চিকিৎসকদের কাছে যেতে পারেন না। তাঁরা আমার প্রেসক্রিপশন দেখে বলেন, আমরা কোনও ওষুধ দিতে পারব না। অথচ বিদেশে সব সময় চিকিৎসকদের মধ্যে সংযোগ থাকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জেনারেল ফিজিশিয়ানকে বলে দেন কী করতে হবে। তথ্য দেওয়ার সময় এই পারস্পরিক সংযোগের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
সভাপতি মাননীয় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায় বলেন, সব কাজ আমরা এক সঙ্গে করতে পারব না। তাই কোনও একটি জায়গা বেছে নিয়ে তথ্য প্রদান বা সচেতনতা গড়ার কাজ হাতেনাতে করা যেতে পারে। সচেতনতা বৃদ্ধিই সবচেয়ে বড় কথা। কোনও এলাকাকে ভিত্তি করে কী করে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করা যায় সে ব্যাপারে সবার পরামর্শ জরুরি। তা হলেই বিকাশপিডিয়ার উদ্যোগ সফল হবে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 10/15/2019