অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

ক্রিটিক্যাল কেয়ারে কোন রোগী , দায়িত্বে বিশেষজ্ঞরা

ক্রিটিক্যাল কেয়ারে কোন রোগী , দায়িত্বে বিশেষজ্ঞরা

চাহিদার তুলনায় জোগানে বিস্তর ফারাক৷ এক দিকে বেড বাড়ন্ত, অন্য দিকে সংকটজনক রোগীর লম্বা লাইন৷ এই অবস্থায় কোন রোগীর ক্রিটিক্যাল কেয়ার চিকিত্সা বেশি দরকার , তা বাছাই করতে বিশেষ আউটডোর খোলার ভাবনা শুরু হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে৷ সন্তাহে দু’ দিনের এই আউটডোরে রোগীরা যাবেন না৷ চিকিত্সা সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে হবে তাঁদের পরিজনকে৷ ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞরা ঠিক করবেন, কোন রোগীকে অবিলম্বে ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেডে স্থানান্তর করা দরকার৷ সেই মতো তৈরি হবে অগ্রাধিকারের তালিকা৷ ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এর (আইপিজিএমইআর ) অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র বলেন, ‘এই ধরনের একটি আউটডোর খোলার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে৷ ’

হাসপাতাল সূত্রে বলা হচ্ছে, ক্রিটিক্যাল কেয়ার নিয়ে চলতি পরিস্থিতির মোকাবিলাতেই এই ভাবনা নিয়ে এগোচ্ছেন কর্তৃপক্ষ৷ স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে৷ গোটা রাজ্যেই সরকারি হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ারের সুযোগ সীমিত৷ এসএসকেএম -এর মতো সুপার -স্পেশ্যালিটি হাসপাতালেও ৪৩টি আইটিইউ-সহ মাত্র ৭২টি ক্রিটিক্যাল কেয়ারের বেড রয়েছে৷ অন্যান্য হাসপাতালে সংখ্যাটা আরও কম৷ বেসরকারি হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেডের সংখ্যা অবশ্য মন্দ নয়৷ কিন্তু সেখানের খরচ সামলাতে হিমশিম খান অধিকাংশ রোগীর পরিবার৷ ফলে চিকিত্সার মাঝপথেই প্রায় দেউলিয়া হয়ে সরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হয় তারা৷ বাধ্য হয়ে তাই অনেক সময়ে বেড বণ্টন নিয়ে অনিয়মের পথে হাঁটতে হয় হাসপাতাল কর্তাদের৷ ফলে মৃত্যুপথযাত্রীর চিকিত্সাতেও আজকাল ‘কোটা রাজ’-এর পরিচিত দৃশ্য সেখানে৷ নেতা-মন্ত্রী-আমলাদের বায়না রাখতে গিয়ে অনেক সময়ই দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকা মরণাপন্ন রোগীকেও বঞ্চনা করতে বাধ্য হন কর্তারা৷ এর জেরে অকালমৃত্যুর নজিরও বিরল নয়৷ বিগত কয়েক মাস যাবত্ আবার সারদা কেলেঙ্কারিতে ধৃত নেতা-মন্ত্রীরা মাঝেমধ্যেই এসএসকেএম-এর ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেড দখল করছেন হয় চিকিত্সার কারণে অথবা সুরক্ষার দোহাই দিয়ে৷ এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল কর্তারা মনে করছেন, চিকিত্সার দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি দেখা হোক৷ সরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে এসএসকেএমেই তুলনামূলক ভাবে বেশি ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেড আছে৷ ফলে সেখানে অন্য হাসপাতাল থেকে রেফার হওয়া রোগীর ভিড় যেমন লেগে থাকে, তেমনই অভ্যন্তরীণ চাহিদাও কম নয়৷ এসএসকেএমে ভর্তি রয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে এমন অন্তত ২০ জন রোগীর ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেড দরকার হয়৷ এ ছাড়া উন্নত চিকিত্সার আশায় অনেকেই সরাসরি এসএসকেএমে যান৷ আর বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আসা রোগীর ভিড় তো লেগেই আছে৷ প্রস্তাবিত আউটডোরে চিকিত্সকেরা রোগীর তালিকা তৈরি করে দিলে চিকিত্সায় বঞ্চনার অভিযোগ এড়ানো সম্ভব হবে বলে আশাবাদী চিকিত্সক মহল৷ ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ সুশ্রীত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভালো উদ্যোগ৷ অনেক সময় বেসরকারি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে এমন অনেক রোগী ভর্তি থাকেন, যাদের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের বাইরেও চিকিত্সা সম্ভব৷ যথাযথ স্ক্রিনিং হলে সরকারি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেড অযথা ভর্তি হবে না৷ ’৷

সূত্র : মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য, এই সময়, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৫

সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate