আনুমানিক দেশের জনসংখ্যার ৬-৭ শতাংশ মানসিক রোগে ভুগছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের একটি রির্পোট (১৯৯৩) অনুযায়ী ডিজএবিলিটি অ্যাডজাস্টটেড লাইফ ইয়ার (ডিএএলআই)-এ যদি ব্যক্তিগত ভাবে ধরা হয়, স্নায়ু মানসিক রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ডায়েরিয়া, ম্যালেরিয়া এবং টিবিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্ব এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ শতাংশ। মনে করা হচ্ছে ২০২০ আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১৫ শতাংশে (বিশ্ব স্বাস্থ্য রিপোর্ট ২০০১)। চারটি পরিবারের মধ্যে একটি পরিবারে অন্তত এক জনের আচরণগত এবং মানসিক রোগ দেখা যাচ্ছে। এই পরিবারগুলিকে নানা সামাজিক নেতিবাচক প্রভাব এবং বৈষম্য সহ্য করতে হয়। এর ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসুস্থ ব্যক্তিরা চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় থেকে যায়। এই ধরনের অসুস্থতা সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে, চিকিৎসার এবং অন্যান্য সুবিধার লভ্যতা সম্পর্কে জ্ঞানের অভাবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ফাঁক থেকে যায়। ১৯৮২ সালে ভারত সরকার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মসূচির সূচনা করে। এর উদ্দেশ্য হল :
এনএমএইচপি-র অধীনে জেলা মানসিক স্বাস্থ্য কর্মসূচি (ডিস্ট্রিক মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রাম বা ডিএমএইচপি) নেওয়া হয় ১৯৯৬ সালে (নবম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায়)। এই ডিএমএইচপি তৈরি করা হয়েছে ‘বেলারি মেডেল’-এর উপর ভিত্তি করে। এর নিম্নলিখিত উপাদান রয়েছে :
১৯৯৬ সালে এই কর্মসূচি চালু হয় ৪ জেলায়। নবম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার শেষে এই কর্মসূচিকে ২৭ জেলায় বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়েছে।
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন : http://mohfw.nic.in/WriteReadData/l892s/9903463892NMHP%20detail.pdf
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020