ভারতে প্রতি বছর আনুমানিক ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই ধরণের ঘটনার নিরক্ষরতা, দারিদ্র্য ও নিচু স্তরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত চেতনাকে দায়ী করা যেতে পারে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয় সংগঠিত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের চিকিৎসা পরিষেবা না থাকায়। কিন্তু ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে এ ধরনের পুড়ে যাওয়া জনিত আঘাত প্রতিরোধযোগ্য। প্রাপ্ত সম্পদ ব্যবহার করে জাতীয় স্তরের উদ্যোগের মাধ্যমে নির্দিষ্ট মানের চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে এ ধরনের পুড়ে যাওয়া জনিত আঘাত প্রকোপ প্রতিরোধ সম্ভব। এই লক্ষ্য নিয়েই পোড়া সংক্রান্ত আঘাত প্রতিরোধের জন্য জাতীয় কর্মসূচি (এনপিপিবিআই) নেওয়া হয়েছে। এই জাতীয় কর্মসচির পুড়ে যাওয়া সংক্রান্ত আঘাতের ক্ষেত্রে সময়মতো চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে মৃত্যু প্রতিরোধ, পোড়া সংক্রান্ত জটিলতা এড়ানো এবং বেঁচে যাওয়া রোগীর পুনর্বাসন। এই কর্মসূচির আরও একটি লক্ষ্য হল পড়া সংক্রান্ত একটি কেন্দ্রীয় রেজিস্ট্রি তৈরি করা। বর্তমান পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এই কর্মসূচি রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চালু করা হয়েছে এবং কয়েকটি রাজ্যে তাদের সংলগ্ন জেলা হাসপাতালগুলিতে এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। পরবর্তী পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাগুলোতে আরও জেলা হাসপাতালগুলোতে এই পরিষেবা চালু করা হবে যাতে পোড়া সংক্রান্ত আঘাতের রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য শহরে ছুটে যেতে না হয়। এই কর্মসূচির তিনটি উপাদান আছে। সেগুলি হল যথাক্রমে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, আঘাত পরিচালনা ব্যবস্থা এবং পূনর্বাসন কর্মসূচি।
পুড়ে যাওয়া আঘাত প্রতিরোধে জাতীয় কর্মসূচির পথপ্রদর্শক নীতি নিম্নরূপ :
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন: http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3038407/
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019