ফ্লুরোসিস প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে জাতীয় কর্মসূচি (ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অফ ফ্লুরোসিস)

ফ্লরোসিস একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা। জল/খাদ্য বা শিল্প দূষণের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ফ্লোরাইড শরীরে প্রবেশ করলে ফ্লুরোসিস হয়। তবে এর মধ্যে ফ্লোরাইডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল জল। শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ফ্লোরাইড প্রবেশ করলে দাঁতে, হাড়ে এবং অ-অস্থিতে ফ্লুরোসিস হতে পারে।

দেশের ১৯ রাজ্যের ২৩০ জেলায় ফ্লুরোসিসের প্রকোপ দেখতে পাওয়া গেছে। ৬ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ ফ্লুরোসিসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং জনসংখ্যার প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। এটি সব বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে।

ফ্লুরোসিসের এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে ভারত সরকার শুরু করেছে, ফ্লুরোসিস প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য জাতীয় কর্মসূচি (এনপিপিসিএফ)। ২০০৮-০৯ সালে একাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে ১৭ রাজ্যের ১০০ জেলায় এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। ২০১৩-১৪ সালে দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এর বিস্তার ঘটিয়ে ৯০ জেলাকে যুক্ত করা হয়েছে।

লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য

এনপিপিসিএফ-এর লক্ষ্য হল দেশে ফ্লুরোসিসের প্রকোপ রোধ। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য নিম্নরূপ:

• প্রকল্প শুরুর জন্য জল সরবরাহ দফতরের তৃণমূলস্তরে তথ্য সংগ্রহ এবং মূল্যায়ন
• বাছাই করা এলাকায় ফ্লুরোসিসের বিস্তৃত ব্যবস্থাপনা
• ফ্লুরোসিস প্রতিরোধের জন্য দক্ষতা তৈরি, রোগ নির্ণয় এবং পরিচালনা

কৌশল

দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বিদ্যমান ১০০ জেলার বাইরে আরও ৯৫ জেলা এই কর্মসূচির বাস্তবায়ন হবে নিম্নলিখিত কর্ম কৌশলের মাধ্যমে :

• গোষ্ঠীর মধ্যে ফ্লুরোসিস সংক্রান্ত সমস্যার উপর নজরদারি
• প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানব সম্পদ তৈরি