এনপিসিডিসিএস-এর অধীনে প্রাপ্ত পরিষেবা

এনসিডি-র ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকির বিষয়গুলি হল, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত কলেস্টেরল, তামাক ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, বাড়াবাড়ি মদ্যপান এবং স্থূলতা। এগুলো সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই অধিকাংশ ক্যান্সার এবং সিভিডি প্রতিরোধ করা যায় যদি প্রাথমিক অবস্থাতেই তার চিকিৎসা হয়। দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার মধ্যে এসিডি প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণকে যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা দিতে হবে। বর্তমানে ক্লিনিক্যাল পরিষেবাও যথেষ্ট পরিমাণে সমৃদ্ধ নয় যাতে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্তরে প্রয়োজনীয় পরিষেবা দিতে পারে। অতএব, এনপিসিডিসিএস-এর অধীনে উপযুক্ত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে যাতে এনসিডি প্রতিরোধকে কার্যকর ভাবে বাস্তবায়িত করা যায়।

• ক) কার্ডিওভাসকুলার রোগ (সিভিডি), ডায়াবেটিস ও স্ট্রোক
• ১০০ জেলা হাসপাতালের প্রতিটিতে একটি করে কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট
• কার্ডিওভাসকুলার রোগ (সিভিডি), ডায়াবেটিস ও স্ট্রোক নির্ণয় ও ব্যবস্থাপনার জন্য ১০০ জেলা হাসপাতালে ও ৭০০ কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে (সিএইচসি) এনসিডি ক্লিনিক
• ১০০ জেলার প্রতিটি জেলা হাসপাতালে জীবনদায়ী ওষুধের প্রাপ্যতা বজায় রাখা
• ২০,০০০ উপ সেন্টারে সব বয়সের গর্ভবতী মহিলাদের এবং ৩০ বছরের বেশি বয়সিদের ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয়ে স্ক্রিনিং
• শয্যাশায়ীদের ক্ষেত্রে ১০০ জেলায় বাড়িতেই পরিষেবা প্রাপ্তির সুবিধা
• এনসিডি সংক্রান্ত কর্মসূচি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১০০ জেলা হাসপাতাল এবং ৭০০ সিএইচসি-র জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী ও সরঞ্জাম সরবরাহ
• খ) ক্যানসার :
• সাধারণ ডায়গনিস্টিক পরিষেবা, প্রাথমিক সার্জারি, কোমোথেরাপি এবং উপশমকারী পরিষেবার জন্য ১০০ জেলা হাসপাতালে ব্যবস্থা
• প্রতিটি জেলা হাসপাতালে কেমোথেরাপি ওষুধ সরবরাহ
• ১০০ জেলা হাসপাতালে ডে কেয়ার কেমোথেরাপির সুবিধা
• ১০০ জেলা হাসপাতালে ম্যামোগ্রাফি সহ অন্যান্য রোগ নির্ণয়কারী পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারের ব্যবস্থা
• দীর্ঘস্থায়ী, ক্ষতিকর এবং ক্রমশ বাড়তে থাকা ক্যানসার রোগীদের জন্য ১০০ জেলায় বাড়িতে বসে চিকিৎসা
• ১০০ জেলা হাসপাতালে প্রয়োজনীয় কর্মী ও সরঞ্জাম সরবরাহ
• ৬৫টি তৃতীয় স্তরের ক্যানসার সেন্টারকে শক্তিশালী করা

সূত্র : স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য