অর্টিজম, সেলিব্রাল পালসি, মানসিক প্রতিবন্ধী এবং একাধিক প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে আর্থিক ভাবে স্বর্নিভর করে তোলার জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
অরুনিম (অ্যাসোশিয়েশন ফর রিহ্যাবিলিটেশন আন্ডার ন্যাশনাল ট্রাস্ট ইনিশিয়েটিভ অফ মার্কেটিং) সামাজিক ন্যায় এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের বিধিবদ্ধ সংস্থা জাতীয় ট্রাস্টের অধীনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।
এটি স্কুলের জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্যে প্রাথমিক হস্তক্ষেপ। এই প্রকল্পে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বেড়ে ওঠা ০ থেকে ৬ বছর বয়সি শিশুদের মূলধারার বা বিশেষ স্কুলের জন্য তৈরি করা হয়।
কম খরচে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিভিন্ন সহায়ক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য সরকারের একটি উদ্যোগ হল এই প্রকল্প। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সামাজিক, অর্থনৈতিক ও বৃত্তিমূলক পুনর্বাসনের জন্য অপরিহার্য যে সব যন্ত্রপাতি, তা প্রদানের বিষয়টি গুরুত্ব পায় প্রতিবন্ধী (সম-সুযোগ, অধিকার রক্ষা এবং পুর্নঅংশগ্রহণ) আইন ১৯৯৫ তৈরি হওয়ায়। যা কার্যকর হয় ১৯৯৬ সালে।
ন্যাশনাল হ্যান্ডিক্যাপড ফিনান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (এনএইচএফডিসি) গঠন করেছে সামাজিক ন্যায় এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রক। কোম্পানি আইন ১৯৫৬ অনুযায়ী এটি গঠন করা হয় একটি অলাভজনক সংস্থা হিসাবে। সম্পূর্ণ সরকারের মালিকাধীনে এই সংস্থাটি শেয়ার মূলধন ৪০০ কোটি টাকা।
নানা প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত প্রতিবন্ধীর বাবা-মায়ের প্রায়শই চিন্তা থাকে তাঁদের সন্তানের কী হবে।
স্কুল পরবর্তী কর্মসংস্থান ভিত্তিক কোর্সের জন্য বৃত্তিমূলক প্রকল্প। এই প্রকল্পে ৭০০ টাকা করে মাসিক হিসাবে এক বছরের জন্য বৃত্তি দেওয়া হয়। স্কুলে পড়েছে বা স্কুল নেয়নি, উভয়কেই এই প্রকল্পে বৃত্তি দেওয়া হয়।
এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল প্রত্যন্ত জেলাগুলিতে জাতীয় ট্রাস্টের কর্মসূচিকে পৌঁছে দেওয়া। এই প্রকল্পে মূল সংগঠন সহ প্রত্যন্ত এলাকায় এনজিও তৈরির জন্য অর্থ দেওয়া হয়।
এটি একটি স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প। দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী ব্যক্তি এবং জাতীয় ট্রাস্ট্রের অধীনে চারটি প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এই স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
এটি কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তা নির্ভর প্রকল্প (সিবিএস)। এই প্রকল্পের সূচনা হয় ২০০৫ সালে।
বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সাহায্যকারীর প্রশিক্ষণ এবং উন্নয়নের জন্য এটি একটি নতুন এবং পুনর্গঠিত প্রকল্প।