২০১৪ সালে ২৫ ডিসেম্বর মিশন ইন্দ্রধনুষ প্রকল্পটি চালু করে ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রক। ২০০৯-২০১৩ সালের মধ্যে যত জনকে টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় আনা গেছে সেই সংখ্যা ৬১ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ গড়ে বৃদ্ধির হার প্রতি বছরে এক শতাংশ। এই টিকা প্রদানের কাজকে আরও বিস্তৃত করতে প্রতি বছর পাঁচ শতাংশ করে বাড়তি হারে শিশুদের টিকা প্রদানের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে যাতে সমস্ত শিশুকে টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা যায় তার জন্য মিশন ইন্দ্রধনুষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
মিশন ইন্দ্রধনুষ সাতরঙা রামধনুর নামান্তর। যার লক্ষ্য হল, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, টিটেনাস, পোলিও, টিবি, হাম এবং হেপাটাইটিস-বি, এই সাতটি অসুখ প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে যে শিশুরা টিকাবিহীন অবস্থায় রয়েছে বা আংশিক টিকা পেয়েছে তাদের সকলকে ২০২০ সালের মধ্যে টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসা।
প্রথম দফায় ২০১ অতি গুরুত্বপূর্ণ জেলা, যেখানে প্রায় ৫০ শতাংশ শিশুকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি বা আংশিক দেওয়া হয়েছে, তাদের টিকা প্রদান। এই জেলাগুলিতে নিবিড় উদ্যোগের মাধ্যমে টিকাকরণের কর্মসূচি রূপায়িত হবে। ২০১ বিশেষ জেলার মধ্যে ৮২টি জেলাই চারটি রাজ্যে। এই রাজ্যগুলি হল উত্তরপ্র্দেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান। টিকা না নেওয়া বা আংশিক টিকা নেওয়া শিশুদের ২৫ শতাংশ রয়েছে এই রাজ্যগুলির ৮২টি জেলায়।
সুসংগঠিত ভাবে প্রচারের মাধ্যমে টিকাকরণ কর্মসূচির বাইরে থাকা বা আংশিক টিকা নেওয়া শিশুদের টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় আনা সরকারের লক্ষ্য। ২০১৫-এর জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে মিশন ইন্দ্রধনুষের আওতায় টিকাকরণ সংক্রান্ত চারটি বিশেষ প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পোলিও কর্মসূচি বাস্তবায়নের থেকে শিক্ষা নিয়ে মিশন ইন্দ্রধনুষের প্রয়োগ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম দফায় ২০১ জেলায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। দ্বিতীয় দফায় ২০১৫-এর মধ্যে ২৯৭ জেলাকে এর আওতায় আনার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মন্ত্রককে সহায়তা করছে হু, ইউনিসেফ, রোটারি ইন্টারন্যাশনাল এবং অন্যান্য দাতা অংশীদার। গণমাধ্যম, পারস্পরিক যোগাযোগ এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন এই মিশন ইন্দ্রধনুষ কর্মসূচির অন্যতম মূল উপাদান।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020