প্র: কী ভাবে কাজ শুরু করেছিল এই ‘মাল্টিডিসিপ্লনারি এক্সপার্ট গ্রুপ’?
ডাঃ সুব্রত মৈত্র: ২০১২ সালে এই গ্রুপটি তৈরি হওয়ার পর প্রথমে আমরা রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কী অবস্থায় রয়েছে সরেজমিনে দেখার জন্য একটি দল তৈরি করে বেরিয়ে পড়ি। কলকাতা শহরের মেডিক্যাল কলেজগুলো থেকে শুরু হয় আমাদের এই তদন্ত-অনুসন্ধান। তার পর ধাপে ধাপে জেলা হাসপাতাল এবং ব্লক স্তরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোও আমরা ঘুরে দেখি। নাগরাকাটা থেকে শুরু করে জঙ্গলমহল সর্বত্র এই দল ঘুরেছে। প্রায় দেড় বছর ধরে এই তদন্ত-অনুসন্ধান করে তার উপর ভিত্তি করে আমরা একটি রিপোর্ট তৈরি করে জমা দিই। এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে কিছু পরামর্শও দেওয়া হয়।
প্রঃ কী পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল?
ডাঃ সুব্রত মৈত্র: মখ্যমন্ত্রী চাইছিলেন হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসার উপর প্রাথমিক ভাবে জোর দিতে। সেই ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে ওই বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী পরামর্শ দেয় কলেজ হাসপাতালগুলোতে জরুরি পর্যবেক্ষণ বিভাগ চালু করতে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসা রোগীকে চিকিৎসার পর জরুরি পযর্বেক্ষণ বিভাগের বেডে রাখা হবে। আটচল্লিশ ঘণ্টা পর্যন্ত পর্যবক্ষণের পর তাকে প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য বিভাগের বেডে পাঠানো হবে। ইতিমধ্যে এসএসকেএম-এ ২৪, মেডিক্যাল কলেজে-এ ১৬ এবং এনআরএসে ২৪ বেড সহ জরুরি পযর্বেক্ষণ বিভাগ চালু করা হয়েছে। লক্ষ্য রয়েছে জেলা হাসপাতালগুলোতে ন্যূনতম ৮ বেড এবং ছোটোখাটো জরুরি অবস্থায় চিকিৎসার জন্য গ্রামীণ হাসপাতালগুলোতে ৪ বেড সহ জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা চালু করার। আগামী এক বছরের মধ্যে এগুলি চালু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রঃ জেলার রোগীর চাপ সামলাতে কলকাতার হাসপাতালগুলোর হিমসিম অবস্থা। এ নিয়ে বিষেশজ্ঞ গোষ্টীর কি কিছু পরিকল্পনা রয়েছে?
ডাঃ সুব্রত মৈত্র: কলকাতার হাসপাতাগুলোতে আউটডোরে রোগীর প্রতি দিনই চাপ মারাত্মক রকমের বেশি থাকে। সেই চাপ সামলাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের রীতিমতো হিমশিম অবস্থা হয়। তাই পরিকল্পনা করা হয়েছে, হাসপাতালের প্যারাক্লিনিক্যাল বিভাগ (যেমন, ফিজিওলজি, অ্যানাটমি ইত্যাদি) থেকে দু’ থেকে তিন জনকে তুলে আনা হবে। এই ভাবে আউটডোরে আট থেকে দশ জন চিকিৎসক বাড়ানো সম্ভব হবে। কারণ প্যারাক্লিনিক্যাল বিভাগের প্রত্যেকেই তাঁদের পাঠক্রমে চিকিৎসাবিজ্ঞান পড়েছেন। তাই চিকিৎসা করতে তাঁদের খুব একটা সমস্যা হবে না। এর ফলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের উপর চাপ অনেকটা কমানো যাবে। তিনি আউটডোরে জটিল সমস্যাগুলির চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ দেবেন। এই প্রক্রিয়ায় খুব স্বাভাবিক ভাবে আটডোরের চাপ অনেকটা কমবে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020
রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে সস্তায় ওষুধ সরবরাহের...
গর্ভাবস্থায় কী ভাবে, কোন কোন ক্ষেত্রে শারীরিক পরীক...
রাজ্যের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগের আওতাধী...
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ভোর থেকেই ছুটে আসে...