জেলা পর্যায়ে শৌচাগার ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে ফারাক বা তারতম্য রয়েছে তা থেকেই কোনও অঞ্চলের বাড়িগুলির সংস্কার বা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। সুতরাং জেলা সীমানা বরাবর শৌচাগার ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্থান বা অবস্থানগত যে ফারাক রয়েছে তার মাপ বা পরিমাপের বিষয়টি কম বা বেশি মাত্রার হতে পারে। অন্য দিকে জেলা ভেদে রাজ্য পর্যায়ে শৌচাগারের চাহিদাপূরণের পার্থক্যটা সহজেই নজরে পড়ে। ভারতের বর্তমান প্রশাসনিক সীমানা তুলনামূলক ভাবে সাম্প্রতিক এবং তার পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাই বেশি। তাই শৌচাগার ব্যবহারের সংখ্যা বা মাত্রা সাংস্কৃতিক দিক থেকে বা চাহিদার তারতম্যের দিক থেকেই ব্যাখ্যা করা অপেক্ষাকৃত সহজ। যে সমস্ত নাগরিক রাজ্য ও জেলা পর্যায়ের সীমানা ছাড়িয়ে এর সঙ্গে যুক্ত তাদের নিরিখেই এই পরিমাপ সম্ভব।
পরিশেষে, শৌচাগার ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্থান ও অবস্থানগত যে বিভেদ তা থেকে কোন জেলায় কী রকম অগ্রগতি হয়েছে, সে সম্পর্কে প্রকৃত চিত্র ফুটে ওঠে। টিএসসি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যপুস্তক থেকে যা জানা গিয়েছে তা হল, জেলা পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সহায় সম্পদ বণ্টনের উপর শৌচাগারের চাহিদাপূরণ এবং তা ব্যবহারের বিষয়টি নির্ভরশীল। তবে কোনও জেলা সংশ্লিষ্ট নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের প্রচেষ্টা এবং এ সম্পর্কিত অভিযান জোরদার করে তোলার মাধ্যমে শৌচাগারের সংখ্যাবৃদ্ধির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে পারে। কোনও একটি জেলা এ ব্যাপারে উন্নয়নের নজির সৃষ্টি করলে তা থেকে উৎসাহিত হবে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জেলাগুলি। সন্নিহিত এবং নিকটবর্তী জেলাগুলির এই যে উন্নয়নের সম্পর্ক তা কোনও রাজ্যের সীমার মধ্যে আবদ্ধ থাকলে চলবে না। অন্য দিকে এ সম্পর্কিত নীতি রচয়িতারা পছন্দের দিক থেকে বেছে নেওয়া জেলাগুলির অনুকূলেই তাঁদের প্রচেষ্টা নিয়োজিত করতে পারেন বা প্রয়োজনীয় সহায়সম্পদের ব্যবস্থা করতে পারেন। সংক্ষেপে বলতে গেলে শৌচাগারের ব্যবহারের ক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ে যে ভেদ বা ফারাক দেখা যায় সে সম্পর্কে স্থান ও অবস্থানগত সম্পর্ক খতিয়ে দেখতে টিএসসি একটি যুক্তিসংগত বাস্তব প্রেক্ষাপট প্রস্তুত করে দিয়েছে।
সুত্রঃ যোজনা জানুয়ারী ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020