২০০৭-৮ আর্থিক বছরের জেলাভিত্তিক বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা (ডিএলএইচএস-৩) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জেলায় যে সমস্ত পরিবার শৌচাগারের ব্যবহার করে থাকে তাদের তুলনামূলক আলোচনা এই নিবন্ধের মূল বিষয়। মনে রাখতে হবে যে সমস্ত পরিবার শৌচাগার ব্যবহার করে না, তারা প্রাকৃতিক কাজকর্মের জন্য এমন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত যেখানে বর্জ্যের মজুত বা নিষ্কাশন পদ্ধতি অপর্যাপ্ত। নয়তো তারা উন্মুক্ত স্থানে এই সমস্ত কাজকর্ম করতে অভ্যস্ত।
আরও তিনটি পৃথক তথ্য সমৃদ্ধ সমীক্ষা প্রতিবেদন পাওয়া গিয়েছে, যাতে ২০০১ সালের জাতীয় জনগণনা কর্মসূচির সূত্রে প্রাপ্ত বিভিন্ন এলাকার জমির পরিমাণ এবং লোকবসতির ঘনত্ব সম্পর্কে পরিসংখ্যানের হদিস মিলেছে।
স্থান ও অবস্থানগত ভেদ বা ভিন্নতার কারণ বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে একটি বিষয় আমাদের বেছে নিতে হবে। আন্তঃজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নির্মাণ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্থান ও অবস্থানগত যে ফারাক রয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েও একটি জেলার সঙ্গে আর একটি জেলা এ ব্যাপারে কী ভাবে যুক্ত, তা চিহ্নিত করে ফেলতে হবে। এই পরীক্ষানিরীক্ষা বা অনুসন্ধানের কাজে ‘কুইন ওয়েটিং’ পদ্ধতিই সব চেয়ে উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছে। কারণ কোনও জেলার উপর নীতিনির্দিষ্ট এলাকা বা অঞ্চলের প্রতিবেশি অধিবাসীদের প্রভাব থাকতে বাধ্য। তারা সীমানা বরাবরই বাস করুক বা অন্য কোনও স্থানে তাদের মধ্যে যোগসূত্র ঘটুক, এই সম্ভাবনা থাকবেই। একের সঙ্গে অপরের বৈশিষ্ট্যে মিল বা পারস্পরিক সম্পর্ক পরিমাপের ক্ষেত্রে বিশ্বস্বীকৃত ‘মোরান-১’-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে স্থান ও অবস্থানগত পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়টি পরিমাপ করা হয়। ‘লিসা’ হল আর একটি পদ্ধতি, যা কয়েকটি জেলার মধ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে মিল ও অমিলের অনুসন্ধান করে।
জেলা পর্যায়ে শৌচাগার ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে ফারাক বা তারতম্য রয়েছে তা থেকেই কোনও অঞ্চলের বাড়িগুলির সংস্কার বা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। সুতরাং জেলা সীমানা বরাবর শৌচাগার ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্থান বা অবস্থানগত যে ফারাক রয়েছে তার মাপ বা পরিমাপের বিষয়টি কম বা বেশি মাত্রার হতে পারে।
সুত্রঃ যোজনা জানুয়ারী ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/9/2020