স্বচ্ছ ভারত অভিযান : দেশের অগ্রগতির পথে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ
স্বচ্ছ ভারত অভিযান : দেশের অগ্রগতির পথে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ
মানুষের শরীর থেকে নির্গত বর্জ্যের অপসারণ ব্যবস্থা নিরাপদ না হওয়ার কারণে, বিশেষত শহরাঞ্চলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষাখাতে বেশ ভালো রকম অর্থ ব্যয় করতে হয়।
যোগাযোগের আর একটি কৌশল হিসাবে বিভিন্ন গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় যে সমস্ত গ্রাম রয়েছে সেখানে স্যানিটেশন সম্পর্কে চলচ্চিত্র দেখানো যেতে পারে।
অনমায় সমস্যা নিরসনের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সঙ্গতি সাধন বিশেষ ভাবে জরুরি। এর অর্থ হল যে সমস্ত এলাকায় এ সুযোগ এখনও পৌঁছয়নি সেই সমস্ত গ্রামে এই সুযোগ পৌঁছে দেওয়া।
জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে উপযুক্ত অনাময় ব্যবস্থার সম্পর্কটি যে অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত, সে সম্পর্কে প্রাথমিক স্তরের স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে বয়স্ক তথা প্রবীণ নাগরিক—সকলকেই সচেতন করে তোলা একান্ত প্রয়োজন।
বর্তমানে বছরের ১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের বসবাসযোগ্য ১৬,৯৬,৬৬৪টি এলাকার মধ্যে মাত্র ১২,৪৯,৬৯৫টি এলাকায় মাথাপিছু প্রতি দিন ৪০ লিটার পানীয় জলের জোগান দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এই ধরনের একটি বিশাল কর্মসূচির দেখভাল ও নজরদারি নিরঃসন্দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি একটি বিষয়।
গান্ধীবাদ তথা গান্ধী দর্শন অনুসরণ করেই স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সূচনা।
বিভিন্ন এলাকায় বাস স্ট্যান্ড এবং বাজার ছাড়াও সমষ্টির জন্য নির্মিত শৌচাগার ব্যবহার করে থাকেন প্রধানত জমিজমা নেই এ রকম মানুষ এবং যাদের এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় কাজের সূত্রে যাতায়াত করতে হয় তারাই।
স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন কাজকর্ম ও সংস্থাপনাগুলির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালন একান্ত জরুরি।
