মানুষের শরীর থেকে নির্গত বর্জ্যের অপসারণ ব্যবস্থা নিরাপদ না হওয়ার কারণে, বিশেষত শহরাঞ্চলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষাখাতে বেশ ভালো রকম অর্থ ব্যয় করতে হয়। সমীক্ষা অনুযায়ী, মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের প্রায় ৬০ শতাংশ এই দু’টি খাতে ব্যয় করতে হয়। শহরাঞ্চলের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত জাতীয় নীতিতে উল্লেখ রয়েছে যে, উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত অনাময় ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে শহরে মোট নাগরিকদের ২২ শতাংশকেই নানা ধরনের অসুবিধা ও অস্বাচ্ছন্দ্য ভোগ করতে হয়। এদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। এ কথারও উল্লেখ রয়েছে যে, গৃহস্থালি ও পৌর আবর্জনা ঠিকমতো অপসরণ না হওয়ার ফলে চারিতে ভূপৃষ্ঠের উপর ৭৫ শতাংশ জলই দূষিত হয়ে যায়।
পরিচ্ছন্ন ভারত অভিযানের সাফল্যের পূর্ব শর্তই হল জল সরবরাহ, হাত ধোওয়ার সাবান, পাউডার বা তরল পদার্থ, উপযুক্ত নিকাশি ব্যবস্থা এবং বর্জ্য ও জঞ্জাল অপসারণের সুযোগ সুবিধার প্রসার ও সম্প্রসারণ। এই সমস্ত সুযোগসুবিধা কিছু কিছু মানুষ হয়তো পেয়ে থাকেন। আবার এমন কিছু মানুষও রয়েছেন, যাঁরা এই সমস্ত সুযোগসুবিধা পেলেও তার সদ্ব্যবহার করেন না বা বিষয়টিকে সে রকম ভাবে গুরুত্ব বা প্রাধান্য দেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন না। কিন্তু এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি যারা এই সমস্ত সুযোগসুবিধা ক্রয় করতে অপারগ বা এ সমস্ত সুযোগ থেকে বঞ্চিত। এই ধরনের নাগরিকদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সে দিকে লক্ষ রেখে সরকারকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত ও সামাজিক স্তরে সমস্যাগুলি চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সঠিক ভাবে সমস্যার অভিমুখ চিহ্নিত করাটা আধুনিক যুগে প্রকল্প সফল হওয়ার পিছনে একটা বড় কারণ বলে মনে করা হয়।
সূত্র : যোজনা, জানুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019