যোগাযোগের আর একটি কৌশল হিসাবে বিভিন্ন গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় যে সমস্ত গ্রাম রয়েছে সেখানে স্যানিটেশন সম্পর্কে চলচ্চিত্র দেখানো যেতে পারে। প্রচারের একটি মাধ্যম হিসাবে পথ নাটিকা,লোক সঙ্গীত, পুতুল নাটক ইত্যাদির আলাদা আলাদা গ্রুপ নিয়ে প্রতিটি ব্লকে একটি করে সাংস্কৃতিক দল গড়ে তোলা প্রয়োজন। এ ছাড়াও প্রতিটি গ্রামে সামাজিক বিপণন এবং সামাজিক ভাবে উৎসাহদানের জন্য অভিযান চালানো যেতে পারে। মানুষের আচরণগত অভ্যাস বদলে ফেলতে নতুন নতুন যোগাযোগ কৌশল উদ্ভাবন করা প্রয়োজন। এবং অবশ্যই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের পথেই তা প্রয়োগ করতে হবে।
স্যানিটেশনের কাজে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্ভব করে তুলতে উৎসাহদানের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন, যাতে এর ধারাকে নিরন্তর রাখা যায়। এ ছাড়াও যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এই কাজে আশাতীত সাফল্য দেখাবে তাদের জন্য আরও অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই যাতে লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হয়ে ওঠে তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা বিশেষ ভাবে জরুরি।
স্যানিটেশনের কাজে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে বিশেষ ভাবে উৎসাহ দিতে স্যানিটেশন ও জল সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত পরিদর্শকদের জন্য আর্থিক সুযোগসুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। শুধুমাত্র শৌচাগার নির্মাণ করলেই চলবে না সেখানে জলের জোগানও নিশ্চিত করতে হবে। যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত স্যানিটেশন গড়ে তুলতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তার ধারা অব্যাহত ও অক্ষুন্ন রেখেছে, তাদের জন্য পাইপ লাইন মারফত আরও বেশি করে জল সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
এই সমস্ত কর্মসূচির বার্তা গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দিতে তৃণমূল স্তরে ‘স্বচ্ছতা দূত’ নিয়োগের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। শৌচাগার নির্মাণে মানুষ যাতে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং দাবি পেশ করে তা নিশ্চিত করতে ‘স্বচ্ছতা দূতদের’ জন্য উৎসাহ দান কর্মসূচিও চালু করতে হবে। এর ফলে স্যানিটেশন কর্মসূচির আরও প্রসার ও উন্নয়ন সম্ভব হয়ে উঠবে।
সূত্র : যোজনা, জানুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 3/4/2020