অনমায় সমস্যা নিরসনের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সঙ্গতি সাধন বিশেষ ভাবে জরুরি। এর অর্থ হল যে সমস্ত এলাকায় এ সুযোগ এখনও পৌঁছয়নি সেই সমস্ত গ্রামে এই সুযোগ পৌঁছে দেওয়া। একই সঙ্গে এই সমস্ত সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষদেরও এই ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসতে হবে, যাঁরা এখনও শহরের পৌর এলাকার বাইরে রয়ে গেছেন।
এই কর্মসূচির সাফল্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজন ব্যাপক জনসমর্থন। এর জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু সংস্থার মাধ্যমে রাজ্য এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক কর্মীদের দক্ষতাবৃদ্ধি ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
রাজ্য, জেলা ও শহর পর্যায়ে স্যানিটেশন কর্মসূচি সংক্রান্ত বিষয়টি নিরন্তর দেখভাল করতে উপযুক্ত পরিকাঠামোগত সুযোগসুবিধা গড়ে তোলা প্রয়োজন। নাগরিকদের নিয়ে গড়ে তোলা পেশ করা রিপোর্টও খতিয়ে দেখা যেতে পারে।
জনস্বার্থে রূপায়িত হলেও স্যানিটেশনের কজে আশাতীত সাফল্য দেখানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা ও শহরগুলিকে পুরষ্কৃত করা যেতে পারে। পূর্ণ স্যানিটেশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজে যুক্ত বিভিন্ন জেলা ও শহরের মধ্যে এর ফলে এক সুস্থ প্রতিযোগিতার বাতাবরণ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। একটি সুনির্দিষ্ট মেয়াদি কর্মসূচি হিসাবে পরিচ্ছন্ন ভারত অভিযানের লক্ষ্যপূরণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক রচিত ‘‘জাতীয় গ্রামীণ স্যানিটেশন সংক্রান্ত প্রকৌশল সূত্র ২০১২-২০২২’’ অনুসরণ করা যেতে পারে। সহজ ঋণদান ব্যবস্থা গড়ে তোলা
দেশে দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী এক বিপুল সংখ্যক পরিবার তাদের বসবাসের স্থানে শৌচাগার নির্মাণ করতে অপারগ। তাই পানীয় জল ও স্যানিটেশন সম্পর্কিত মন্ত্রক এক নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যাঙ্কে সিখিউরিটি হিসাবে জম্য রাখতে পারে, যাতে ওই মূলধনের সাহায্যে সমাজের দুর্বলতর মানুষদের নিজস্ব শৌচাগার নির্মাণে আর্থিক সহায়তা দেওয়া যায়।
এই কর্মসূচিকে সব দিক দিয়ে সফল করে তুলতে একটি জাতীয় যোগাযোগ কৌশল স্থির করা প্রয়োজন, যাতে আঞ্চলিক ও স্থানীয় যোগাযোগ কৌশল ব্যবস্থায় নমনীয়তা রক্ষার উপর জোর দেওয়া যায়। সংশ্লিষ্ট কর্মী ও ধর্মীয় নেতা সহ অন্যান্য সামাজিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে, যাতে তাঁরা স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে কার্যকরভাবে সাধারণের মধ্যে সচেতনতার প্রসার ঘটাতে পারেন। শৌচাগার নির্মাণ ও তা ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবহিত করতে সামাজিক প্রচার মাধ্যমকে যেমন ব্যবহার করা যেতে পারে, ঠিক তেমনই ব্যক্তিগত সম্পর্কের মাধ্যমেও এ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতার প্রসার ঘটানো যায়। পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব, পরিচিত জন, প্রতিবেশী এবং সহকর্মীরা মানুষের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে যোগাযোগের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।
সূত্র : যোজনা, জানুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/29/2020