প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে স্বচ্ছ ভারত অভিযান কর্মসূচির ঘোষণা করেন।
আমাদের দেশে যে অপরিচ্ছন্নতা রুখতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তা নয়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার ৬৭ বছর পরেও আমাদের গায়ে অপরিচ্ছন্নতার তকমা সেঁটে রয়েছে।
অত্যন্ত লজ্জার বিষয় যে ভারতে এক বিপুল সংখ্যক মানুষ উন্মুক্ত অঞ্চলে শৌচকর্ম করে থাকে।
গঙ্গার দূষণ নির্ণয়ের একটা মাপকাঠি হল জলে ‘ফিকাল কলিফর্ম’ ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ।
অনেকে বলে থাকেন দারিদ্র দূর করতে না পারলে এবং সেই সঙ্গে মানুষকে শিক্ষিত করে তুলতে না পারলে দেশ থেকে অপরিচ্ছন্নতা দূর করা সম্ভব নয়।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আইন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ৪০ মাইক্রোনের কম পুরু প্লাস্টিক তৈরি বা ব্যবহার নিষিদ্ধ।
পলিপ্যাক আর থার্মোকলের ব্যবহার ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মাছ বিক্রেতারা প্লাস্টিকের প্যাকেটেই কাটা বা আস্ত মাছ ভরে দিচ্ছেন।
জাতীয় নমুনা সমীক্ষা দফতরের ৬৯-তম সমীক্ষা (জুলাই ২০১২-ডিসম্বর ২০১২)
আমরা না পারলেও পৃথিবীর অনেক দেশই কিন্তু অপরিচ্ছন্নতাকে জয় করে পরিচ্ছন্ন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
শাশ্বতী ঘোষ একটি প্রবন্ধে লিখেছেন, ২০১১ সালেও ৫৩ শতাংশ ভারতীয় বাইরে শৌচকর্ম করতে বাধ্য হন।
স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি সফল করতে রাজনীতিবিদ থেকে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি এবং বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।