আপনার বাচ্চার শরীরে ভিটামিন অনুখাদ্যের অভাব ঘটছে না তো ? কী ভাবে বুঝবেন ? কী করবেন ?
ক্রমিক সংখ্যা |
ভিটামিন অনুখাদ্যের নাম |
অপুষ্টির লক্ষণ |
প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের উপায় |
১। |
ভিটামিন এ |
রাতকানা |
১। ৬ মাস বয়স অবধি শিশু শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাবে, আর কিছু নয়। ২। মায়ের দুধ ২ বছর বয়স অবধি খাবে। ৩। সাত মাস বয়স থেকে শক্ত খাবার খাওয়াতে হবে। ৪। ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে।
৫। নয় মাস বয়সে হামের টিকার সঙ্গে ভিটামিন-এ তেলের প্রথম ডোজ খাওয়াতে হবে। তার পর ৬ মাস ছাড়া ছাড়া তিন বছর বয়স অবধি খাওয়াতে হবে। ৬৷ যদি গর্ভবতী মা যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার খান, তা হলে বাচ্চার ভিটামিন-এ অপুষ্টির সম্ভাবনা কম থাকে। |
২। |
আয়রন বা লোহা |
রক্তাল্পতার লক্ষণ—চোখের কনজাংটিভাইটিস, জিভ মুখ ফ্যাকাসে হবে। অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে উঠবে। খিদে কমে যাবে। |
১। আয়রন বা লোহাসমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে।
|
৩। |
ভিটামিন ডি |
রিকেট লক্ষণ—পা বেঁকে যাবে, চলার সময় হাঁটুতে হাঁটুতে ধাক্কা লাগবে। |
ভিটামিন-ডি-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে, যেমন—দুধ, ডিম, ঘি, মাছের যকৃতের তেল ইত্যাদি। |
৪। |
ভিটামিন সি |
মাড়িতে ঘা হবে এবং মাড়ি থেকে রক্তপাত হবে। |
ভিটামিন-সি-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। যেমন—আমলকী, ডাঁসা পেয়ারা, পাতিলেবু, কাঁচালঙ্কা, কমলালেবু, সবুজ এবং টাটকা শাকসবজি, অঙ্কুরিত গোটা ছোলা ও মুগ ইত্যাদি। |
৫। |
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স |
জিভে, মুখে, মুখের কোণায় ঘা ইত্যাদি। |
ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। যেমন—ফ্যানসহ ভাত, ডাল, রুটি, ডিম, দই, অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ, খাদ্য উপযোগী পশুর যকৃত, ইস্টসমৃদ্ধ খাবার অর্থাৎ গেঁজানো খাবার। |
৬। |
আয়োডিন |
গলগণ্ড, জন্মাবধি বোবা এবং কালা জড়বুদ্ধি সম্পন্ন। কাজে অনীহা। অস্বাভাবিক বেঁটে ইত্যাদি। |
আয়োডাইজড লবণ খাওয়াতে হবে। সামুদ্রিক মাছেও যথেষ্ট পরিমাণে আয়োডিন আছে। |
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/24/2020