গ্যাংগ্রিন অর্থ শরীরের কোনো অংশের পচনশীল ঘা৷ এটা সাধারণত ক্লোসটিডিয়া গ্রুপের বিভিন্ন জীবাণু দ্বারা ঘটে থাকে৷
রক্ত আমাদের দেহের প্রতিটি অংশ বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো সরবরাহ করে৷ শরীরে কোনো অংশে রক্ত সরবরাহ কমে গেলে বা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে আক্রান্ত স্থানের কোষ বা কলাগুলোর মৃতু্য ঘটে৷ আঘাতজনিত কারণে দেহের কোনো অংশের রক্তনালী ছিড়ে গেলে ঐ অংশে পচনশীল ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে৷ আবার কিছু কিছু রোগ, যেমন- ডায়ডবেটিস, বার্জার রোগ ইত্যাদিতে দেহের বিভিন্ন অংশে বিশেষ করে হাত পায়ে পচনশীল ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে৷ ভীর কোনো ক্ষত ময়লা মাটি, রোগজীবাণু ইত্যাদি দ্বারা আক্রান্ত হলে গ্যাস গ্যাংগ্রিন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷
পচনশীল ক্ষতকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায় ৷
১. শুকনো গ্যাংগ্রিন
২. ভেজা গ্যাংগ্রিন
৩. গ্যাস গ্যাংগ্রিন
১. শুকনো গ্যাংগ্রিন
২.ভেজা গ্যাংগ্রিন
* সূচনাতে আক্রান্ত স্থানের চামড়া লালচে এবং উষ্ঞ থাকে পরে তা ঠাণ্ডা এবং নীলাভ হয়ে যায়
* আক্রান্ত চামড়া ভিজে স্যঁাতস্যঁাতে থাকে৷
* ক্ষতস্থান থেকে বুঁদবুদ বের হতে পারে
* সাধারণত ইনফেকশন থাকে৷
* ক্ষতস্থান থেকে দুর্গন্ধ বের হবে
* রোগের বিস্তার হয় দ্রুত৷
৩. গ্যাস গ্যাংগ্রিন
* আক্রান্ত্ত স্থানের চামড়া লালচে এবং উষ্ঞ থাকে৷ চাপ দিলে ভেতর থেকে গরগরে অনুভুতি হয়৷
* ক্ষতস্থানে ইনফেকশন থাকে৷
* দুর্গন্ধ বের হয়৷
* সাধারণত যুদ্ধের সময় যে সকল বড় ধরনের ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং ক্ষতস্থান কাদামাটি দিয়ে অপরিষ্কার হয়ে পড়ে তখন ক্ষতস্থান জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে গ্যাস গ্যাংগ্রিন হয়৷
* দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রোগীর মৃতু্য হতে পারে৷
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে৷ প্রয়োজনীয় এ্যান্টিবায়েটিক চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে৷ গ্যাস গ্যাংগ্রিন হবার সম্ভাবনা থাকলে এ্যান্টিটক্সিন ইনজেকশন নিতে হবে৷ ক্ষতস্থান অপারেশনের মাধ্যমে কেটে বাদ দেবার প্রয়োজন হতে পারে৷ ডায়বেটিস রোগীদের পায়ের যত্ন নিতে হবে এবং ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে৷ কোন স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হলে ক্ষতস্থান পরিষ্কার রাখতে হবে৷ টিটেনাস প্রতিষেধক টিকা দিতে হবে৷ পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে৷
তথ্য সংকলন ঃ বিকাশ পিডিয়া কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট টীম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020