চিকুনগুনিয়া ভাইরাস ঘটিত একটি রোগ যা সংক্রমিত এডিস মশা দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে।এডিস এমন এক ধরণের মশা যা ঘরোয়া পাত্রে বংশ বিস্তার করে এবং দিনের বেলায় কামড়ায়। এই চিকুনগুনিয়া 'টোগাভিরিড' পরিবারভুক্ত 'আলফাভেরাস' প্রজাতির ভাইরাস ঘটিত একটি রোগ। সংক্রমিত মশা দ্বারা এই রোগটি প্রেরিত হয়। উপসর্গ বা লক্ষণ, শারীরিক সমস্যা (যেমন গাঁট ফুলে যাওয়া), পরীক্ষাগারে পরীক্ষা ও সংক্রমিত মশার গতিবিধির সন্ধান - এসবের ভিত্তিতে এই রোগটি নির্দ্ধারণ করা হয়। চিকুনগুনিয়া রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই।উপসর্গ বা লক্ষণের ভিত্তিতে এর পরিচর্যা করা হয়।
জ্বরের সূত্রপাত সঙ্গে গাঁটের ব্যথা হল চিকুনগুনিয়ার প্রাথমিক উপসর্গ। অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে পড়ে :
সংক্রমিত মশার দ্বারা এই রোগটি হয়ে থাকে। মশা তখনই সংক্রমিত হয় যখন এটি চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির শরীরের রক্ত পান করে। রোগসঞ্চার থেকে প্রথম রোগলক্ষণ দেখা দেওয়া পর্যন্ত সময়কাল (সুপ্তাবস্থা) ২ থেকে ১২ দিন হতে পারে, তবে সাধারণভাবে এই সুপ্তাবাস্থার সময়সীমা ৩-৭ দিন। 'নির্বাক' চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের আক্রমণও (অসুস্থতার লক্ষণ ছাড়া সংক্রমণ) দেখা যায়, তবে তা খুব কম।
উৎসেচক সম্পর্কিত অনাক্রমক বিশুদ্ধতা পরীক্ষা [এনজাইম-লিংকড ইমিউনো সরবেন্ট আসেজ (ই এল আই এস এ)] চিকুনগুনিয়া-বিরোধী অ্যান্টিবডি '১ গ্রাম এম' ও '১ গ্রাম জি'-র উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারে।
ভাইরাস রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্টজ -পালিমারেজ চেইন রিয়াকশন (আর টি -পি সি আর ) পদ্ধতি সমূহও সম্ভব, তবে তা সুক্ষ্ম ও পরিবর্তনশীল।বিভিন্ন ভৌগোলিক পরিবেশ থেকে নেওয়া ভাইরাসের নমুনা ও চিকিৎসার নমুনার ভিত্তিতে 'আর টি -পি সি আর'-র ফলাফল ভাইরাসের ধরণ বা প্রজাতি নির্ধারণে ব্যবহৃত হতে পারে।
চিকুনগুনিয়া নিরাময়ের নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই।
চিকুনগুনিয়ার নির্দিষ্ট কোনো টীকা (ভ্যাকসিন) নেই।
মশা বাহিত অন্য যেকোনো ভাইরাস ঘটিত রোগের মতো (উদাহরণ: ডেঙ্গু) এরও প্রতিরোধ-প্রক্রিয়া একই এবং সেগুলোর মধ্যে পড়ে :
সূত্রঃ জাতীয় স্বাস্থ্য প্রবেশদ্বার
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/9/2020