অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

চিকুনগুনিয়া জ্বর

চিকুনগুনিয়া ভাইরাস  ঘটিত একটি রোগ যা সংক্রমিত এডিস  মশা দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে।এডিস এমন এক ধরণের মশা যা ঘরোয়া পাত্রে বংশ বিস্তার করে এবং দিনের বেলায় কামড়ায়। এই চিকুনগুনিয়া 'টোগাভিরিড' পরিবারভুক্ত  'আলফাভেরাস' প্রজাতির ভাইরাস ঘটিত একটি রোগ। সংক্রমিত মশা দ্বারা এই রোগটি প্রেরিত হয়। উপসর্গ বা লক্ষণ, শারীরিক সমস্যা (যেমন গাঁট ফুলে যাওয়া), পরীক্ষাগারে পরীক্ষা ও সংক্রমিত মশার গতিবিধির সন্ধান - এসবের ভিত্তিতে  এই রোগটি নির্দ্ধারণ করা হয়। চিকুনগুনিয়া রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই।উপসর্গ বা লক্ষণের ভিত্তিতে এর পরিচর্যা করা হয়।

উপসর্গ

জ্বরের সূত্রপাত সঙ্গে গাঁটের ব্যথা হল চিকুনগুনিয়ার প্রাথমিক উপসর্গ। অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে পড়ে :

  • পেশীর যন্ত্রণা
  • ক্লান্তি ও বমিবমি ভাব
  • চামড়ায় ফুসকুড়ি
  • ক্লান্তিদায়ক গাঁটের ব্যথা, তবে তা সাধারনত: কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ পর এমনিতে ঠিক হয়ে যায়।
  • কারণ

    সংক্রমিত মশার দ্বারা এই রোগটি হয়ে থাকে। মশা তখনই সংক্রমিত হয় যখন এটি চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির শরীরের রক্ত পান করে। রোগসঞ্চার থেকে প্রথম রোগলক্ষণ দেখা দেওয়া পর্যন্ত সময়কাল (সুপ্তাবস্থা) ২ থেকে ১২ দিন হতে পারে, তবে সাধারণভাবে এই সুপ্তাবাস্থার সময়সীমা ৩-৭ দিন। 'নির্বাক' চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের আক্রমণও  (অসুস্থতার লক্ষণ ছাড়া সংক্রমণ) দেখা যায়, তবে তা খুব কম।

    রোগ নির্ণয়

    উৎসেচক সম্পর্কিত অনাক্রমক বিশুদ্ধতা পরীক্ষা [এনজাইম-লিংকড ইমিউনো সরবেন্ট আসেজ (ই এল আই এস এ)]  চিকুনগুনিয়া-বিরোধী অ্যান্টিবডি '১ গ্রাম এম' ও '১ গ্রাম জি'-র উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারে।

    ভাইরাস রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্টজ -পালিমারেজ চেইন রিয়াকশন (আর টি -পি সি আর ) পদ্ধতি সমূহও সম্ভব, তবে তা সুক্ষ্ম ও পরিবর্তনশীল।বিভিন্ন ভৌগোলিক পরিবেশ থেকে নেওয়া ভাইরাসের নমুনা ও চিকিৎসার নমুনার ভিত্তিতে 'আর টি -পি সি আর'-র ফলাফল ভাইরাসের ধরণ বা প্রজাতি নির্ধারণে ব্যবহৃত হতে পারে।

    চিকিৎসা

    চিকুনগুনিয়া নিরাময়ের নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই।

  • বেদনানাশক ঔষধ (পেইন কিলার) : প্যারাসিটামল, আইবুপ্রফেন ধরনের ওষুধ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • আসিক্লোভির জাতীয় ভাইরাস-প্রতিরোধক ওষুধ দেওয়া হয় (তবে, একমাত্র জটিল অবস্থায় ডাক্তারবাবু এই ধরণের ওষুধ খেতে বলেন)
  • প্রচুর পরিমানে তরল/পানীয় ধরণের খাবার খাওয়া প্রয়োজন, যাতে শরীরে জলযোজন প্রক্রিয়া ঠিকঠাক চলে।
  •  

    প্রতিরোধ

    চিকুনগুনিয়ার নির্দিষ্ট কোনো টীকা (ভ্যাকসিন) নেই।

    মশা বাহিত অন্য যেকোনো ভাইরাস ঘটিত রোগের মতো (উদাহরণ: ডেঙ্গু) এরও প্রতিরোধ-প্রক্রিয়া একই এবং সেগুলোর মধ্যে পড়ে :

  • কীট-পতঙ্গ বিতাড়ক দ্রব্যের ব্যবহার
  • মশারির ভিতর ঘুমোনো
  • বাইরে বেরোনোর সময় ফুল হাতা জামা ও লম্বা পাজামা পরে বেরোনো ও পোশাকে ডি ই ই টি-সমৃদ্ধ মশা তাড়ানোর তরল ছড়িয়ে নেওয়া, বিশেষত: চিকুনগুনিয়া  আক্রান্ত জায়গায় যাওয়ার আগে।
  • মশার বংশ-বিস্তার কমাতে জলের পাত্র ঢাকা দিয়ে রাখা ।
  •  

    সূত্রঃ জাতীয় স্বাস্থ্য প্রবেশদ্বার

    সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/9/2020



    © C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
    English to Hindi Transliterate