মদ্যপানের কারণে মানসিক ও শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়া সত্বেও যখন কোনো ব্যক্তি মদ্যপান চালিয়ে যেতে থাকেন তখন বলা হয় ঐ ব্যক্তিটি মদ্যপানে আসক্ত। কোনো ব্যক্তির মদ্যপানের অভ্যেস যখন সমস্যার সৃষ্টি করে তখন ঐ মদ্যপান ক্ষতিকর হয়ে ওঠে।
এই সমস্যাগুলো অ্যালকোহল পয়জনিং, লিভার সিরোসিস, কাজে অক্ষমতা, হিংসা ও ভাংচুর প্রবণতার মত বহু প্রকারের শারীরিক, মানসিক ও আর্থ-সামাজিক ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি করে।
মদ্যপানে আসক্তি কোনো লিঙ্গনির্ভর রোগ নয়।
যাঁরা মদ্যপানে আসক্ত তাঁরা সাধারণত: :
সঙ্গে, বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্মৃতিশক্তি লোপ পায়, যাকে 'ব্ল্যাক আউট' বলে। যকৃতের সমস্যা ও হজম ক্ষমতা হ্রাসের কারণে মদ্যপায়ীদের খিদে সাধারণত কম হয় এবং প্রায়শই বুক জ্বালা ও বমিবমিভাব দেখা যায়।
সতর্কতার লক্ষণের মধ্যে পড়ে ''বেসামাল কথাবার্তা ও মদের দুর্গন্ধ''
বদমেজাজ, বিরক্তি ও অস্থিরতা হল ''ড্রাই ড্রাঙ্ক সিন্ড্রম''-র লক্ষণ।
চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে পারিবারিক ইতিহাস জানতে পারেন। ডাক্তার জিজ্ঞেস করতে পারেন পরিবারের অন্য কেউ মদ্যপান করেন বা করতেন কিনা।
যেসব পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যেতে পারে একজন মদ্যপ কিনা :
মদ্যপানের আসক্তি নির্ভর করছে একজন ব্যক্তি কতটা পরিমান মদ্যপান করেন তার উপর। পরবর্তী চিকিৎসার বিকল্পগুলোর মধ্যে পড়ে :
ডিটক্সিকেশন - এক্ষেত্রে, নিরাপদভাবে মদ্যপান ছাড়ার জন্য একজন ডাক্তার বা চিকিৎসকের সহায়তার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে একটু একটু করে মদ্যপানের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয় বা ওষুধ প্রয়োগ করা হয় এবং প্রত্যাহার-লক্ষণগুলোকে কমানো হয়।
কাউন্সেলিং- এর মধ্যে পড়ে কগনেটিভ বিহেভেরাল থেরাপি (সি বি টি)-র মত সেল্ফ-হেল্প গ্রুপ ও টকিং থেরাপি।
ওষুধ প্রয়োগ- দু'ধরণের ওষুধ যা কোনো ব্যক্তির মদ্যপানের অভ্যাসকে বন্ধ করতে পারে। প্রথম ধরণের ওষুধ প্রত্যাহার-লক্ষণগুলোকে কমায়।
সবচেয়ে পরিচিত ওষুধ হল ক্লডিয়াজাপোক্সাইড (লিব্রিয়াম)। অন্য একপ্রকারের ওষুধ যা মদ্যপানের ইচ্ছাকে কমাতে পারে। সাধারণ ওষুধগুলোর মধ্যে পড়ে একামপ্রোজেট ও ন্যালট্রেকক্সন। এই ওষুধগুলো গ্রহণের নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে ও সাধারণত ৬-১২ মাস পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র- জাতীয় স্বাস্থ্য প্রবেশদ্বার