অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

কী করবেন

দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক করতে কিছু না কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন —

  • চশমা
  • কনট্যাক্ট লেন্স
  • লাসিক বা
  • ফেকিক আই ও এল।

চশমা

নিরাপদ পদ্ধতি। তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হতে পারে। যেমন —

  • খুব বেশি পাওয়ার হলে দৃষ্টির পরিধি কমে যায়। দু’ পাশের জিনিস দেখতে অসুবিধে হয়।
  • দু’ চোখে পাওয়ারের পার্থক্য বেশি হলে অসুবিধে হতে পারে।
  • ইরেগুলার অ্যাস্টিম্যাটিজম এবং কের‍্যাটোকোনাস নামে চোখের অসুখে চশমা পরে দেখতে সমস্যা হয়।
  • কিছু কিছু পেশায় চশমা বাধা সষ্টি করে। যেমন খেলোয়াড়, ফোটোগ্রাফার, মাইস্ক্রোস্কোপ নিয়ে কাজ করেন, বৃষ্টি বাদলা বা কুয়াশার মধ্যে কাজ করতে হয়। গ্ল্যামার দুনিয়াতেও চশমা ব্রাত্য। এয়ারফোর্স, আর্মি, নেভিতে যোগ দিতে গেলে চশমা ছাড়া চোখের পাওয়ার স্বাভাবিক হওয়া দরকার।

কনট্যাক্ট লেন্স

কারা পরবেন, কারা নয়

  • ২০ বছরের নীচে ব্যবহার না করাই শ্রেয়। তবে পাওয়ার খুব বেশি হলে বা দু’ চোখে পাওয়ারের অনেক তফাত হলে কম বয়সেও লেন্স দিতে হয়।
  • পর পর দু’ বছর পাওয়ার না বাড়লে তবেই কনট্যাক্ট লেন্স পরা উচিত।
  • আজকাল বাইফোকাল লেন্সও পাওয়া যাচ্ছে।
  • বারবার চোখ লাল হলে বা জল পড়লে লেন্স ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • সব সময় ধোঁয়া, ধুলোয় কাজ করলেও লেন্স চলে না।
  • ড্রাই আই সিনড্রোমে ভুগলে লেন্স চলে না। কারণ লেন্স জলের ওপরই আটকে থাকে। আবার চোখের জলে মিউকাস বেশি হলেও কনট্যাক্ট লেন্স সহ্য করা ও পরিষ্কার রাখা মুশকিল।
  • নিয়মিত ইনসুলিন নিলে লেন্সে অসুবিধা হতে পারে।

কোন লেন্স

ডাক্তার ঠিক করবেন। তা-ও বিভিন্ন লেন্সের সুবিধে অসুবিধেগুলি একটু জেনে রাখুন।

  • হার্ড লেন্স টেকসই, দাম কম, তবে আজকাল আর বিশেষ ব্যবহৃত হয় না। কারণ এই লেন্স ঘণ্টা চারেকের বেশি পরে থাকা কর্নিয়ার জন্য ভালো নয়।
  • সফট লেন্স ভালো। তবে সহজেই ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস ধরে। সিগারেটের ধোঁয়া, রাসায়নিক গ্যাস বা ধুলো ময়লা সহজে শোষিত হয়। ফলে ও রকম পরিবেশে থাকলে এই লেন্স পরতে পারবেন না। লেন্স খোলার পর সলিউশনে ডুবিয়ে রাখতে ভুলে গেলে লেন্স শুকিয়ে যায়। বছর দেড়েকের বেশি টেকে না।
  • ডিজপোসেবল লেন্স খুবই আরামদায়ক। মানিয়ে নেওয়ার ঝঞ্ঝাট নেই। তবু আয়ু বড়জোর মাসখানেক। এবং দাম বেশ বেশি।

ব্য‌বহারের নিয়ম

  • লেন্স পরা বা খোলার সময় হাত ভালো করে ধুয়ে মুছে নিন।
  • নখ যেন ভালো করে কাটা থাকে। না হলে লেন্স ফেটে বা ছিঁড়ে যেতে পারে।
  • ডান ও বাঁ দিকের লেন্স গুলিয়ে ফলবেন না।
  • লেন্স পরার পর চোখ রগড়াবেন না।
  • জিভ দিয়ে লেন্স ভেজান অনেকে। এ থেকে সংক্রমণ হতে পারে।
  • লেন্স পরে হেয়ার ড্রায়ার বা হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • চোখে মেক আপ করার আগে লেন্স পরবেন। লেন্স খুলে মেক আপ তুলবেন।
  • চোখে কোনও সমস্যা হলে লেন্স খুলে রেখে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করবেন।
  • নিয়মিত আই চেক আপ করাবেন।

লাসিক

১০-এর উপরে পাওয়ার হলে চশমা পরেও সাইড ভিশন তেমন থাকে না। ১৫ – ২০ উপর পাওয়ার হলে প্রায় প্রতিবন্ধীদের জীবন। এঁদের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের পর বিশেষ ধরনের লেসার সার্জারি করে পাওয়ার কমানো যেতে পারে।

গ্ল্যামার দুনিয়া, এয়ারলাইনসে, মিলিটারিতে যোগ দিতে গেলে চশমা ছাড়া চোখের পাওয়ার স্বাভাবিক হওয়া দরকার। এ সব ক্ষেত্রে লাসিক ছাড়া গতি নেই।

কারা করাবেন, কারা নয়

  • বয়স হওয়া চাই ১৮ – ৪৫-এর মধ্যে।
  • ৬ মাস থেকে এক বছর চোখের পাওয়ার মোটামুটি স্থির থাকা দরকার।
  • গ্লকোমা কের‍্যাটোকোনাস, রেটিনোপ্যাথি, কর্নিয়াল আলসার, টিবি থাকলে করা যাবে না। ছানি, চোখে সংক্রমণ, ড্রাই আই সিনড্রোম এবং সুগার বেশি হলে করা অনুচিত।
  • স্টেরয়েড বা ক্যান্সার কেমোথেরাপি চলাকালীন করা যায় না।
  • চালসে ঠিক হয় না। উইক আই-এ পাওয়ার কমানো গেলেও দুর্বলতা কমে না।
  • করতে সময় লাগে ১০ – ১৫ মিনিট। দেড়-দু’ ঘণ্টার মধ্যে রোগী বাড়ি যেতে পারেন।
  • দৈনন্দিন কাজ করার মতো দৃষ্টি ফির আসে দু-এক দিনে। লেখাপড়া শুরু করতে ১০ – ১৫ দিন সময় লাগে।
  • মাস দুয়েক চোখ রগড়ানো, সাঁতার কাটা নিষেধ। বাইরে বেরোলে সানগ্লাস মাস্ট।
  • ৩- ৪ দিন সাবধানে স্নান, চোখে যেন সাবান, জল না ঢোকে।
  • কিছু ক্ষেত্রে অল্প পাওয়ারের চশমা বা লেন্স পরতে হতে পারে।

ফেকিক আই ও এল

  • পাওয়ার খুব বেশি হলে ( ১৫ – ২০ র বেশি) লাসিক পরে পুরো পাওয়ার নাও কমতে পারে। তখন চোখের নিজস্ব লেন্সের উপর আই ও এল বসিয়ে ঝকঝকে দৃষ্টি এনে দেওয়া যায়।
  • কর্নিয়ার ঘনত্ব কম হল লাসিক করা যায় না। সেখানে কাজে আসে ফেকিক আই ও এল।
  • ব্যয়বহুল, দু’ চোখের জন্য খরচ প্রায় ৪০ – ৬০ হাজার টাকা।
  • নতুন পদ্ধতি। দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল এখনও পুরো জানা নেই।

কারা করাতে পারেন

  • বয়স অন্তত ১৮ হতে হবে।
  • ৬ মাস পাওয়ার স্থির থাকা দরকার।
  • লাসিক করে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি বা করা যাবে না বলে মনে হলে।

তথ্য : ডাঃ পার্থ বিশ্বাস

সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/22/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate