সোয়াইন ফ্লুয়ের সংক্রমণ রোখার জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই নির্দেশিকার কিছু প্রয়োজনীয় অংশ তুলে দেওয়া হল।
সোয়াইন ফ্লুয়ে আক্রান্ত হলে রোগীরা কী কী করবেন
- অন্তত সাত দিন বাড়ির বাইরে না বেরোনোই ভালো
- হাওয়া-বাতাস খেলে এমন ঘরে নিজেকে আলাদা করে রাখতে হবে
- পরিবারের সদস্যদের যেখানে যাতায়াত, সে সব জায়গা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো
- মাস্ক পরে থাকতে হবে। হাসপাতাল স্বাস্থ্যকর্মীদের তরফে ত্রিস্তরীয় সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করা হবে। না পাওয়া গেলে কাপড় বা রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে রাখতে হবে
- অন্যদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাই ভালো। একেবারে না এড়ানো গেলে রোগীর থেকে অন্তত এক হাত দূরত্ব বজায় রাখতে হবে
- মাঝেমধ্যেই হাত ধোওয়া
- প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে, উষ্ণ জলে গার্গেল করতে হবে, আর প্রয়োজনে বিশ্রাম
কী করবেন না
- ঘরের সংখ্যা কম হওয়ার কারণে যদি একাধিক লোককে একই ঘরে ঘুমোতে হয়, তবে দু’জনে একই দিকে মাথা করে ঘুমোনো যাবে না
- ধূমপান করা চলবে না
- বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করা যাবে না
- স্কুল অফিস, বাজার বা কোনও সমাবেশে না যাওয়া
অন্যরা কী করবেন
- কাশি বা হাঁচির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখুন
- ব্যবহারের পর টিস্যু পেপার ফেলে দিন
- কিছু সময় অন্তর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন
- আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পর মুখ, নাক বা চোখে হাত দেওয়ার প্রবণতা এড়িয়ে চলুন
- আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন
কী কী ভুল ধারণা রয়েছে?
শুয়োরের মাংস না খাওয়া : শুয়োরের মাংস দিয়ে তৈরি খাবারের সঙ্গে সোয়াইন ফ্লুয়ের সরাসরি কোনও যোগ নেই। শুয়োরের দেহে এ ধরনের ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায় বলে এটাকে সোয়াইন ফ্লু বলে
ধুম জ্বর মানেই সোয়াইন ফ্লু : সোয়াইন ফ্লুয়ে আক্রান্তদের অধিকাংশেরই ধুম জ্বর হয়ই না। অন্যান্য উপসর্গ যেমন হাঁচি, কাশি, গলা ব্যথা, পেট খারাপ হতে পারে
সোয়াইন ফ্লুয়ের ওষুধ কোথায় মিলবে?
ট্যামিফ্লু: শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালে এ ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়
ফ্লুভির : হায়দরাবাদের হেটেরো ড্রাগস লিমিটেড এই ওষুধ তৈরি করে। ক্যাপসুল ও সিরাপ হিসেব পাওয়া যায়
অ্যান্টিফ্লু : সিপলা-র তৈরি এ ওষুধ ক্যাপসুল হিসাবে পাওয়া যায়
পাঁচ থেকে সাত দিন খেতে হবে।
সোয়াইন ফ্লু নিয়ে কোন প্রতিষেধক এখনো ভারতে প্রচলিত হয়নি।
সূত্র : এই সময় ২০-০২-১৫