প্রবীণ বয়সে সঠিক মাত্রায় পুষ্টিসম্পন্ন ও সুষম খাবারের প্রয়োজন খুবই বেশি। কারণ, পুষ্টিহীনতা বা সঠিক মাত্রায় পুষ্টিসম্পন্ন খাবার না খেলে তাঁদের শরীর ও স্বাস্থ্য রোগাক্রান্ত হবে। আবার তেমনই অতিমাত্রায় পুষ্টিও তাঁদের জন্য নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরি করে।
খাদ্য ও পুষ্টি
খাদ্য
সুস্থ শরীর বজায় রাখার জন্য আমরা যা কিছু খাই তা-ই খাদ্য।
খাদ্যের কাজ:
শরীরে তাপশক্তি ও কর্মক্ষমতা জোগানো
শরীর গঠন ও বৃদ্ধিসাধন এবং ক্ষয়পূরণ
শরীর রোগমুক্ত রাখা
অসুস্থ শরীরকে আরোগ্য লাভে সহায়তা করা
পুষ্টি
পুষ্টি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে গ্রহণ করা খাদ্য পরিপাক ও শোষিত হয়ে শরীরে তাপ ও শক্তি জোগায়, শরীরের বৃদ্ধিসাধন করে রোগ থেকে মুক্ত রাখে, ক্ষয়পূরণ করে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
বার্ধক্যে পুষ্টির গুরুত্ব
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। তার সঙ্গে সমন্বয় রেখে খাদ্য ও পুষ্টিতে পরিবর্তন করার দরকার হয়।
বার্ধক্যে বিশেষ করে হাড়, হৃদপিণ্ড, শিরা, ধমনী, যকৃৎ, কিডনি, চোখ, চামড়া সহ প্রায় সকল প্রকার অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা হ্রাস পাওয়া শুরু হয়।
মস্তিষ্কেও কোষের সংখ্যা কমতে থাকে, সেই সাথে সাথে দেখা দেয় বার্ধক্যজনিত নানান জটিল রোগ, ব্যাধি।
খাদ্যে শোষণ ক্ষমতা মেটাবলিজম কমতে থাকে।
এই সমস্ত কারণে বৃদ্ধ বয়সে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে পুষ্টির মাত্রা সঠিক হওয়া চাই।
মহিলাদের রজ:নিবৃত্তির পর হাড় ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে। পরিমিত ক্যালসিয়ামপূর্ণ খাদ্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।