বয়স্কদের স্বাস্থ্য বা বয়স্কদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চিকিৎসা পরিবারিক চিকিৎসা এবং অভ্যন্তরীণ চিকিৎসার বিশেষ একটি দিক, যার কেন্দ্রে রয়েছে বয়স্কদের স্বাস্থ্যের যত্ন। এর লক্ষ্য হল বেশি বয়স্ক প্রবীণদের রোগ ও প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা করে তাঁদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো, গোড়াতেই রোগ নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসা, যথাযথ প্রতিষেধক কর্মসূচি, অপরিবর্তনীয় রোগ এবং প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা বজায় রাখা এবং মারণ রোগের ক্ষেত্রে যত্ন এবং পাশে থাকা।
২০০৭ সালে ভারতীয় সংসদ একটি বিল পাশ করে যার নাম, ‘পিতামাতা ও প্রবীণ নাগরিকদের রক্ষণাবেক্ষণ আইন’, যা মানবিক যত্নের পথে এক ধাপ এগোনো।
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৯৯ সালে প্রবীণদের জন্য জাতীয় নীতি ঘোষণা করে। এই নীতি যথাযথ ভাবে প্রয়োগ হচ্ছে কি না তা দেখার দায়িত্ব বয়স্কদের জন্য জাতীয় কাউন্সিল (এনসিওপি)।
যাতে বার্ধক্যে সুস্থ থাকা যায় তার জন্য এই লক্ষ্য এবং কর্মকৌশলের বাস্তবায়ন অপরিহার্য। প্রাথমিক, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্তরের যত্নের জন্য প্রতিটি হাসপাতালে বয়স্কদের জন্য আলাদা একটি ইউনিট থাকা প্রয়োজন। সহায়তা, সামাজিক সমর্থন এবং ক্ষমতায়নের মাধ্যমে স্বাস্থ্যোন্নতির পরিকল্পনা আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বয়স্কদের জন্য পারিবারিক যত্নকে শক্তিশালী করে তোলা, মূল্যবোধভিত্তিক শিক্ষামূলক কার্যক্রম সংগঠিত করা এবং ভর্তুকির ভিত্তিতে বৃদ্ধাবাস ও ডে কেয়ার সেন্টার চালু করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
গ্রামের বয়স্ক মানুষদের সুস্থতা ও যত্নের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। এর জন্য বয়স্কদের জন্য স্বাস্থ্যপরীক্ষার শিবির বসানো, বার্ধক্যচিকিৎসায় পেশাদারি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে ও প্রয়োজনীয় নার্সিং পরিষেবার ব্যবস্থা করে জেলা এবং মহকুমা হাসপাতালগুলো শক্তিশালী করা এবং বার্ধক্যের যত্ন সংক্রান্ত গবেষণার প্রয়োজন।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019