মানসিক প্রতিবন্ধী বলতে আমরা এমন মানুষের কথাই বুঝি যার বোধবুদ্ধিবৃত্তির অভাবের জন্য তাকে সারা জীবন অন্য মানুষের সাহায্যপ্রার্থী হয়ে থাকতে হয়, আর এটা শৈশব অবস্থাতেই বোঝা যায়। স্বভাবতই এই অভাব শুধু মাত্র জৈবিক নয়। এর সঙ্গে সামাজিক ও আবেগজনিত প্রতিবন্ধকতাও অঙ্গাঙ্গি ভাবে যুক্ত। এ ছাড়া প্রতিবন্ধকতার আরও এক বৈশিষ্ট্য হল পরিবেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে না পারা।
সম্ভবত জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্যই সাম্প্রতিক কালে মানসিক প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা অনেক গুণ বেড়েছে। ফলে এদের সমস্যার প্রতি সবার দৃষ্টি পড়ছে। আগে সমাজে মানসিক প্রতিবন্ধকতা সম্বন্ধে নানা কুসংস্কার প্রচলিত ছিল। কোনও কোনও দেশে এই ধরনের প্রতিবন্ধীদের শয়তান বা প্রেতাত্মার প্রতিনিধি বলে মনে করা হত। এই বিকৃত অবস্থা থেকে মুক্ত করার জন্য এদের মাথা ফুটো করে প্রেতাত্মা বার করার চেষ্টা হত। এদেরকে দিয়ে অনেক সময় ক্রীতদাসের কাজও করানো হত। কখনও এরা রাজার দরবারে ভাঁড় হয়ে থাকত। কখনও বা খেয়ালখুশিমতো চার পাশে ঘুরে বেড়াত। এই ভাবে ক্রমাগত সমাজের অবহেলা পেয়ে এরা স্বল্প আয়ু নিয়ে বেঁচে থাকত। এখনও আমাদের দেশে এই অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। তবে নানা কারণে এ সম্পর্কে আমাদের সচেতনা বাড়ছে, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020