‘মেন্টাল হেলথ অ্যাক্ট’ অনুযায়ী যদি কোনও মনোরোগী রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে তা হলে পুলিশ অফিসার তাকে তুলে এনে থানায় রাখতে পারেন। তবে ‘মেন্টাল হেলথ অ্যাক্ট’-এ স্পষ্ট উল্লেখ আছে, রোগীটিকে নিকটবর্তী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপস্থিত করাতে হবে রিসেপশন অর্ডার-এর জন্য।
কোনও ব্যক্তি বা পুলিশ অফিসার যদি মনে করেন কোনও মানসিক রোগী উপযুক্ত সুরক্ষা বা নিরাপত্তায় নেই অথবা অত্যাচারিত এবং অবহেলিত হচ্ছে তবে নিকটবর্তী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাতে পারেন। ম্যাজিস্ট্রেট রোগীকে দেখে এবং রোগীর আত্মীয়কে ডেকে উপযুক্ত পরিচর্যার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দিতে পারেন। যদি তাঁর নির্দেশ না মানা হয়, তবে তিনি রোগীর আত্মীয়কে জরিমানা বা শাস্তি দিতে পারেন। ‘মেন্টাল হেলথ অ্যাক্ট’-এর এই ধারা মনোরোগীর মানবিক অধিকার সুরক্ষা করতে সাহায্য করেছে।
যদি কোনও মনোরোগীর ধনসম্পত্তি থাকে এবং যদি তিনি সেই সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ করতে না পারেন তবে তাঁর আত্মীয় জেলা আদালতে এই বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য আবেদন করতে পারেন। জেলা আদালত, ব্যক্তিটি সত্যিই রোগী কি না এবং তাঁর সম্পত্তি তিনি দেখাশোনা করতে পারবেন এ বিষয়ে অনুসন্ধান করবেন এবং অনুসন্ধানের ফল নথিভুক্ত করবেন। যদি রোগী নিজে সম্পত্তি দেখাশোনা করতে পারবেন না বলে মনে হয় তখন আদালত এক জন পরিচালক নিযুক্ত করে রোগীর ধনসম্পত্তি দেখাশোনার আদেশ দিতে পারেন। তখন ওই পরিচালক আদালতের কাছে জবাবদিহি করবেন।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 9/20/2019