১৯৮৭ সালের ‘মেন্টাল হেলথ অ্যাক্ট’-এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এতে পরিকল্পনাকারী ও নীতি নির্ধারকদের মনোরোগ সম্বন্ধে মনোভাবের পরিবর্তন। আইনে পাগলামি, পাগলাগারদ, প্রভৃতি অবজ্ঞা মিশ্রিত শব্দের বদলে মানসিক ভারসাম্যহীনতা, মানসিক অসুস্থ এবং মানসিক হাসপাতাল ইত্যাদি তৎসম শব্দের ব্যবহারে এই পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।
এই আইনের আরও একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল, মনোরোগীদের সংজ্ঞার পরিবর্তন। ‘মানসিক অসুস্থ’ ব্যক্তির সংজ্ঞা দেওয়া আছে এই রকম যে যাদের ‘মানসিক ভারসাম্যহীনতার’ জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন আছে, ‘মানসিক প্রতিবন্ধকতার’ জন্য নয়। এই ভাবে মানুষের মনে ‘মানসিক ভারসাম্যহীনতার’ এবং ‘মানসিক প্রতিবন্ধকতার’ পার্থক্য সম্বন্ধে যে দ্বিধা ছিল তা দূর করতে সাহায্য করেছে।
‘মেন্টাল হেলথ অ্যাক্ট’-এর প্রধান লক্ষ্য ছিল কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জন্য বাধ্যতামূলক ভাবে পৃথক মানসিক স্বাস্থ্য কর্তৃত্ব গঠন করা। এই কর্তৃত্বের কাজ হবে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার কাজের পরিচালনা, উন্নতি, দিক নির্ণয় এবং সমন্বয় সাধন করা। এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মানসিক হাসপাতাল, নার্সিংহোম এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে পরিচালনা করা।
এই কর্তৃত্ব তৈরি হলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মানসিক স্বাস্থ্যের সেবার ওপর নজরদারি এবং কেন্দ্র ও রাজ্যের কাজের সময় অনেক বেশি করে সাধিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় যে রাজ্য মানসিক স্বাস্থ্য কর্তৃত্ব শুধু সরকারি কাগজপত্রে আছে, বাস্তবে এর কোনও অস্তিত্ব নেই। যদি এটি কার্যকর হত তা হলে মানসিক হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের কাজের অনেক উন্নতি লক্ষ করা যেত।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/22/2020