টিকা কী এবং কী ভাবে এটি কাজ করে?
টিকা মানবশরীরকে সংক্রামক রোগের হাত থেকে রক্ষা করার একটি উপায়। ভবিষ্যতে সংক্রমণ হতে পারে এমন কয়েকটি মারণ রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য টিকা আমাদের দেহকে প্রস্তুত করে দেয়।
শিশু কিছু প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে জন্ম নেয়, যে ক্ষমতা সে অর্জন করে মায়ের থেকে এবং মায়ের স্তন্য পান করে। শিশুর নিজস্ব রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থার বিকাশ শুরু হলে জন্মগত সূত্রে পাওয়া প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে বিলোপ হয়। টিকা আপনার সন্তানকে বাড়তি সুরক্ষা দেয়, যা তাকে বিভিন্ন মারণ রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
সময়সসূচি অনুযায়ী শিশুর এক-দেড় মাস বয়স থেকে টিকা শুরু করা উচিত বলে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু শিশুকে টিকার জন্য দেরিতে আনা হলে কী করা উচিত? তখন কি টিকা দেওয়া শুরু করা উচিত?
হ্যাঁ, অবশ্যই। শিশুকে টিকার জন্য দেরিতে আনা হলে তাকে সব টিকা দেওয়া উচিত। তবে সাধারণ ভাবে টিকার আদর্শ সময়সূচি অনুসরণ করাই ভালো। তবে কোনও অবস্থাতেই তাকে টিকা দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। কোনও কারণে দেরি করে আনা হলেও তাকে ১ বছরের আগে তালিকা অনুযায়ী সব টিকা দেওয়া উচিত।
টিকাকরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কী?
খুব অল্প সংখ্যক সদ্যোজাত ও বাচ্চার ক্ষেত্রে একটি টিকার পরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ডিপিটি ইনজেকশন দেওয়ার পরে শিশুর ইনজেকশন দেওয়ার জায়গায় ব্যথা হতে পারে, এমনকী তার জ্বর হতে পারে।
হামের ইনজেকশন দেওয়ার পরে হামের মতো লাল লাল ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে খুব কমই ক্ষেত্রেই শিশুদের টিকা দেওয়া মাত্রই এলার্জি প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যদি শিশুর জ্বর বাড়ে বা জ্ঞান হারায়, তবে দ্রুত এক জন ডাক্তারকে দেখানো উচিত। যাঁরা টীকা দেন তাদের এলার্জি প্রতিক্রিয়া মোকাবিলা করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং শিশুর দ্রুত চিকিৎসা করা হলে সে সম্পূর্ণ রূপে সেরে যাবে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019
জিওল মাছ চাষ নিয়ে যে সব প্রশ্ন প্রায়শই করা হয়ে থাক...
জিওল মাছ চাষ নিয়ে যে সব প্রশ্ন প্রায়শই করা হয়ে থাক...
ডিম পোনার চাষ নিয়ে যে সব প্রশ্ন প্রায়শই করা হয়ে থ...
ডিম পোনার চাষ নিয়ে যে সব প্রশ্ন প্রায়শই করা হয়ে থ...