প্রতি বছর পৃথিবীর ১২০টিরও বেশি দেশে ১ থেকে ৭ অগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করা হয়। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোয় উৎসাহ দিতে এবং শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে এই কর্মসূচি। বুকের দুধ খাওয়ানোতে জোর দিতে, ১৯৯০ সালের অগস্ট মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং ইউনিসেফের যৌথ ঘোষণাকে সফল করতেই এই কর্মসূচি।
সদ্যোজাতকে পুষ্টির জোগান দিতে বুকের দুধের কোনও বিকল্প নেই। তাই হু ছ’মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়াতেই বলে। এর পর দু’বছর বা তারও বেশি বয়স পর্যন্ত পরিপূরক খাদ্যের সঙ্গে নিয়মিত ভাবে বুকের দুধ খাওয়ানো যেতে পারে।
২০১৪-এর বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের মূল মন্ত্র ছিল ‘স্তন্যপান--- ‘জীবনের লক্ষ্যে জয়সূচক গোল’। নবজাতক ও শিশুদের শারীরিক সংকট থেকে মুক্ত করে তাদের বাঁচিয়ে তোলা এবং তাদের স্বাস্থ্য ও শরীরের উন্নতির জন্য মায়ের দুধের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিতেই এই কর্মসূচি।
জরুরি শারীরিক সংকটে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখে পড়ে। এরও মধ্যে আরও বেশি সমস্যায় পড়ে নবজাতকরা। এমনকী ডাইরিয়া এবং নিউমোনিয়ায় মৃত্যুও হতে পারে। শারীরিক সংকটে মায়ের দুধই খাওয়ানো উচিত। এ সময়ে মায়ের দুধের বিকল্প কিছু অপরিমিত পরিমাণে একেবারেই খাওয়ানো উচিত নয়। এতে মায়ের দুধের উপকারিতাকে উপেক্ষা করা হয়। শিশুদের জরুরি শারীরিক সংকট মোকাবিলার প্রস্তুতির অঙ্গ হিসাবে হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে প্রশিক্ষিত নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মী থাকা উচিত, যারা মাকে বুকের দুধ খাওয়ানোয় সাহায্য করতে পারে।
সূত্র:
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020