অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

চিকিৎসা

চিকিৎসা

প্রচণ্ড রকম টানের ক্ষেত্রে চিকিৎসা হ’ল

শ্বাসনালী উন্মুক্তকরণ (ব্রঙ্কোডাইলেশন) এবং প্রদাহ বন্ধ করা

  • শ্বাসগ্রহণের সঙ্গে নেওয়া অনেক রকম ওষুধ শ্বাসনালি খুলে দেয়। বেশি বয়সের ও বয়ঃসন্ধির বাচ্চারা সাধারণত মিটার্ড-ডোজ ইনহেলার ব্যবহার করতে পারে। ৮ বছর বা তার কম বয়সি বাচ্চাদের সাধারণত স্পেসার লাগানো বা ধরে রাখার প্রকোষ্ঠযুক্ত ইনহেলার ব্যবহার করা সুবিধাজনক।
  • শিশু ও খুব কমবয়সি বাচ্চারা কখনও কখনও ইনহেলার ও স্পেসার ব্যবহার করতে পারে যদি শিশুর মাপের একটি মাস্ক তাতে লাগানো থাকে। যারা ইনহেলার ব্যবহার করতে পারে না তারা বাড়িতে নেবুলাইজারের সঙ্গে একটি মাস্ক লাগিয়ে তার মাধ্যমে এই ওষুধ গ্রহণ করতে পারে। নেবুলাইজার হ’ল একটি ছোট যন্ত্র যা উচ্চচাপে থাকা বাতাসের দ্বারা ওষুধের একটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে। ওষুধ শরীরে প্রবেশ করানোর জন্য ইনহেলার ও নেবুলাইজার দু’টিই খুব কার্যকর। ওষুধ মুখ দিয়ে খেয়েও নেওয়া যায়, যদিও টানার থেকে এই পদ্ধতি কম কার্যকর এবং সাধারণত শিশুরা, যাদের নেবুলাইজার থাকে না, তারাই এই পদ্ধতি ব্যবহার করে। যে সব বাচ্চার মাঝারি থেকে তীব্র টান হয়, তাদেরও কর্টিকোস্টেরয়েড মুখ দিয়ে খাওয়ানো হতে পারে।
  • যে সব বাচ্চার সাঙ্ঘাতিক টান হয়, তাদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রথমেই অন্তত ২০ মিনিট ধরে নেবুলাইজার অথবা ইনহেলারের মধ্যে ব্রঙ্কোডাইলেটর দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। সাঙ্ঘাতিক টান ওঠা বাচ্চাদের যদি এই ওষুধ কাজ না করে, তবে অনেক সময় ডাক্তাররা এপিনেফ্রিন (একটি ব্রঙ্কোডাইলেটর) ইঞ্জেকশন দেন। ডাক্তাররা সাধারণত প্রচণ্ড টান ওঠা বাচ্চাদের শিরার মধ্যে দিয়ে কর্টিকোস্টেরয়েড ওষুধ দেন।
  • যে সব বাচ্চার হাল্কা, অল্পসল্প টান ওঠে, তারা সাধারণত কেবলমাত্র টানের সময়েই ওষুধ নেয়। যে সব বাচ্চার ঘন ঘন এবং সাঙ্ঘাতিক রকমের টান ওঠে তাদেরও ওষুধ নিতে হয়, এমনকী যখন টান থাকে না তখনও। টানের তীব্রতা এবং সংখ্যার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। যে সব বাচ্চার কখনওসখনও খুব অল্প টান ওঠে, তারা সাধারণত টান থেকে বাঁচার জন্য প্রতি দিন অল্প মাত্রার কর্টিকোস্টেরয়েড শুঁকে নেয়। যে সব রাসায়নিক পদার্থ নিঃসারিত হয়ে শ্বাসনালির প্রদাহ সৃষ্টি করে, এই সব ওষুধ ওই সব রাসায়নিক পদার্থ আটকে সেই প্রদাহ কমায়।
  • সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওষুধের মাত্রা কমানো বাড়ানো হয় যাতে বাচ্চার হাঁপানির লক্ষণগুলিকে ঠিকঠাক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং সাঙ্ঘাতিক টান ঠেকানো যায়। যদি এই ওষুধগুলি সাঙ্ঘাতিক টান ঠেকাতে না পারে, তবে বাচ্চাকে কর্টিকোস্টেরয়েড মুখে খেতে হতে পারে। যে সব বাচ্চার ব্যায়াম করার সময়ে টান ওঠে, তারা সাধারণত ব্রঙ্কোডাইলেটরের একটি ডোজ ব্যায়াম করার ঠিক আগে টেনে নেয়।
  • যে হেতু হাঁপানি দীর্ঘস্থায়ী একটি অবস্থা এবং এর অনেক রকম চিকিৎসা হয়, ডাক্তাররা বাবা-মায়ের সঙ্গে এবং বাচ্চার সঙ্গে পরামর্শ করে নিশ্চিত হন যে কী ধরনের সমস্যা রয়েছে তা তাঁরা ঠিকঠাক বুঝেছেন।
  • বাবা-মা এবং ডাক্তারদের উচিত বিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং অন্যদের বাচ্চার অবস্থা সম্পর্কে এবং কী ওষুধ দেওয়া হচ্ছে তা জানিয়ে রাখা। কিছু কিছু বাচ্চাকে বিদ্যালয়ে প্রয়োজনমতো ইনহেলার ব্যবহার করতে দেওয়া যেতে পারে এবং অন্যদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি বিদ্যালয়ের ডাক্তার দেখাশোনা করবেন।

সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/21/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate