এক জন গর্ভবতী মায়ের আহার এমন হওয়া উচিত যাতে ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের স্বাস্থ্য রক্ষা, প্রসবের সময় মায়ের শারীরিক শক্তি ও বাচ্চাকে স্তন্যপান করানোর মতো যথেষ্ট দুধ হয়। ভ্রূণের বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন-সমৃদ্ধ আহার দরকার। যদি সম্ভব হয়, তবে গর্ভবতী মায়ের যথেষ্ট পরিমাণ দুধ, ডিম, মাছ ও পোলট্রিজাত পণ্য ও মাংস খাওয়া উচিত। যদি তিনি নিরামিষাশী হন, তবে নানান শস্য, প্রচুর ডাল ও বাদাম খাওয়া উচিত৷
শরীরে রক্তাল্পতা কমানোর জন্য ও ভ্রূণের রক্ত তৈরির জন্য লোহা (আয়রন) খুব গুরুত্বপূর্ণ।এ জন্য গর্ভবতী মহিলার চিনির বদলে গুড়, জোয়ার বা বাজরা দিয়ে তৈরি খাবার, তিল ও যথেষ্ট পরিমাণ গাঢ় সবুজ শাকসব্জি খাওয়া উচিত৷ মেটে ও যকৃতেও প্রচুর আয়রন আছে।যদি তিনি নিরামিষাশী হন, তবে নানান শস্য, প্রচুর ডাল ও বাদাম খাওয়া উচিত৷
শিশুর হাড় ও দাঁত তৈরির জন্য ক্যালসিয়াম খুব দরকারী। দুধ ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে ভালো উৎস। জোয়ার ও বাজরাতেও ক্যালসিয়াম আছে। এর সঙ্গে গর্ভবতীকে ছোট শুকনো মাছ খেতে উৎসাহ দেওয়া উচিত।
গর্ভবতী মহিলার জন্য ভিটামিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর প্রচুর পরিমাণ শাকসব্জি (বিশেষ করে গাঢ় সবুজ শাকসব্জি)ও লেবু জাতীয় এবং অন্যান্য ফল খাওয়া উচিত।
গর্ভজনিত কারণে রক্তচাপ বাড়লে বা প্রি-এক্ল্যাম্পশিয়া হলে কম নুন দেওয়া খাবার খাওয়া দরকার। এ ধরনের খাবার শরীরে জল জমা (ইডিমা) প্রতিরোধ করে বা কমায়। গর্ভবতী মহিলা সাধারণ খাবার খেতে পারেন। তবে নোনতা খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল এবং রান্নাতেও খুব কম বা নুন না দেওয়া উচিত৷
প্রি - এক্ল্যাম্পসিয়ার ক্ষেত্রে, বিশেষত যদি মূত্রে অ্যালবুমিন থাকে, তবে খুব বেশি পরিমাণ প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। মাকে প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া বাড়ানোর পরামর্শ দিতে হবে।
উৎস : পোর্টাল কন্টেন্ট দল
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/24/2020
গর্ভাবস্থায় কেন অসুস্থতা এড়িয়ে চলা উচিত, তা এখানে ...
এখানে আইএফএ-র অভাব পূরণ সম্পর্কিত কিছু তথ্য রয়েছে
অর্থের জন্য কী ভাবে প্রস্তুত থাকা দরকার তা এখানে ব...