জাতীয় তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে দেশে মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ কমছে। অন্য দিকে সদ্যোজাতের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সূচকের ক্ষেত্রেও উন্নতি ঘটছে। কিন্তু অনেক সূচকের ক্ষেত্রেই লিঙ্গ বৈষম্য রয়েছে। জন্ম হওয়ার আগেই মৃত্যু, সদ্যোজাতের মৃত্যু এবং পাঁচ বছর হওয়ার আগে মেয়েদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার বেশি। কন্যাভ্রূণ হত্যা এবং শিশুকন্যা হত্যার দৃষ্টান্ত তো রয়েছেই। অসুস্থ হলে বা অপুষ্টিতে ভুগলে শিশুপুত্রের তুলনায় শিশুকন্যাকে অনেক দেরিতে হাসপাতালে আনা হয়। কন্যার জন্ম দেওয়া এবং পুত্রের জন্ম দিতে না পারা অনেক সময়েই মেয়েদের প্রসব-পরবর্তী বিষণ্ণতার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর পাশাপাশি নানা সামাজিক কারণে বাড়ছে আত্মহত্যা। উল্লেখযোগ্য ভাবে যুবকদের থেকে যুবতীদের আত্মহত্যার হার তিন গুণ বেশি। মহিলা ও বালিকাদের উপর হিংসা আজকাল একটি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্কুলে নাম লেখানো, উপস্থিতি এবং সাক্ষরতার হার মহিলাদের মধ্যে যথেষ্ঠ কম। এ সব ক্ষেত্রে মহিলাদের হার কম হওয়ার বেশ কিছু কারণ আছে। এলাকা থেকে স্কুল দূরে হওয়ার কারণে অনেকেই দীর্ঘ পথে পরিয়ে স্কুলে যেতে ভয় পায়। স্কুলে মেয়েদের জন্য আলাদা বাথরুমের অভাব। আছে শিক্ষিকার স্বল্পতা। এর সঙ্গে শিশুকন্যাকে দুয়োরানি করে রাখার ব্যাপারটা তো আছেই।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/25/2020
এই বিভাগে নারীর স্বাস্থ্যে গুরুত্ব এবং লিঙ্গভিত্তি...