এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল নিষিক্ত ডিমটির কোনও ত্রুটি। যদি ডিমটি বড় হয় ও বৃদ্ধি পায়, তবে সাংঘাতিক অস্বাভাবিকতা, যেমন, বিকৃত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বা কোনও অঙ্গ না থাকা অবস্থা নিয়ে শিশুর জন্ম হতে পারে। অতএব, বলা যেতে পারে, গর্ভপাত হল অস্বাভাবিক জন্ম ঠেকানোর জন্য প্রকৃতির একটি পদ্ধতি।
যদি কোনও মহিলার গুরুতর অসুখ থাকে, যেমন, ম্যালেরিয়া বা সিফিলিস বা যদি খুব জোরে পড়ে যান, অথবা তাঁর জননাঙ্গের ত্রুটি বা সমস্যা থাকে টা হলেও গর্ভপাত হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে নিষিক্ত ডিমটি গর্ভাশয়ের বদলে অন্য কোথাও স্থাপিত হলে (সাধারণত গর্ভনালীতে) গর্ভপাত হয়। এই ধরণের গর্ভাধানের ক্ষেত্রে সবসময়েই গর্ভপাত হয়ে থাকে এবং এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।
গর্ভপাতের দুটি প্রধান লক্ষণ হল --- যোনি থেকে রক্তপাত এবং তলপেটে ব্যথা। শুরুতে রক্তপাত অল্প থাকে, কিন্তু ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং তার পরেই রক্তপিন্ড বের হতে থাকে। খুব বেশি মাসিক ঋতুস্রাব হলে যে রকম রক্তপাত ও ব্যথা হয়, স্বাভাবিক গর্ভপাতের ক্ষেত্রেও একই রকম হয়। বিশেষত, যদি গোড়ার দিকেই গর্ভপাত হয়। এই কারণে কখন গর্ভপাত হল, এটা বলা মুশকিল হয়, বিশেষত গর্ভবতী হয়েছে এমন সন্দেহই যদি না হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/15/2020
এখানে বন্ধ্যাত্বের কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।