মনে রাখতে হবে, কারও যদি প্রস্রাবে প্রদাহ সন্দেহ করা হয়, প্রস্রাবের নমুনা কালচারের জন্য ল্যাবে না পাঠিয়ে কখনও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাবেন না। প্রস্রাব কালচার না করলে কোন জাতীয় জীবাণু দ্বারা প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়েছে এবং কোন ওষুধ কাজ করবে তা নির্ধারণ করতে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। কোনও রকম সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খান। সাময়িক জ্বালা কমানোর জন্য এলোপাথাড়ি ওষুধ খেলে ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকে যায়।
আরও একটি সমস্যা দেখা যায়। তা হল গর্ভপাতজনিত জটিলতার কারণে আকস্মিক কিডনি বিকল। গ্রামের দাই-দের মাধ্যমে অবৈজ্ঞানিক উপায়ে যদি গর্ভপাত ঘটানো হয় তা হলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে জরায়ুতে ইনফেকশন হয়, পরে সেই ইনফেকশন রক্তে ছড়ায় এবং মারাত্মক সেপটিসিমিয়া হয়ে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে এবং যদি উপযুক্ত চিকিৎসা না হয় তা হলে মৃত্যু অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে। তাই কোনও ভাবেই অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গর্ভপাত ঘটানো উচিত নয়। যদি একান্তই গর্ভপাতের প্রয়োজন হয় তা হলে যেখানে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে গভর্পাত করানো হয় সেখানে যাওয়া উচিত। যদি অবৈজ্ঞানিক গভর্পাতের কারণে কোনও সমস্যা তৈরি হয় তা হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়া উচিত। এ ছাড়া প্রসব অবশ্যই প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসকের মাধ্যমে করানো উচিত। যাদের আগে থেকে কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের অনেক আগে থেকেই বাড়তি সাবধানতা নিয়ে প্রসব করাতে হবে।
তথ্যসূত্র: স্বাস্থ্য বাংলা ডট কম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 10/27/2019