জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি বিত্ত ও উন্নয়ন নিগম (এনবিসিএফডিসি) ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের অধীনে ভারত সরকারের একটি উদ্যোগ। কোম্পানি আইন ১৯৫৬-র ২৫ ধারা অনুযায়ী ১৯৯২ সালের ১৩ জানুয়ারি এনবিসিএফডিসি বিধিবদ্ধ। এর লক্ষ্য হল মুনাফা না করে অনগ্রসর শ্রেণির স্বার্থে অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক কাজকর্ম চালানো এবং দক্ষতা তৈরিতে ও স্বনিযুক্তি কাজকর্মে লিপ্ত হতে এই শ্রেণি গরিব মানুষদের সাহায্য করা।
রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনের মনোনীত স্টেট চ্যানেলাইজিং এজেন্সিগুলির (এসসিএ) মাধ্যমে এনবিসিএফডিসি আর্থিক সাহায্য করে থাকে। এ ছাড়াও এসসিএ এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে এনবিসিএফডিসি ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে থাকে। আয়ের উৎস হতে পারে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলির এমন কাজকর্মে নিগম সহায়তা করে যাতে স্বনিযুক্তি উদ্যোগ ও দক্ষতা উন্নয়নের উদ্যোগে অনগ্রসর শ্রেণির দরিদ্র অংশকে সাহায্য করা যায়।
দারিদ্র্যসীমার দ্বিগুণ নীচে থাকা অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত ছাত্ররা যাতে স্নাতক ও তৎপরবর্তী স্তরে সাধারণ/পেশাদার/কারিগরি পাঠক্রম বা প্রশিক্ষণ চালাতে পারে তার জন্য এনবিসিএফডিসি ‘নতুন আকাঙ্ক্ষা’ নামে একটি শিক্ষা ঋণ প্রকল্প চালু করেছে।
ঋণ কেবলমাত্র রাজ্যস্তরের চ্যানেলাইজিং এজেন্সি মারফৎ কলেজ বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেওয়া হবে।
পাঠক্রমের মোট খরচের ৯০ শতাংশ সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা বা বছরে আড়াই লক্ষ টাকা (দেশে পড়ার জন্য) ও ২০ লক্ষ টাকা (বিদেশে পড়ার জন্য) হাতে পাওয়া যাবে। বাকি ১০ শতাংশ টাকা ছাত্র/এসসিএকে নিজেদের দিতে হবে।
৪ শতাংশ প্রতি বছর (মেয়েদের ক্ষেত্রে সাড়ে তিন শতাংশ)।
পাঠক্রম শেষ হওয়ার ছ’ মাস পর থেকে বা চাকরি/স্বনির্ভর কর্মোদ্যোগ শুরু করার পর থেকে (যেটি আগে হবে) ঋণ ফেরত দেওয়া শুরু করতে হবে।
তৃণমূল স্তরে এনবিসিএফডিসির প্রকল্পগুলির রূপায়ণের জন্য এবং গরিবদের সহায়তা করার লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পগুলিকে সাহায্য করার জন্য নিগম এসসিএগুলির মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করেছে। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।এসসিএগুলি নথিভুক্ত স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ঋণ দিতে পারে। এই প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য হল ---
এই প্রকল্পে যারা উপকৃত হবেন তাঁদের সরাসরি ঋণ দিয়ে এসসিএ-র মাধ্যমে এই প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে। যে সব অঞ্চল এই প্রকল্পের আওতায় এখনও আসেনি সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমেও (এসএইচজি) ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে অনগ্রসর শ্রেণির তালিকাভুক্ত হতে হবে এবং দারিদ্র্যসীমার দ্বিগুণ নীচে থাকতে হবে, যা গ্রামীণ এলাকায় বছরে ৪০ হাজার টাকা ও শহরাঞ্চলে ৫৫ হাজার টাকা ধার্য। এসএইচজির ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ সদস্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত হতে হবে। বাকি ২৫ শতাংশ সদস্য অন্য দুর্বল শ্রেণি যেমন তফশিলি জাতি বা তফশিলি উপজাতি, প্রতিবন্ধী বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত হলেও চলবে।
এনবিসিএফডিসি ঋণ - ৯০ শতাংশ
এসসিএ ঋণ - ৫ শতাংশ
উপকৃতদের প্রদেয় অর্থ - ৫ শতাংশ
ঋণ দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে তা খরচ করতে হবে।
৩৬ মাস
এনবিসিএফডিসি থেকে এসসিএ - ২ শতাংশ বছরে
এসসিএ থেকে এনজিও/এসএইচজি - ৫ শতাংশ বছরে
উদ্দিষ্ট গোষ্ঠীর মহিলা উদ্যোগীদের ক্ষুদ্র ঋণের জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া
প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা।
শহর বা গ্রামাঞ্চলে এসসিএ-র মাধ্যমে এই ঋণ দেওয়া হয়। তারা মহিলা সুবিধাভোগীদের সরাসরি বা স্বনির্ভর গোষ্ঠী মারফৎ ঋণ পৌঁছে দেয়।
কেন্দ্র বা রাজ্য তালিকাভুক্ত অনগ্রসর শ্রেণির মহিলারা যারা দারিদ্র্যসীমার দ্বিগুণ নীচে বসবাস করে (অর্থাৎ শহরাঞ্চলে পারিবারিক রোজগার বছরে ৫৫ হাজার টাকা ও গ্রামাঞ্চলে ৪০ হাজার টাকা) এই ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
এনবিসিএফডিসি ঋণ - ৯৫ শতাংশ
এসসিএ/সুবিধাভোগীদের প্রদেয় - ৫ শতাংশ
ঋণ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে তা কাজে লাগাতে হবে।
এনবিসিএফডিসি থেকে এসসিএ - ১ শতাংশ প্রতি বছর
এসসিএ থেকে সুবিধাভোগী - ৪ সতাংশ প্রতি বছর
সূত্র : জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি বিত্ত ও কল্যাণ নিগম
উৎস : পোর্টাল কন্টেন্ট দল
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020