সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী যোজনা চলাকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ১৯৮৭ সালের ১৪ আগস্ট জাতীয় শিশুশ্রম নীতি অনুমোদন করে। যেখানে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা খুবই বেশি সেখানে শিশুশ্রম কমানোর লক্ষ্যে শিশুশ্রমিকদের কাজ থেকে সরিয়ে তাদের সুষ্ঠু পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার উদ্দেশ্যেই এই নীতি প্রণয়ন করা
এই নীতির মুখ্য তিনটি বিষয় ---
১৯৯১ সালের জনগণনা অনুযায়ী দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ১ কোটি ১০ লক্ষ। সম্পদের ঘাটতির কথা এবং বর্তমান সামাজিক সচেতনতার কথা মাথায় রেখে সরকার দশম পরিকল্পনার শেষে বিপজ্জনক পেশা থেকে শিশুশ্রম দূর করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। বিপজ্জনক পেশা থেকে শিশুশ্রম দূর করার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে শিশুশ্রম একেবারে নির্মূল করা অত্যন্ত প্রগতিশীল পদক্ষেপ।
এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত গোষ্ঠী হল ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুশ্রমিকরা যারা নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে কর্মরত-
১৯৯১ সালের জনগণনা অনুযায়ী দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ১ কোটি ১২ লক্ষ ৮০ হাজার। যদিও ১৯৯৯-২০০০ সালের এনএসএসও সমীক্ষা দেখাচ্ছে দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লক্ষ। শিশুদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে এই পরিকল্পনা ধাপে ধাপে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে যার প্রথম পদক্ষেপ বিপজ্জনক জীবিকা থেকে শিশুশ্রম দূর করা। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে বিপজ্জনক ক্ষেত্রে শিশুশ্রমিকদের অবস্থা সম্পর্কিত সমীক্ষা করে তাদের সেই সব পেশা বা প্রক্রিয়া থেকে তুলে এনে বিশেষ স্কুলে ভর্তি করতে হবে (পুনর্বাসন ও কল্যাণ কেন্দ্র) যাতে তারা প্রথাগত স্কুল ব্যবস্থার আওতায় আসার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। দশম পরিকল্পনায় এ ব্যাপারে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের কথাও বলা আছে।
জাতীয় শিশুশ্রম প্রকল্পের অধীনে প্রকল্প এলাকার মধ্যে শিশুদের বিভিন্ন উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কর্মসূচির উপর দৃষ্টিপাত করা হয়। প্রকল্পের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্র সম্পর্কিত সংবদ্ধ কর্মসূচি নেওয়া প্রয়োজন। দশম পরিকল্পনাকালে যে সব কাজ এই প্রকল্পের আওতায় নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল-
আরও তথ্যের জন্য দেখুন, NCLP Scheme
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020