২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভারত সরকার এই প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পে দরীদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী ৪০ বছর থেকে ৫৯ বছর বয়স্কা বিধবা মহিলাদের মাথাপিছু মাসিক ৪০০ টাকা হারে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। সকল যোগ্য উপভোক্তারাই এই প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত হবেন কারণ এই প্রকল্পটির কোনও স্তরেই নির্দিষ্ট কোটা নেই।
এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তার পরিমান উপভোক্তাপিছু মাসিক ৪০০ টাকা। ( কেন্দ্রীয় সরকার মাসিক ২০০ টাকা ও রাজ্য সরকার মাসিক ২০০ টাকা অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার সমান সমান আর্থিক দায়িত্ব বহন করছে এই কর্মসূচির ক্ষেত্রে) ।
গ্রামীন পরিবার সমীক্ষা ২০০৫ থেকে প্রাপ্ত বি.পি.এল. তালিকা এবং গ্রামীণ পরিবার সমীক্ষা সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত, গ্রাম সংসদ ভিত্তিক ৪০ থেকে ৫৯ বছর বা তার বেশি বয়স্কা বিধবা মহিলাদের নামের তালিকা তৈরী করবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুসন্ধানকারী কর্মচারী আবেদনকারীর কাছ থেকে নির্দিষ্ট ছকে আবেদনপত্র ও যোগ্যতা নির্ণায়ক প্রয়োজনীয় নথি পত্রাদি সংগ্রহ করবেন। গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বিনামূল্যে এই আবেদন পত্র পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পে সাহায্য প্রাপকদের অনুমোদনকারী গ্রাম পঞ্চায়েত তথা প্রধান। গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারন সভায় এই প্রকল্পের যোগ্য উপভোক্তার সমস্ত শর্ত পূরণ করেছে এমন নামের তালিকা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত বিধবাভাতা প্রাপকদের তলিকা অনুমোদন করবে।
আবেদনপত্র ও যোগ্যতা নির্ণায়ক প্রয়োজনীয় নথি পত্রাদি গ্রাম পঞ্চায়েতে জমা দিতে হবে।
বর্তমানে গ্রামীন পরিবার সমীক্ষা ২০০৫ -এর ভিত্তিতে উপভোক্তা চিহ্নিত করা হয়। কোন বিধবা মহিলা পুনরায় বিবাহ করলে এই প্রকল্প থেকে প্রাপ্য ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে। কোন বিধবা মহিলা পুনরায় বিবাহ করেছে সংবাদ পেলে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ওই তথ্য পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাহী আধিকারিককে জানাবেন এবং পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাহী আধিকারিক ওই সংবাদের সত্যতা অনুসন্ধান করে এবং ওই মহিলাকে শুনানির সুযোগ দিয়ে তার বিধবা ভাতা বাতিল করবেন বা বহাল রাখবেন। ৫৯ বছরের বয়স-সীমা অতিক্রম করার সাথে সাথে উপভোক্তা আর বিধবা ভাতা পাবেন না। তবে তিনি ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বার্ধক্য ভাতার জন্য যথাযথ নিয়মে বিবেচিত হবেন। এর জন্য উপভোক্তাকে আলাদা করে আবেদন করতে হবে না বা নতুন করে কোনও ব্যাঙ্ক / পোষ্ট অফিসের একাউন্টও খুলতে হবে না।
তথ্য সংকলন ঃ বাংলা বিকাশপিডিয়া
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/24/2020