অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

গ্রাম উদয় সে ভারত উদয় অভিযান

গ্রাম উদয় সে ভারত উদয় অভিযান

গত দু’এক দশকে ভারতে শহরীকরণ বাড়লেও, দেশের বেশির ভাগ মানুষ এখনও দেশের ৬০০,০০০ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে। এই গ্রামগুলির রূপান্তরণই ভারতকে প্রকৃত প্রাণবন্ত ও শক্তিশালী করে তুলবে। এই বিশ্বাস থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৪ ই এপ্রিল থেকে ২৪ শে এপ্রিল পর্যন্ত ‘গ্রাম উদয় সে ভারত উদয় অভিযান’ শুরু করেছেন। এই প্রথম ভারত সরকার ও রাজ্য সরকারগুলি এ ধরণের অভিযান হাতে নিল। এর লক্ষ্য হল, গ্রামে সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি, পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থা মজবুত করা, গ্রামীণ বিকাশ ও কৃষকদের কল্যাণ সুনিশ্চিত করা।

বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভারত উজ্জ্বলতম স্থান। বিশ্বের বৃহত্তম এই গণতান্ত্রিক দেশ যদি গ্রামাঞ্চলে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে পারে, তবে বিকাশ আরও ত্বরান্বিত হবে। ২০১৬-১৭ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে কৃষি ও গ্রামীণ বিকাশকে যথেষ্ট গুরত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধান মন্ত্রী কয়েক দিন আগে শীর্ষ আধিকারিকদের বলেন, দেশের রূপান্তরণের জন্য তাঁদেরকেই পরিবর্তনের বাহক হতে হবে। ১০ টি রাজ্য খরার কবলে। আধিকারিকরা গ্রামাঞ্চলে গিয়ে মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখলে সরকার প্রকৃত পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারবে।

পরিচ্ছন্নতার প্রশ্নটি গ্রামাঞ্চলের অন্যতম সমস্যা। সরকার ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ শুরু করেছে। দেশে বিপুল সংখ্যক শৌচালয় গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। গ্রাম নিয়ে অনেকের ভ্রান্ত ধারণা থাকলেও আর্থিক বৈষম্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সামাজিক সম্প্রীতির বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

‘গ্রাম উদয় সে ভারত উদয় অভিযান’-এর আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, গ্রাম কৃষক সভার আয়োজন। ঐ সভাগুলিতে কৃষকদের প্রধান মন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার মত বিভিন্ন সরকারী যোজনার বিষয়ে অবহিত করা হয়। এই অভিযান সফল করার জন্য কেন্দ্র প্রায় ৩০০ আধিকারিককে মোতায়েন করেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, সরকার মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ডের মত কিছু অভিনব প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এটি শ্রী মোদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় ঐ রাজ্যে রূপায়িত করেছিলেন।

ক্ষমতায় আসার পর এন ডি এ সরকার ১৩-দফা কার্যসূচী হাতে নিয়েছে, যা ২০২২ সালের মধ্যে রূপায়িত হবে। এগুলির মধ্যে রয়েছে, ৬ কোটি গৃহ নির্মাণ, যার মধ্যে ৪ কোটি হবে গ্রামে। এগুলিতে থাকবে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ, স্বচ্ছ পানীয় জল ও শৌচালয়; ২০২০ সাল নাগাদ দাশের বাকি ২০,০০০ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া, ইত্যাদি। এই সব কার্যসূচী রূপায়িত হলে গ্রামীণ ভারত সত্যি সত্যিই শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

মূল রচনাঃ সুনীল গাতাডে

সংকলন : বিকাসপিডিয়া টিম

সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate