অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

জাতীয় প্রতিরক্ষা তহবিল

জাতীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত কর্মপ্রচেষ্টার লক্ষ্যে সংগৃহীত নগদ বা অন্যান্য দান এবং তার যথাযথ ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে জাতীয় উন্নয়ন তহবিল গঠন করা হয়। সশস্ত্র বাহিনীর (আধা-সামরিক বাহিনী সহ) সদস্য এবং তাঁদের ওপর নির্ভরশীল পরিবার-পরিজনের কল্যাণে এই তহবিলের অর্থ ব্যবহার করা হয়। এই তহবিল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত এক প্রশাসনিক কমিটি। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন – কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা, অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। তহবিলের কোষাধ্যক্ষ হলেন অর্থমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের যুগ্মসচিব হলেন এই প্রশাসনিক কমিটির সচিব। তহবিলের অ্যাকাউন্টস রয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কে। তহবিলের অর্থ পুরোটাই সংগৃহীত হয় জনসাধারণের স্বেচ্ছাদান থেকে এবং তাতে কোনও রকম বাজেট সহায়তা যোগ করা হয় না। অনলাইনেও এই তহবিলে অর্থদানের ব্যবস্থা রয়েছে। pmindia.nic.in, pmindia.gov.in এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার www.onlinesbi.com ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রতিরক্ষা তহবিলে অর্থ দান করা যায়। নয়াদিল্লির পার্লামেন্ট স্ট্রিটে অবস্থিত ইন্সটিটিউশনাল ডিভিশনের চতুর্থ তল-এ অবস্থিত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কালেকশন অ্যাকাউন্ট নম্বর হল – ১১০৮৪২৩৯৭৯৯ ।

প্রতিরক্ষা তহবিলের পার্মানেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর (প্যান) হল AAAGN0009F.

জাতীয় প্রতিরক্ষা তহবিলের আওতায় বিভিন্ন কর্মসূচি

  • ১) সশস্ত্র ও আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মীদের বিধবা ও ছেলেমেয়েদের কারিগরি শিক্ষা ও স্নাতকোত্তর পঠন-পাঠনে উৎসাহ দিতে একটি বৃত্তিদান কর্মসূচি রূপায়ণ করা হয়। সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেত্রে এই কর্মসূচি রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রাক্তন সেনাকর্মীদের উন্নয়ন দপ্তর। আধা-সামরিক বাহিনী এবং রেল রক্ষী বাহিনীর কর্মীদের ক্ষেত্রে এই কর্মসূচি রূপায়ণ করা হয় যথাক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে।
    • জাতীয় প্রতিরক্ষা তহবিল থেকে “প্রধানমন্ত্রীর বৃত্তিদান প্রকল্প” – এর প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য :-

    • ক) সশস্ত্র বাহিনী (আধা-সামরিক বাহিনী সহ)-র জন্য এই কর্মসূচিটি রূপায়িত হয়। প্রাক্তন সেনাকর্মী (আধিকারিক পদ মর্যাদার নীচে), তাঁদের বিধবা, কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত সেনাকর্মীদের বিধবা এবং আধা-সামরিক বাহিনী ও রেল রক্ষী বাহিনীর বিধবা ও সন্তান-সন্তদিদের এই মাসিক বৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তি দেওয়া হয় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে (মেডিকেল, ডেন্টাল, ভেটেরেনারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, এম.বি.এ., এম.সি.এ. এবং সমতুল অন্যান্য কারিগরি পেশার জন্য যা এ.আই.সি.টি.ই./ইউ.জি.সি. অনুমোদিত)। উপরে উল্লেখিত কারণে মৃত সেনাকর্মীদের বিধবাদের এবং তাঁদের সন্তান-সন্ততিদের ক্ষেত্রে পদ মর্যাদাজনিত কোনও রকম নিয়ন্ত্রণ নেই। সমস্ত আধা-সামরিক বাহিনীর সন্তান-সন্ততিদের ক্ষেত্রেও এই কর্মসূচিটি প্রযোজ্য। এই কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিভিন্ন বাহিনীর সেনাকর্মীদের সন্তান-সন্ততিদের ৪ হাজার নতুন বৃত্তি দেওয়া হয়। ৯১০টি নতুন বৃত্তি দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত বাহিনীর কর্মীদের সন্তান-সন্ততিদের। রেল মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত বাহিনীর কর্মীদের সন্তান-সন্ততির জন্য ব্যবস্থা রয়েছে ৯০টি নতুন বৃত্তির। সূচনায় প্রতি মাসে ছেলেদের জন্য বৃত্তির হার ছিল ১ হাজার ২৫০ টাকা এবং মেয়েদের জন্য ১ হাজার ৫০০ টাকা। বর্তমানে বৃত্তির বার্ষিক হার সংশোধন করে করা হয়েছে ছেলেদের জন্য প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসে ২ হাজার ২৫০ টাকা।
  • ২) প্রধানমন্ত্রী সিয়াচেন বেসক্যাম্প পরিদর্শনকালে ৬ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জওয়ানদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য হাসপাতালে একটি সিটি স্ক্যান মেশিন সংস্থাপন এবং তাঁদের বিনোদনের জন্য দুটি বড় হোম থিয়েটারের ব্যবস্থা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। হোম থিয়েটারের ব্যবস্থা করার অর্থ দেওয়া হয় জাতীয় প্রতিরক্ষা তহবিল থেকে। সিটি স্ক্যান মেশিনটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নিজস্ব সহায়-সম্পদের সাহায্যে সংস্থাপন করে।
  • ৩) আই.এন.এস. বিরাট পরিদর্শনকালে চিকিৎসা ও সুস্থতা বজায় রাখার ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সুপারিশ অনুযায়ী, এজন্য জাতীয় প্রতিরক্ষা তহবিল থেকে ৩৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
  • ৪) অক্ষম সেনাকর্মীদের পুনর্বাসনের জন্য ক্যুইন মেরিজ টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট এবং মোহালির প্যারাপ্লেজিক পুনর্বাসন কেন্দ্রকে আরও উন্নীত করতে জাতীয় প্রতিরক্ষা তহবিল থেকে ৭ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
  • ৫) ইম্ফলের কুকি ইন কমপ্লেক্সে একটি কম্যুনিটি হল তথা সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগার নির্মাণের লক্ষ্যে জাতীয় প্রতিরক্ষা তহবিল থেকে এককালীন অনুদান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মঞ্জুর করেছেন ১ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা।
  • ৬) অরুণাচল প্রদেশ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী দেহান, সেঙ্গে, লিকাবালি এবং মিশামারী’র দুটি ডিভিশন এরিয়ায় রান্নাঘরের সাজসরঞ্জাম এবং থাকার বন্দোবস্ত সহ ট্র্যানজিটের সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণে জাতীয় প্রতিরক্ষা তহবিল থেকে ৯০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। ঐ অর্থ অরুণাচল প্রদেশের অন্যান্য অঞ্চলে (সুবনসিড়ি উপত্যকা, সিয়াং উপত্যকা, সিম উপত্যকা, লোহিত উপত্যকা এবং দেবাং উপত্যকায় উপগ্রহ যোগাযোগের সাজসরঞ্জাম সহ) যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজেও ব্যয় করা হবে)।
  • ৭) জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষীদের কেন্দ্রীয় কল্যাণ তহবিলে ২০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় প্রতিরক্ষা তহবিল থেকে দেওয়া এই অর্থ কল্যাণমূলক কাজকর্মে ব্যয় করা হবে।
  • ৮) সেনাকর্মী ও তাঁদের পরিবারবর্গের কল্যাণ সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে জাতীয় প্রতিরক্ষা তহবিল থেকে বার্ষিক অনুদান হিসেবে ১৫ লক্ষ টাকা এস.পি.জি. পরিবার কল্যাণ তহবিলে দেওয়া হচ্ছে।

বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন :- https://ndf.gov.in/

তথ্য সুত্রঃ পি এম ইন্ডিয়া থেকে সংকলিত

সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate