পশ্চিমবঙ্গ জন পরিষেবা অধিকার আইন কী?
উত্তর : এই আইনটি ২০১৩-এর ৩-রা অক্টোবর চালু হয়। নাগরিকেরা যাতে সরকারী দপ্তর বা সরকারের অধীনস্থ সংস্থা থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পরিষেবা পানসেটাই এই আইনের উদ্দেশ্য।
কীভাবে এটা নাগরিকদের সাহায্য করে?
উত্তর : এই আইন একজন নাগরিককে প্রজ্ঞাপিত পরিষেবাগুলিনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পেতে সাহায্য করবে।
এই আইন অনুযায়ী একজন নাগরিক কোন কোন সরকারী দপ্তর থেকে পরিষেবা পেতে পারেন?
উত্তর : সরকারী বা সরকার দ্বারা গঠিত কোনা কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান যা
- (১) সংবিধান অনুযায়ী
- (২) রাজ্য বিধানসভার আইন অনুযায়ী
- (৩) রাজ্য সরকার কর্তৃক বিজ্ঞপ্তি বা আদেশ জারির মাধ্যমে গঠিত এবং
- (ক) রাজ্য সরকারের নিজস্ব, নিয়ন্ত্রিত বা যথেষ্ট পরিমাণে আর্থিক সহায়তাপ্রাপ্ত সংস্থা;
- (খ) অসরকারী সংস্থা যা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তাপ্রাপ্ত। এইসব দপ্তর বা সংস্থা থেকে নাগরিকেরা এই আইন অনুযায়ী পরিষেবা পাবেন। রাজ্য সরকার সময় সময় সরকারী গেজেটে এই আইনাধীন কর্তৃপক্ষ, পরিষেবা, দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক, আপীল আধিকারিক, পুনর্বিবেচনা আধিকারিক ও পরিষেবার নির্দিষ্ট সময়সীমা প্রকাশকরবেন।
কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা এই আইনের মধ্যে পড়ছে?
উত্তর : বেশকিছু পরিষেবা ইতিমধ্যেই এই আইনের আওতাধীন। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার নাম নীচে দেওয়া হল :-
- (ক) তফশিলী জাতি/উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়-দের জাতিগত শংসাপত্ৰ;
- (খ) যানবাহন নিবন্ধীকরণ, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্ৰদান ইত্যাদি;
- (গ) নতুন রেশন কার্ড, ঠিকানা, বয়স, উপাধি, পরিবার-কর্তার নাম পরিবর্তন, রেশন কার্ডের নকল, রেশন কার্ডের সমর্পণ ও পরিবর্তন, রেশন কার্ডের পুনর্নবীকরণ;
- (ঘ) জমির তথ্য, অধিকার তথ্যের শংসিত নকল, ডিব্ৰু বি. এল. আর ও ডব্ৰু বি. ই. এ. আইনের ধারায় শংসিত নকল প্রদানের আদেশ;
- (ঙ) অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশীট, শংসাপত্রের নকল বা সংশোধন (মাধ্যমিক/উচ্চ মাধ্যমিক), বাের্ড পরিবর্তনের ছাড়পত্র (মাধ্যমিক/উচ্চ মাধ্যমিক);
- (চ) প্রতিবন্ধী শংসাপত্র, জননী সুরক্ষা যোজনা, জন্মের শংসাপত্র ও মৃত্যুর শংসাপত্ৰ ; এছাড়া আরও অনেক পরিষেবা।
কীভাবে একজন নাগরিক এই আইনে বর্ণিত পরিষেবা গ্ৰহণ করতে পারবেন?
উত্তর : পরিষেবা পাওয়ার জন্য একজন নাগরিক দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ঐ পরিষেবার জন্য নির্দিষ্ট নিন্দর্শে (ফর্ম) আবেদন করবেন।
প্ৰজ্ঞাপিত পরিষেবা পাওয়ার আবেদনপত্র জমা দেবার পর একজন নাগরিক কি পাবেন?
উত্তর : দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বা তাঁর দ্বারা ক্ষমতাপ্রদত্ত আধিকারিকের কাছ থেকে ঐ নাগরিক নিদর্শ– ১ (ফর্ম-১)-তে একটি প্রাপ্তিস্বীকারপত্র পাবেন।
পশ্চিমবঙ্গ জন পরিষেবা অধিকার আইন, ২০১৩ পশ্চিমবঙ্গ জন পরিষেবা অধিকার আইন কী?
উত্তর : এই আইনটি ২০১৩-এর ৩-রা অক্টোবর চালু হয়। নাগরিকেরা যাতে সরকারী দপ্তর বা সরকারের অধীনস্থ সংস্থা থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পরিষেবা পানসেটাই এই আইনের উদ্দেশ্য।
কীভাবে এটা নাগরিকদের সাহায্য করে?
উত্তর : এই আইন একজন নাগরিককে প্রজ্ঞাপিত পরিষেবাগুলিনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পেতে সাহায্য করবে।
এই আইন অনুযায়ী একজন নাগরিক কোন কোন সরকারী দপ্তর থেকে পরিষেবা পেতে পারেন?
উত্তর : সরকারী বা সরকার দ্বারা গঠিত কোনাে কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান যা
- (১) সংবিধান অনুযায়ী
- (২) রাজ্য বিধানসভার আইন অনুযায়ী
- (৩) রাজ্য সরকার কর্তৃক বিজ্ঞপ্তি বা আদেশ জারির মাধ্যমে গঠিত এবং
- (ক) রাজ্য সরকারের নিজস্ব, নিয়ন্ত্রিত বা যথেষ্ট পরিমাণে আর্থিক সহায়তাপ্রাপ্ত সংস্থা ;
- (খ) অসরকারী সংস্থা যা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তাপ্রাপ্ত। এইসব দপ্তর বা সংস্থা থেকে নাগরিকেরা এই আইন অনুযায়ী পরিষেবা পাবেন। রাজ্য সরকার সময় সময় সরকারী গেজেটে এই আইনাধীন কর্তৃপক্ষ, পরিষেবা, দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক, আপীল আধিকারিক, পুনর্বিবেচনা আধিকারিক ও পরিষেবার নির্দিষ্ট সময়সীমা প্রকাশকরবেন।
কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা এই আইনের মধ্যে পড়ছে?
উত্তর : বেশকিছু পরিষেবা ইতিমধ্যেই এই আইনের আওতাধীন। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার নাম নীচে দেওয়া হল :-
- (ক) তফশিলী জাতি/উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়-দের জাতিগত শংসাপত্ৰ ;
- (খ) যানবাহন নিবন্ধীকরণ, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্ৰদান ইত্যাদি;
- (গ) নতুন রেশন কার্ড, ঠিকানা, বয়স, উপাধি, পরিবার-কর্তার নাম পরিবর্তন, রেশন কার্ডের নকল, রেশন কার্ডের সমর্পণ ও পরিবর্তন, রেশন কার্ডের পুনর্নবীকরণ;
- (ঘ) জমির তথ্য, অধিকার তথ্যের শংসিত নকল, ডিব্ৰু বি. এল. আর ও ডব্ৰু বি. ই. এ. আইনের ধারায় শংসিত নকল প্রদানের আদেশ;
- (ঙ) অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশীট, শংসাপত্রের নকল বা সংশোধন (মাধ্যমিক/উচ্চ মাধ্যমিক), পরিবর্তনের ছাড়পত্র (মাধ্যমিক/উচ্চ মাধ্যমিক);
- (চ) প্রতিবন্ধী শংসাপত্র, জননী সুরক্ষা যোজনা, জন্মের শংসাপত্র ও মৃত্যুর শংসাপত্ৰ ; এছাড়া আরও অনেক পরিষেবা।
কীভাবে একজন নাগরিক এই আইনে বর্ণিত পরিষেবা গ্ৰহণ করতে পারবেন?
উত্তর : পরিষেবা পাওয়ার জন্য একজন নাগরিক দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ঐ পরিষেবার জন্য নির্দিষ্ট নিন্দর্শে (ফর্ম) আবেদন করবেন।
প্ৰজ্ঞাপিত পরিষেবা পাওয়ার আবেদনপত্র জমা দেবার পর একজন নাগরিক কি পাবেন?
উত্তর : দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বা তাঁর দ্বারা ক্ষমতাপ্রদত্ত আধিকারিকের কাছ থেকে ঐ নাগরিক নিদর্শ– ১ (ফর্ম-১)-তে একটি প্রাপ্তিস্বীকারপত্র পাবেন।
কে আপীল করতে পারেন ?
উত্তর : যে আবেদনপত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বাতিল করেছেন বা যে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পরিষেবা দেওয়া হয়নি, সেই আবেদনকারী আবেদন করতে পারেন।
দায়িত্বপ্ৰাপ্ত আধিকারিকের আদেশের বিরুদ্ধে কতদিনের মধ্যে আপীল করতে হবে ?
উত্তর : আবেদনপত্ৰ বাতিল এই আদেশ জানিবার বা সময়সীমা অতিক্রম করার ৩০ দিনের মধ্যে আবেদনকারী আপীল করতে পারেন।
আপীল বা পুনর্বিবেচনার আবেদনের সঙ্গে কোনো ফ্ৰী জমা দিতে হবে কী ?
উত্তর : আপীল বা পুনর্বিবেচনার আবেদনপত্রের জন্য কোনো ফ্ৰী লাগবে না।
দায়িত্বপ্ৰাপ্ত আধিকারিকের আদেশের বিরুদ্ধে একজন আবেদনকারী কীভাবে আপীল করবেন ?
উত্তর : দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের আদেশের বিরুদ্ধে একজন আবেদনকারী নিম্নলিখিত তথ্য/কাগজপত্রসহ নিদর্শ-২ (ফর্ম-২)-তে আপীল করতে পারেন।
- (ক) আপীলকারীর নাম ও সম্পূর্ণ ঠিকানা ;
- (খ) কী পরিষেবা চাওয়া হয়েছিল তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা ;
- (গ) দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে পরিষেবা চেয়ে আবেদন করার।তারিখ ;
- (ঘ) যে আদেশের বিরুদ্ধে প্রথম বা দ্বিতীয় আপীল করা হবে তার স্ব-শংসিত নকল;
- (ঙ) যেসব কাগজপত্রের উপর ভিত্তি করে প্রথম আপীল বা দ্বিতীয় আপীল করা হচ্ছে তার স্বশংসিত নকল।
- (চ) আপীলের কারণ ;
- (ছ) কী প্রতিবিধান চাওয়া হচ্ছে;
- (জ) আপীল করার জন্য প্রয়ােজনীয় আর কোনাে তথ্য যা আবেদনকারী গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। আপীলটি যদি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের প্রাপ্তিস্বীকারপত্র না দেওয়ার বিরুদ্ধে হয়, তবে আবেদনের তারিখ, দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের নাম ও ঠিকানা ;
আপীল আধিকারিকের কাজ কী ?
উত্তর : আপীল আধিকরিক দায়িতপ্ৰাপ্ত আধিকারিককে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিষেবাটি দেবার আদেশ দিতে পারেন বা আপীলটি বাতিল করতে পারেন।
কে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাতে পারেন ?
উত্তর : একজন আপীলকারী যদি আপীল আধিকারিকের আদেশে সন্তুষ্ট না হন তবে তিনি ঐ আদেশের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনা আধিকারিকের কাছে দ্বিতীয়বার আপীল করতে পারেন।
পুনর্বিবেচনার আবেদনের সময়সীমা কী ?
উত্তর : আপীল আধিকারিকের আদেশের ৬০ দিনের মধ্যে পুনর্বিবেচনা আধিকারিকের কাছে আপীল করতে হবে।
আপীল আধিকারিকের আদেশের বিরুদ্ধে কীভাবে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো যাবে ?
উত্তর : আপিল আধিকারিকের আদেশের বিরুদ্ধে নিম্নলিখিত তথ্য/কাগজপত্রসহ নিদর্শ-৩ (ফর্ম-৩)-তে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাতে পারেন :-
- (ক) আপীলকারীর নাম ও সম্পূর্ণ ঠিকানা ;
- (খ) কি পরিষেবা চাওয়া হয়েছিল তার সংক্ষিপ্ত বৰ্ণনা ;
- (গ) দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে পরিষেবা চেয়ে আবেদন করার তারিখ ;
- (ঘ) যে আদেশের বিরুদ্ধে প্রথম বা দ্বিতীয় আপীল করা হচ্ছে তার স্ব-শংসিত নকল ;
- (ঙ) যেসব কাগজপত্রের উপর ভিত্তি করে প্রথম আপীল বা দ্বিতীয় আপীল করা হয়েছে;
- (চ) আপীলের কারণ ;
- (ছ) কী প্রতিবিধান চাওয়া হচ্ছে;
- (জ) আপীল করার জন্য প্রয়ােজনীয় আর কোনাে তথ্য, আপীলটি যদি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের প্ৰাপ্তিস্বীকারপত্র না দেওয়ার বিরুদ্ধে হয়, তবে আবেদনের তারিখ, দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের নাম ও ঠিকানা।
আপীল বা পুনর্বিবেচনার আবেদনের উপর সিদ্ধান্ত নিতে কী পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া হবে ?
উত্তর : আপীল আধিকারিক বা পুনর্বিবেচনা আধিকারিক যখন কোনো আপীল বিবেচনা করবেন, তখন তিনি(ক) সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, সরকারী কাগজপত্র বা তার নকল পরীক্ষা করবেন; (খ) আপীলটি শুনানীর সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ও আবেদনকারী বা তাঁর প্রতিনিধির বক্তব্য শুনবেন।
আপীল ও পুনর্বিবেচনার তারিখ কীভাবে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে জানানো হবে ?
উত্তর : নিম্নলিখিত যে কোনো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করে আবেদনের শুনানীর তারিখ জানানো যেতে পারে
- (ক) বিশেষ পত্রবাহকের মাধ্যমে হাতে হাতে চিঠি দিয়ে(দস্তি) ;
- (খ) প্রাপ্তিস্বীকারপত্রসহ রেজিষ্টার্ড ডাকে ;
- (গ) সরকারী কর্মী হলে তাঁর নিয়ন্ত্রক আধিকারিকের মাধ্যমে।
কত দিন আগে নোটীশ দেওয়ার প্রয়োজন ?
উত্তর : আপীল, আবেদন বা পুনর্বিবেচনার আবেদন প্রত্যেক ক্ষেত্রেই শুনানীর আগে কমপক্ষে পরিস্কার ৭ দিনের নোটিশদিতে হবে।
আপীল বা পুনর্বিবেচনার আদেশ জানানোর কোনো সংস্থান আছে কী?
উত্তর :হ্যাঁ, প্রথম বা দ্বিতীয় আপীলের আদেশ হবে লিখিত। আপীলের আদেশের নকল আপীলকারী, দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বা আপিল আধিকারিক, যেমন প্রযোজ্য, তাঁকে দিতে হবে।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বা আপীল আধিকারিকের উপর কোনোরূপ জরিমানা ধার্যকরার সংস্থান আছে?
উত্তর : এক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা আধিকারিকের জরিমানা ধার্য করার ক্ষমতা আছে। পুনর্বিবেচনা আধিকারিক যদি দেখেন যে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক যথেষ্ট এবং যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তবে তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে জরিমানার আদেশ দিতে পারেন। জরিমানার পরিমাণ ২৫০ টাকার কম বা ১০০০ টাকার বেশি হবে না।
আপীল আধিকারিকের আদেশের বিরুদ্ধে কীভাবে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো যাবে ?
উত্তর : আপিল আধিকারিকের আদেশের বিরুদ্ধে নিম্নলিখিত তথ্য/কাগজপত্রসহ নিদর্শ-৩ (ফর্ম-৩)-তে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাতে পারেন :-
- (ক) আপীলকারীর নাম ও সম্পূর্ণ ঠিকানা ;
- (খ) কি পরিষেবা চাওয়া হয়েছিল তার সংক্ষিপ্ত বৰ্ণনা ;
- (গ) দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে পরিষেবা চেয়ে আবেদন করার তারিখ ;
- (ঘ) যে আদেশের বিরুদ্ধে প্রথম বা দ্বিতীয় আপীল করা হচ্ছে তার স্ব-শংসিত নকল ;
- (ঙ) যেসব কাগজপত্রের উপর ভিত্তি করে প্রথম আপীল বা দ্বিতীয় আপীল করা হয়েছে;
- (চ) আপীলের কারণ ;
- (ছ) কী প্রতিবিধান চাওয়া হচ্ছে;
- (জ) আপীল করার জন্য প্রয়ােজনীয় আর কোনাে তথ্য, আপীলটি যদি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের প্ৰাপ্তিস্বীকারপত্র না দেওয়ার বিরুদ্ধে হয়, তবে আবেদনের তারিখ, দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের নাম ও ঠিকানা। আপীল বা পুনর্বিবেচনার
আবেদনের উপর সিদ্ধান্ত নিতে কী পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া হবে ?
উত্তর : আপীল আধিকারিক বা পুনর্বিবেচনা আধিকারিক যখন কোনো আপীল বিবেচনা করবেন, তখন তিনি(ক) সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, সরকারী কাগজপত্র বা তার নকল পরীক্ষা করবেন; (খ) আপীলটি শুনানীর সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ও আবেদনকারী বা তাঁর প্রতিনিধির বক্তব্য শুনবেন।
আপীল ও পুনর্বিবেচনার তারিখ কীভাবে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে জানানো হবে ?
উত্তর : নিম্নলিখিত যে কোনো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করে আবেদনের শুনানীর তারিখ জানানো যেতে পারে
- (ক) বিশেষ পত্রবাহকের মাধ্যমে হাতে হাতে চিঠি দিয়ে(দস্তি) ;
- (খ) প্রাপ্তিস্বীকারপত্রসহ রেজিষ্টার্ড ডাকে ;
- (গ) সরকারী কর্মী হলে তাঁর নিয়ন্ত্রক আধিকারিকের মাধ্যমে।
কত দিন আগে নোটীশ দেওয়ার প্রয়োজন ?
উত্তর : আপীল, আবেদন বা পুনর্বিবেচনার আবেদন প্রত্যেক ক্ষেত্রেই শুনানীর আগে কমপক্ষে পরিস্কার ৭ দিনের নোটিশদিতে হবে।
আপীল বা পুনর্বিবেচনার আদেশ জানানোর কোনো সংস্থান আছে কী?
উত্তর :হ্যাঁ, প্রথম বা দ্বিতীয় আপীলের আদেশ হবে লিখিত। আপীলের আদেশের নকল আপীলকারী, দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বা আপিল আধিকারিক, যেমন প্রযোজ্য, তাঁকে দিতে হবে।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বা আপীল আধিকারিকের উপর কোনোরূপ জরিমানা ধার্যকরার সংস্থান আছে?
উত্তর : এক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা আধিকারিকের জরিমানা ধার্য করার ক্ষমতা আছে। পুনর্বিবেচনা আধিকারিক যদি দেখেন যে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক যথেষ্ট এবং যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তবে তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে জরিমানার আদেশ দিতে পারেন। জরিমানার পরিমাণ ২৫০ টাকার কম বা ১০০০ টাকার বেশি হবে না।
নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যে আধিকারিক জনগণকে পরিষেবা দেবেন। তাঁকে পুরস্কৃত করার কি কোন ব্যবস্থা থাকছে ?
উত্তর : হ্যাঁ, যে সমস্ত সরকারী কর্মীর বিরুদ্ধে একটি অর্থবর্ষে এই সম্পর্কিত কোনো গাফিলতি পাওয়া যাবে। না, যথাযথ আধিকারিক তাঁর জন্য অনধিক ১০০০ টাকা পুরস্কারের সুপারিশ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা স্বশাসিত সংস্থা ঐ সুপারিশ অনুযায়ী অর্থ ঐ কমীকে দিতে পারবে। ঐ অর্থের সঙ্গে প্ৰশংসাপত্ৰ প্ৰদান করা হবে, যা তাঁর সারভিস বইয়ে নথিভুক্ত করা হবে। রাজ্য সরকার আদেশ জারি করে। এই পুরস্কার প্রদানের নিয়মকানুন ঠিক করবেন।
সূত্র : পাবলিকসার্ভিসরাইট.ডট.ইন