নির্দিষ্টকালের জীবন বীমা নীতি যেটি একটি বার্ষিক ভিত্তিতে বা দীর্ঘ সময়সীমার জন্য নবায়ন করা যাবে।পলিসি ধারকের মৃত্যুতে এটি জীবন বীমা কভারেজ প্রদান করবে।>
১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সের সকল ব্যক্তিদের জন্য প্রধান মন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা উপলব্ধ। আগ্রহী ব্যক্তির একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা উচিত। ৫০ বছরের আগে যারা এই বীমা শুরু করবে, তারা ৫৫ বছর পর্যন্ত জীবন কভারেজ পাবেন।তবে, এই সুবিধা পেতে হলে তাদেরকে একটি সুসংগত ভিত্তিতে প্রিমিয়াম প্রদান করতে হবে।
বীমা ধারককে প্রতি বছর ৩৩০/- টাকা দিতে হবে। এইভাবে প্রতি বছর তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি একক কিস্তির পরিমাণ কাটা হবে। এই নীতিটি যেখানে খোলা হয়েছে সেই ব্যাংক দ্বারা এই কাজটি সম্পন্ন করা হবে।
প্রধান মন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা নীতিতে ২ লাখ টাকা-র সম্ভাব্য বিপদের কভারেজ প্রদান করা হয়। যদি কেউ এই নীতি এক বছরেরও বেশী একটি দীর্ঘমেয়াদী সময়ের জন্য করে, তাহলে সেই পরিমান টাকা তাদের নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতি বছরের নিয়মানুযায়ী কেটে নেওয়া হবে।
লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এল.আই.সি) এই পরিকল্পনা প্রদান করবে। তবে, অন্যান্য জীবন বীমা, যারা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করতে আগ্রহী, তারা সুনির্দিষ্ট ব্যাংকগুলোর সাথে টাই আপের মাধ্যমে এই কর্মসুচিতে যোগ দিতে পারেন। কোন ব্যাংক, যার মক্কেল এই কর্মসুচিতে যোগদান করতে চায়, পি.এম.জে.জে.এস.-এর ক্ষেত্রে মাস্টার অ্যাকাউন্ট ধারক হিসেবে গণ্য হবে। এল.আই.সি বা অন্যান্য বিমা দাবী নিস্পত্তি এবং পরিচালনার পদ্ধতি নির্ধারণ করবে যা গ্রাহকদের জন্য সরল এবং বন্ধুত্বপূর্ণ হবে বলে আশা করা হয়। এই কাজগুলি ব্যাংকগুলোর পরামর্শ নিয়ে সম্পন্ন করা হবে।
এই পরিকল্পনা, ২০১৫ সালের ১-লা জুন থেকে ২০১৬ সালের ৩১-শে মে পর্যন্ত চালু আছে। গ্রাহকদের ২০১৫ সালের ১-লা, মে-র আগে নথিভুক্ত, সেইসাথে তাদের প্রিমিয়ামের স্বয়ংক্রিয় ডেবিটিং-এর জন্য বিকল্প প্রদান করতে হবে। এই প্রকল্পের সময়টি ২০১৫ সালের ৩১-শে আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হবে। কেউ যদি এই তারিখের পরে নথিভুক্ত করতে চায় তাহলে তাদের একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রশংসাপত্র জমা দিতে হবে, যাতে এটি উল্লেখ করতে হবে যে তারা ভাল স্বাস্থ্যের অধিকারী এবং তারা সমগ্র বার্ষিক প্রিমিয়াম প্রদান করবে। কেউ যদি প্রথম বছরের পর থেকে এটি চালাতে চায় তাহলে তাকে পরে ৩১-মে-এর মধ্যে স্বয়ংক্রিয় ডেবিটিং-এ সম্মতি দিতে হবে। এরপর এই নীতি পুনর্নবীকরণ করার জন্য, তাকে একটি সু-স্বাস্থ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণ শংসাপত্র ও সেইসাথে সমগ্র বার্ষিক প্রিমিয়াম জমা করতে হবে। যদি কেউ প্রথম বছরের মধ্যে যোগদান না করে তাহলে তাকেও একটি সু-স্বাস্থ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণ শংসাপত্র ও সেইসাথে সমগ্র বার্ষিক প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। যারা এই নীতি একবার যোগদান করে পরে ছেড়ে দিয়েছেন, তারা যদি আবার পুনরায় যোগদান করতে চান তাহলে তাদের জন্যও নথিভুক্ত করার পদ্ধতি একই।
ধারক ৫৫ বছর বয়সে পৌঁছালে এই নীতি সমাপ্ত হবে। তবে, এই নীতি কার্যকর করার জন্য বীমা ধারককে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত এই নীতি পুনর্নবীকরণ করে যেতে হবে। কোন অ্যাকাউন্ট ধারক যদি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চান, এই বীমা চলাকালীন ব্যাংকে যথেষ্ট অর্থের অভাবের জন্য অর্থাৎ বীমাটির সক্রিয়তা নিশ্চিত করার জন্য যে নূন্যতম ব্যাল্যান্সের দরকার তা না থাকে, তাহলে তার বীমাপত্র বন্ধ হয়ে যাবে। যদি এই নির্দিষ্ট ব্যক্তির একাধিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং বীমাকারী একটি অনিচ্ছাকৃত পদ্ধতিতে অর্থ পাচ্ছে তাহলে উল্লিখিত প্রিমিয়াম বাজেয়াপ্ত করা হবে।
মাস্টার অ্যাকাউন্ট ধারক এবং প্রতি বছর প্রিমিয়াম বিয়োগ করার পাশাপাশি ব্যাংক আরও কয়েকটি ভূমিকা পালন করে থাকে। তাদের প্রাথমিক কর্তব্য হল বীমাকারীর প্রিমিয়ামটি কেটে স্থানান্তর করা।
তারা নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর যত্ন নেয় –
সঠিক আকারে কার্য পরিচালনা করার ঘোষণা তথা সম্মতি প্রদান করা। তারা বীমাকারীর নথি গুলি সংরক্ষন করে রাখবেন এবং যেকোন অবস্থায় সেটা তারা বীমাকারীদের কাছে তুলে ধরতে পারবেন।
বার্ষিক ৩৩০/- টাকার প্রিমিয়াম-এর মধ্যে, ২৮৯/- টাকা বীমাকারীর কাছে যাবে এবং 3০/- টাকা বিসি’স, কর্পোরেট বা মাইক্রো এজেন্ট দ্বারা যথাযোগ্য খরচের জন্য বিয়োগ করা হবে। ব্যাংক তাদের দ্বারা যথাযোগ্য প্রশাসনিক খরচের জন্য ১১/- টাকা বিয়োগ করবে।
আবেদনপত্রটি, Forms থেকে ডাউনলোড করা যাবে। এই ফর্ম বিভিন্ন ভাষায় উপলব্ধ, যথা – ইংরেজি, হিন্দি, গুজরাটি, বাংলা, কন্নড, উড়িয়া, মারাঠি, তেলুগু এবং তামিল।
জানতে ক্লিক করুন এখানে।
বিশদ তথ্যের জন্য www.jansuraksha.gov.in বা www.financialservices.gov.in: লগ ইন করুন। আপনি জাতীয় টোল ফ্রি নম্বর-গুলিতেও ফোন করতে পারেন : ১৮০০ ১১০ ০০১/১৮০০ ১৮০ ১১১১ এবং রাজ্য ভিত্তিক টোল ফ্রি নম্বর এই নথিতে তালিকাভুক্ত করা রয়েছে –STATEWISETOLLFREE.pdf
সুত্র: জনসুরক্ষা.গভ.ইন
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/29/2020