প্রকল্পের নাম |
উপভোক্তা হবার যোগ্যতা |
প্রকল্প থেকে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে |
যোগাযোগ করতে হবে |
---|---|---|---|
মহত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চতা কর্মসূচি (MGNREGA) |
১.) কায়িক শ্রম করতে ইচ্ছুক। ২.) গ্রামীন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। ৩.) ১৮ বছর বা তার বেশী বয়স হতে হবে। |
১.) প্রত্যেক পরিবাকে প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী বছরে সর্বাধিক ১০০ দিনের কাজের প্রতিশ্রুতি। ২.) সরকার নির্ধারিত অদক্ষ শ্রমিক মজুরি হিসাবে ১৩৬ টাকা (পুরুষ-৬২ সি.এফ.টি. এবং স্ত্রী-৬২ সি.এফ.টি. মাটি কাটতে হবে), অর্ধদক্ষ শ্রমিক মজুরি হিসাবে ২০৪ টাকা এবং দক্ষ শ্রমিক মজুরি হিসাবে ২৭২ টাকা পাবেন। |
প্রধান / গ্রাম পঞ্চায়েত / প্রোগ্রাম অফিসার |
ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প (IGNOAPS) |
১.) বর্তমান তারিখ অনুযায়ী ৬০ বছর বা তার বেশী বয়স হতে হবে। ২.) আর.এইচ.এস. ২০০৫ অনুযায়ী বি.পি.এল. তালিকাভূক্ত সদস্য বা সদস্যা হতে হবে। ৩.) অন্য কোন পেনশন প্রকল্পের সুবিধা ভোগী হওয়া চলবে না। |
এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তার পরিমান উপভোক্তাপিছু মাসিক ৪০০ টাকা। (কেন্দ্রীয় সরকার মাসিক ২০০ টাকা ও রাজ্য সরকার মাসিক ২০০ টাকা অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার সমান সমান আর্থিক দায়িত্ব বহন করছে এই কর্মসূচির ক্ষেত্রে)। |
প্রধান / গ্রাম পঞ্চায়েত / সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক |
ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বিধবা ভাতা প্রকল্প (IGNWPS) |
১.) ঊপভোক্তাকে বি পি এল পরিবারভুক্ত বিধবা মহিলা সদস্যা হতে হবে। ২.) ১.১.২০১২ তারিখ অনুযায়ী বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছর-এর মধ্যে হতে হবে। ৩.) অন্য কোন পেনশন প্রকল্পের সুবিধা ভোগী হওয়া চলবে না। |
এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তার পরিমান উপভোক্তাপিছু মাসিক ৪০০ টাকা। ( কেন্দ্রীয় সরকার মাসিক ২০০ টাকা ও রাজ্য সরকার মাসিক ২০০ টাকা অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার সমান সমান আর্থিক দায়িত্ব বহন করছে এই কর্মসূচির ক্ষেত্রে)। |
প্রধান / গ্রাম পঞ্চায়েত / সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক |
ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় প্রতিবন্ধীভাতা প্রকল্প (IGNDPS) (IGNDPS) |
১.) ঊপভোক্তাকে বি পি এল পরিবারভুক্ত সদস্য বা সদস্যা হতে হবে। ২.) ১.১.২০১২ তারিখ অনুযায়ী বয়স ১৮ থেকে ৫৯ বছর-এর মধ্যে হতে হবে। ৩.) এক বা একাধিক ক্ষেত্রে সর্বমোট ৮০% বা তার বেশী প্রতিবন্ধকতা থাকতে হবে। ৪.) অন্য কোন পেনশন প্রকল্পের সুবিধা ভোগী হওয়া চলবে না। |
এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তার পরিমান উপভোক্তাপিছু মাসিক ৪০০ টাকা। ( কেন্দ্রীয় সরকার মাসিক ২০০ টাকা ও রাজ্য সরকার মাসিক ২০০ টাকা অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার সমান সমান আর্থিক দায়িত্ব বহন করছে এই কর্মসূচির ক্ষেত্রে)। |
প্রধান / গ্রাম পঞ্চায়েত / সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক |
জাতীয় পরিবার সহায়তা প্রকল্প (NFBS) (NFBS) |
১.) আর.এইচ.এস. ২০০৫ অনুযায়ী বি.পি.এল. তালিকাভূক্ত পরিবার হতে হবে। ২.) পরিবারের মূল উপার্জনকারীর (পুরুষ বা মহিলা ) মৃত্যুকালে বয়স ১৮ বছরের বেশি এবং ৬৫ বছরের কম হতে হবে। ৩.)অন্য দপ্তরের বা কোন সামাজিক সহায়তা প্রকল্পের সহায়তা পাচ্ছেন না এমন পরিবার হতে হবে। |
এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ পরিবারপিছু এককালীন ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা। |
প্রধান / গ্রাম পঞ্চায়েত / প্রোগ্রাম অফিসার |
ইন্দিরা আবাস যোজনা (IAY) |
যে সমস্ত পরিবার গ্রামীণ পরিবার সমীক্ষা ২০০৫ অনুযায়ী মোট ৩৩ বা তার কম নম্বর পেয়ে বি.পি.এল. তালিকাভুক্ত হয়েছে্ন এবং পি২ সূচকে ১ বা পি২ সূচকে ২ পেয়েছেন, সেই সমস্ত পরিবার নতুন ঘর তৈরির জন্য ইন্দিরা আবাস যোজনার উপভোক্তা হিসাবে নির্বাচিত হবেন। |
বর্তমানে নতুন গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে দুটি কিস্তিতে সাধারণ এলাকায় ৪৫,০০০ তাকা, সুন্দরবন ও পার্বত্য এলাকায় ৪৮,০০০ টাকা পাবেন। |
প্রধান / গ্রাম পঞ্চায়েত / সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক |
আশ্রয় (ASRY) |
অসহায় ও নিরাশ্রয় মহিলা ও পুরুষ, অসহায় বিধবা মহিলা যাঁর প্রপ্তবয়স্ক পুত্র সন্তান নেই, পাচারের শিকার হওয়া মহিলা, শারীরি ও মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বৃদ্ধ ও অশক্ত ব্যক্তি যার / যাদের বাড়ি তৈরি করবার জন্য নিজস্ব জমি আছে এবং পরিবারটি দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী নাও হতে পারে, কিন্তু এই তালিকাতে অর্ন্তভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা আছে এমন পরিবার। |
নতুন গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে সাধারণ এলাকায় ৩৫,০০০ টাকা, সুন্দরবন ও পার্বত্য এলাকায় ৩৮,০০০ টাকা পাবে। |
প্রধান / গ্রাম পঞ্চায়েত / সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক |
প্রাকৃতিক বিপর্যয়গ্রস্তদের জন্য গৃহনির্মাণ অনুদান (House Building Grant) |
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে যার বাড়ি ভেঁঙে গেছে এমন পরিবার। |
সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য ১০,০০০ টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য ২,৫০০ টাকা। যদি আগুন লেগে বাসগৃহ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে ২,০০০ টাকা পাবেন। |
প্রধান / গ্রাম পঞ্চায়েত / সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক |
ভূমিহীন কৃষিশ্রমিকদের জন্য ভবিষ্যনিধি প্রকল্প (PROFLAL) |
১.) ভূমিহীন কৃষিশ্রমিকের বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে। ২.) তার নামে বাস্তু সহ মোট জমি ০.৫০ একর অর্থাৎ ৫০ শতকের বেশি হবে না। ৩.) যার কোন রকম কৃষি বা অন্য প্রকারের জমিতে উত্তরাধিকার স্বত্ব থাকবে না যা তার জমির সঙ্গে যোগ করলে ০.৫০ একর অর্থাৎ ৫০ শতকের বেশি হতে পারে। |
মাসে ২০ টাকা জমা দিলে সরকার থেকে সমপরিমান অর্থ পাবেন। আম আদমি বীমা যোজনার আওতায় আসবেন। |
প্রধান / গ্রাম পঞ্চায়েত / সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক |
আম আদমি বিমা যোজনা (AABY) (AABY) |
ভূমিহীন কৃষিশ্রমিকদের জন্য ভবিষ্যনিধি প্রকল্প (প্রফলাল) - এ যারা ইতিমধ্যে নাম অন্তর্ভূক্ত করেছেন সেই সমস্ত গ্রাহক পরিবারের কর্তা বা পরিবারের উপার্জনক্ষম একজন সদস্য। |
প্রফলাল প্রকল্পে নথিভূক্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলে ওই প্রকল্পের ইয়পভোক্তা পরিবার আম আদমি বিমা যোজনা-র অধীনে সুবিধা পাবেন। চুড়ান্ত দঃসময়ে এই প্রকল্প তাঁদের সাহায্য করবে। প্রফলাল প্রকল্পে নথিভূক্ত ব্যক্তির স্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাঁর পরিবার / নমিনি ৩০,০০০ টাকা এবং দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাঁর পরিবার / নমিনি ৭৫,০০০ টাকা পাবে। এছাড়া, একটি চক্ষু বা একটি অঙ্গের চিরস্থায়ী অক্ষমতার ক্ষেত্রে ৩৭,৫০০ টাকা এবং দুটি চক্ষু বা দুটি অঙ্গের চিরস্থায়ী অক্ষমতার ক্ষেত্রে ৭৫,০০০ টাকা পাবেন। তাছাড়া, আম আদমি বিমা যোজনা-র অন্তর্ভূক্ত উপভোক্তা পরিবারের নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠরত চিরস্থায়ী অনধিক দুটি সন্তান, বিগত শিক্ষাবর্ষে অনুত্তীর্ণ না হয়ে থাকলে, তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিমাসে ১০০ টাকা শিক্ষার্থী-বৃত্তি পাবেন। |
প্রধান / গ্রাম পঞ্চায়েত / সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক |
অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা (AAY) |
খাদ্য দপ্তরের বি.পি.এল.তালিকা অনুযায়ী দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী পরিবার। |
পরিবার পিছু (মাথা পিছু ৭ কেজি হিসাবে সর্ব্বোচ্চ পাঁচ ইউনিটের জন্য)৩৫ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়া হয়। পরিবারের প্রতি ইউনিটের জন্য প্রতি সপ্তাহে বরাদ্দ ১ কেজি চাল এবং ৭৫০ গ্রাম গম। বর্তমানে প্রতি কেজি চালের দাম ২ টাকা এবং প্রতি কেজি গমের দাম ২ টাকা। সরকার নির্ধারিত এই মূল্যে রেশন দোকান থেকে চাল ও গম পাওয়া যাবে। |
প্রধান / গ্রাম পঞ্চায়েত / সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক |
অন্নপূর্ণা যোজনা (AY) |
খাদ্য দপ্তরের বি.পি.এল.তালিকা অনুযায়ী দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারগুলির মধ্যে ৬৫ বছরের বেশি বয়সের সহায়-সম্বলহীন বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা যারা বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার যোগ্য কিন্তু পাচ্ছেন না তারা এই প্রকল্প থেকে সুবিধা পেতে পারেন। |
প্রতি মাসে বিনামূল্যে ১০ কেজি খাদ্যশষ্য পেতে পারেন। |
প্রধান / গ্রাম পঞ্চায়েত / সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক |
বার্ধক্য ভাতা (নারী ও শিশু উন্নয়ন ও সমাজ কল্যান দপ্তর) (Old Age Pension) |
পশ্চিমবঙ্গে কমপক্ষে ১০ বছর বসবাসকারী ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি, যার কোনো আয় নেই, যিনি জীবনধারনের জন্য উপার্জনে অক্ষম এবং যার ভরণপোষণ করার কেউ নেই তিনি বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার অধিকারী। |
এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ প্রতি মাসে ৭৫০ (সাত শত পঞ্চাশ) টাকা। |
প্রধান / গ্রাম পঞ্চায়েত / সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক |
বিধবা ভাতা (নারী ও শিশু উন্নয়ন ও সমাজ কল্যান দপ্তর) (Widow Pension) |
পশ্চিমবঙ্গে কমপক্ষে ১০ বছর বসবাস করছেন এম্কান কোন দুঃস্থ বিধবা যার কোনও আয় নেই, যার বয়স ১৮ বছরের উপরে, যিনি জীবনধারনের জন্য উপার্জনে অক্ষম এবং যার ভরণপোষণ করার কেউ নেই এরূপ বিধবা এই ভাতা পাওয়ার উপযুক্ত। |
এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ প্রতি মাসে ৭৫০ (সাত শত পঞ্চাশ) টাকা। |
প্রধান / গ্রাম পঞ্চায়েত / সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক |
বার্ধক্য ভাতা (ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তর) (Old Age Pension) |
১) এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। ২) ৬০ বছর বা তার বেশী বয়স হতে হবে। ৩) যিনি অন্যকোন দপ্তরের ভাতা পাচ্ছেন না। ৪) যার কোন আয় নেই,উপার্জনে অক্ষম এবং ভরনপোষনের কেউ নেই। ৫) কারু শিল্পী এবং গ্রামীন শিল্পী হতে হবে। |
এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ প্রতি মাসে ৭৫০ (সাত শত পঞ্চাশ) টাকা। |
সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক |
তথ্য সংকলন ঃ বিকাশপিডিয়া, পশ্চিমবঙ্গ
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020