বিকাশপিডিয়াকে মানুষের কাছে আরও সহজ ভাবে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে কী কী করা উচিত তা নিয়ে মত বিনিময় করার জন্য গত ২০ ডিসেম্বর আইআইআইএমের কাঁকুড়গাছি দফতরে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। এই আলোচনাসভার অন্যতম লক্ষ্য ছিল মানুষের সঙ্গে মিশে কাজ করার সময় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি কী ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কাজ করতে গেলে অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া সম্ভব হয় তার জন্য বিকাশপিডিয়াকে কী ভাবে একটি মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করা যায় তার প্রাথমিক পরিকল্পনা করা। সরকারি প্রকল্প নিয়ে কাজ করার সময় প্রকল্প শুরু করার আগে বা তার পরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সমস্যাগুলি যে শুধু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তা নয়। সাধারণ মানুষ একই ধরনের কিন্তু মাত্রাভেদে আরও গভীর সমস্যার সম্মুখীন হন। এই ধরনের কিছু অভিজ্ঞতা ও তার গল্প যদি বিকাশপিডিয়ার মধ্যে দেওয়া যায় এবং সমস্যাগুলি সমাধানের লক্ষ্যে মত বিনিময়ের জন্য একটি ফোরাম করা সম্ভব হয় সেটাও ছিল এই আলোচনা সভার অন্যতম লক্ষ্য।
বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছেন।
আলোচনা সভার শুরুতে সঞ্চালক স্নেহাশিস সুর ব্যাখ্যা করে বলেন, উন্নয়ন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য এক জায়গা আনার উদ্যোগ হিসাবে ভারত সরকার বিকাশপিডিয়া চালু করেছে। এটি সরকারি উদ্যোগ হলেও কখনও একমুখী নয়। অর্থাৎ শুধু এক পক্ষ তথ্য দেবে এমনটা নয়। সাধারণ মানুষ বা কোনও সংস্থাও তাদের হাতে থাকা তথ্য দিয়ে উন্নয়ন সংক্রান্ত জ্ঞান ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, উন্নয়নের প্রশ্নে কেউ যদি বাধার সম্মুখীন হন তা হলে বিকাশপিডিয়ায় তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন যাতে সরকার এবং সাধারণ মানুষ সমস্যার গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত হন। স্নেহাশিস বলেন, একেবারে ভিত্তিস্তরে কাজ করতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি কী অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছে সেটা জানা খুবই জরুরি। বিকাশপিডিয়ার মারফত সেই অভিজ্ঞতা অন্য সংগঠনগুলির সঙ্গে সহজেই আদানপ্রদান করা সম্ভব। তিনি বলেন, আপনারা তথ্য দেবেন, আপনাদের ই-মেল আইডি দেবেন। আমরা তা বিকাশপিডিয়ায় আপ লোড করে দেব। ফলে পরস্পরের সঙ্গে যোগযোগের একটি মঞ্চ হিসাবে বিকাশপিডিয়া কাজ করতে পারবে।
আইআইআইএমের অন্যতম উপদেষ্টা এবং বিকাশপিডিয়ার সমাজকল্যাণ ক্ষেত্রের সদস্য প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সন্ধি মুখোপাধ্যায় বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বহু দিন সরকার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে মান্যতা দিত না। কিন্তু এখন একটা বড় সুবিধা হল সরকার ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এক সঙ্গে কাজ করছে। এর ফলে বহু উপকার হয়েছে। সেই উপকারকে কী ভাবে ধরে রাখা যায় এবং মানুষের কাছে এর সুফল পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করার জন্যই বিকাশপিডিয়ার সৃষ্টি।
চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ সংস্থার ঝুম্পা ঘোষ রায় বলেন, বিকাশপিডিয়া নামটা অনেকেই জানেন না। এই নামটা কী করে জনপ্রিয় করা যায় সবার আগে সে দিকে নজর দেওয়া উচিত। তাঁর মতে, বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় জেলায় অনুষ্ঠান/আলোচনা সভা করে বিকাশপিডিয়া নামটি ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, আরও সহজ উপায়ে কী ভাবে জনপ্রিয় করা যায় সে ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা করা দরকার। নয়তো গোটা উদ্যোগই ব্যর্থ হয়ে যাবে।
সাবির আহমেদ বলেন, বিকাশপিডিয়াকে জনপ্রিয় ও কার্যকর করতে হলে নির্দিষ্ট তথ্য সরবরাহ করতে হবে। একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে তুলে আনা তথ্য ও অভিজ্ঞতা যদি এখানে স্থান পায় তা হলে মানুষ সত্যিকারের উপকৃত হবে। তাঁর মন্তব্য, ‘কিছুদিন আগে আমি সীমান্ত এলাকায় কাজ করে এলাম। সেখানে অপুষ্টির সঙ্গে যোঝার জন্য কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা হয়েছে। অথচ এই খবর কেউ রাখে না। এই তথ্য বিকাশপিডিয়ায় দিতে পারলে অনেকেই হয়তো এ ধরনের কাজে উদ্বুদ্ধ হবেন।’ সাবির বলেন, গ্রামে শিশু বা নারী পাচারের আড়কাঠিদের মধ্যেও তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারে একটা পেশাদারি দক্ষতা রয়েছে। কোন বাড়িতে টাকার দরকার, কে অসুস্থ হয়ে পড়েছে সে ব্যাপারে আড়কাঠিদের কাছে খবর থাকে। এই খবর যদি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে থাকে তা হলে আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। এই ধরনের তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বিকাশপিডিয়া নেটওয়ার্কিং-র কাজ করতে পারে।
সিনি সংস্থার প্রতিনিধি শ্রেয়সী বলেন, বিকাশপিডিয়াকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি নিজস্ব মত ও তথ্য বিনিময়ের একটা আধার হিসাবে ব্যবহার করতে পারে। এর মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে পেশাদারি নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। অনেক সময় সরকারি বা অসরকারির সংস্থার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিঃশব্দে হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ তার খোঁজ পান না।
বিকাশপিডিয়ায় এই তথ্যগুলি ভালো ভাবে দেওয়া দরকার। সাধারণ গণমাধ্যমগুলি স্বভাবতই এই ধরনের অনুষ্ঠান বা কাজের ভিতর কোনও ‘নিউজের’ গন্ধ পান না। তাই ছাপেন না বা দেখান না। বিকাশপিডিয়া সেই অভাব পূরণ করতে পারে।
হাসুস সংস্থার সদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, অনেক ক্ষেত্রে তৃণমূল স্তরে কাজ করতে গেলে শুধু ভাষা ব্যবহার করলে সফল হওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে অন্য মাধ্যমের কথা ভাবতে হতে পারে। অনেক সময় একটা ছবি দিয়ে মানুষকে যা বোঝানো যায় ভাষায় তা সম্ভব নয়। এমএনরেগার কাজ করছে অথচ নিজের দেশের নাম জানে না এমন মানুষের সংখ্যা প্রচুর। এদের জন্য কী ভাবে সংযোগ স্থাপন করা যায় তা স্থির করা প্রয়োজন।
বীরাঙ্গনার আমিনা খাতুন বলেন, পাচার হয়ে যাওয়া মেয়েদের গ্রামে ফিরিয়ে আনার পর নানা ধরনের অসুবিধা দেখা যায়। তাদের বাইরে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য ভালো করার জন্য নানা ধরনের ইঞ্জেকশন ওষুধ দেওয়া হত। সেই জন্য গ্রামে ফিরে এলে তাদের মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। কিন্তু লোকলজ্জার কারণে তারা সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে চায় না। এই ধরনের মেয়েদের জন্য কী ভাবে সাহায্য করা যেতে পারে সে ব্যাপারে বিকাশপিডিয়ার মাধ্যমে মত বিনিময় করা যেতে পারে।
বুঞ্জ সংস্থার ইফতিকার আহমেদ বলেন, ‘আমার সংস্থা কাপড় নিয়ে কাজ করে। আমরা শহরের মানুষের কাছ থেকে কাপড় নিয়ে গ্রামে যাঁদের প্রয়োজন তাঁদের কাছে পৌঁছে দিই। কিন্তু গোট উদ্যোগের মধ্যে একটা সম্মান দেওয়ার ব্যাপার রয়েছে। এটি তাঁরা যেন ভিক্ষার দান হিসাবে না দেখেন সেই জন্য কাপড়ের বিনিময় তাঁদের কিছু কাজ করতে হয়। এই ধারণার বিস্তৃতি ঘটাতে পারলে অনেকেই শুধুমাত্র বস্ত্রদান শিবির করা থেকে বিরত থাকবেন এবং সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নের প্রশ্নেও অনেকটা উত্তরণ সম্ভব হবে।’ ইফতিকার জানান, তাঁর সংস্থা কাপড় থেকে মহিলাদের প্যাড তৈরি করার ব্যাপারেও উদ্যোগ নিয়েছে। অধিকাংশ দরিদ্র ভারতবাসী স্বাস্থ্যরক্ষার সঙ্গে ঋতুমতী হওয়ার সমস্যাকে এক সঙ্গে দেখতে রাজি হন না। কিন্তু দু’টি বিষয়ই পরস্পর সম্পৃক্ত। এই বোধ ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বিকাশপিডিয়া উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে।
হোপ ফাউন্ডেশন সংস্থার সঞ্জিনা বলেন, ছোট সংস্থার সঙ্গে বড় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির সংযোগ ঘটানোর ক্ষেত্রে বিকাশপিডিয়াকে কাজে লাগানোর কথা ভাবা যেতে পারে।
ঝুম্পা ঘোষ রায় বলেন, কী ভাবে বিকাশপিডিয়ার অর্থকরী দিকটি চলছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট হওয়া দরকার। বিনা পয়সায় কোনও তথ্য আজকাল পাওয়া যায় না। একটা লেখা লিখলে তার পারিশ্রমিক প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে তা না হলে সে কাজ সফল হতে পারে না। সৌম্যব্রত দাস বলেন, আইআইআইএমের সঙ্গে সিড্যাকের চুক্তিতে স্পষ্ট বলা আছে, লেখা সংগ্রহ করার জন্য কোনও রকম অর্থ দেওয়া যাবে না। আলোচনাতেও ওরা বলেছে, এর আগে আইএনডিজি সাইট করতে গিয়ে অর্থ দিয়ে লেখা কিনে কোনও লাভ হয়নি। সুতরাং স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমেই তথ্য জোগাড় করতে হবে। তবে প্রকারান্তরে বিকাশপিডিয়া এনজিও সংস্থাগুলির অর্থকরী কাজই করে দিচ্ছে। যে সব তথ্য এনজিওগুলিকে কাঠখড় পুড়িয়ে জোগাড় করতে হত সেই তথ্য বা যোগাযোগ বিকাশপিডিয়ার মাধ্যমে করা সম্ভব। সেটাও একটা বড় অর্থকরী কাজ। এর আগে আমরা সরকারের সঙ্গে নানা ধরনের কাজ করলেও পোর্টাল ডেভেলপমেন্টের কাজ করিনি। কিন্তু কাজের সামাজিক গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে এসেছি।
স্নেহাশিস বলেন, এটা ঠিকই যে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে টাকা খরচ করতে হয়েছে, সেই সব তথ্য বিনা পয়সায় কাউকে দেওয়া সম্ভব নয়।
সৌম্যব্রত দাস বলেন, বিকাশপিডিয়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির কাছ থেকে তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইছে। জেলায় ছড়িয়ে থাকা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য ভান্ডার সম্পর্কিত সাগ্রহীকরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত করতে চাইছে। উন্নয়নমূলক কর্মসূচি সংক্রান্ত কিছু অফ লাইন তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যে প্রকৃত যাঁদের প্রয়োজন তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চাইছে।
বর্ধমান উজ্জীবন সংস্থার কাঞ্চন ভট্টাচার্য বলেন, কৃষিকাজে সাহায্য করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, কৃষকের কাছে এমন কিছু তথ্য থাকে যা এক্সক্লুসিভ। এই সব তথ্য সংগ্রহ করার কাজে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি বিকাশপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারে।
নিষ্ঠা সংস্থার প্রতিনিধি কৃষ্ণকান্ত মন্ডল জানান, বিকাশপিডিয়া স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রচার করলে আপনা হতে তার তথ্যসম্ভার বাড়বে।
সার্চ ফর পিপলস ইনিশিয়েটিভ সংস্থার কল্লোল চক্রবর্তী বলেন, বিকাশপিডিয়া যে ধরনের তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে চাইছে সে ব্যাপারে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করাটাই বড় কাজ। সব তথ্য তো আর ব্যবহার করা যায় না। কেন তথ্য ব্যবহার করা যায় আর কোনটা যায় না সে ব্যাপারে বিকাশপিডিয়ার নিজস্ব গাইডলাইন থাকা দরকার।
পানিতর পল্লী উন্নয়ন সমিতির হাসানুজ্জামান বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বা কৃষি, স্বাস্থ্যের উন্নয়নের ব্যাপারে বিকাশপিডিয়া হেল্প লাইন খুলুক। এ ব্যাপারে তারা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির কাছে সাহা্য্য চাইতে পারে।
ঝুম্পা ঘোষ রায় বলেন, কম্পিউটারে নেট সার্চ করে কিছু দেখার ব্যাপারে অধিকাংশ গ্রামীণ মানুষই অজ্ঞ। তাঁদের বারবার আলোচনাসভায় ডেকেও কোনও ফল হয় না। তার চেয়ে তাদের হাতে সিডি বা অফ লাইন কোনও অ্যাপ্লায়েন্স দেওয়া যেতে পারে যার মাধ্যমে তারা প্রকৃত সাহায্য পায়।
সৌম্যব্রত জানান, এ ধরনের কিছু অফ লাইন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন দেওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে। সব চেয়ে কম দামি মোবাইলেও এই অ্যাপসগুলি কাজ করে। এবং এগুলি ভয়েস-এনাবেলড। ফলে কেউ লেখাপড়া না জানলেও শুধু মাত্র স্বরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিতে পারবেন। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ক্ষেত্রে বিকাশপিডিয়া থেকে এ ধরনের অ্যাপস দেওয়া যেতে পারে। তাকে কবে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে, কবে ফলিক অ্যাসিড বা আয়রন খেতে হবে তা ভয়েস মেলের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ঝুম্পা বলেন, বিকাশপিডিয়ার মাধ্যমে একটি ক্লোজ গ্রুপ বা সংহত গোষ্ঠী তৈরি করা যেতে পারে। যাঁরা নিবন্ধীকৃত হয়ে পরস্পরের সঙ্গে নিয়মিত মত বিনিময় করবেন।
কল্লোল চক্রবর্তী বলেন, বিকাশপিডিয়াকে বাস্তবের একটা ছবি বা চেহারা হিসাবে তুলে ধরার জন্য ফোরাম গঠনের খুবই প্রয়োজন। যেমন শিক্ষার অধিকার আন্দোলন করতে গিয়ে কে কোথায় বাধা পাচ্ছে, কার কী অভিজ্ঞতা হচ্ছে তা সবার জানা প্রয়োজন।
আমিনা খাতুন বলেন, কাজ করতে গিয়ে সামাজিক রাজনৈতিক বাধা সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। কী ভাবে সেই বাধা পার হব সে সম্পর্কে দিশা দেখানোর জন্য সব মহলের পরামর্শ আপ লোড করে দিলে অনেকে উপকৃত হবে।
হাসানুজ্জামান বলেন, অনেকেই জানেন না জৈব খামার তৈরির ব্যাপারে সরকারের বক্তব্যের সঙ্গে কৃষকদের বাস্তব অভিজ্ঞতার অনেকটা ফারাক আছে। বিকাশপিডিয়া এই ব্যাপারগুলি তুলে ধরার ব্যাপারে জোর দিক।
সাবির আহমেদ বলেন, গ্রামে গঞ্জে লিঙ্গভেদে ডিজিটাল ডিভাইড হয়ে গিয়েছে। মেয়েরা বিকেলে কম্পিউটার সেন্টারে গেলে ছেলেদের টিটকারির সম্মুখীন হয়। অথচ এই সমস্যা সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন।
সৌম্যব্রত দাস বলেন, এখন তো সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বলে দিয়েছে, আইনি অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্যারা লিগাল ভলেন্টিয়ার তৈরি করতে হবে। সেই লক্ষ্যেও বিকাশপিডিয়াকে দিয়ে কাজ করানো যেতে পারে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/22/2020