তফশিলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য কমজোরি অংশকে রক্ষা করা এবং তাদের জন্য রক্ষাকবচের বিধান দিয়েছে ভারতীয় সংবিধান, হয় বিশেষ ভাবে আর না হয় নাগরিক হিসাবে তাদের সাধারণ অধিকারগুলি প্রয়োগের মাধ্যমে, যাতে শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তারা এগিয়ে যেতে পারে এবং সামাজিক বৈষম্য দূর হয়। এই সামাজিক গোষ্ঠীগুলির জন্য তফশিলি জাতি ও উপজাতি জাতীয় কমিশনের (ন্যাশনাল কমিশন ফর এসসিস অ্যান্ড এসটিস) মতো বিধিবদ্ধ সংস্থা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে অঙ্গিকারবদ্ধ। তফশিলি জাতির স্বার্থ দেখভাল করার মূল মন্ত্রক হল সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক। এই মন্ত্রকই তফশিলি জাতি উপ-যোজনা (এসসিএসপি) কার্যকর করে। তফশিলি জাতির উপকারের জন্য উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে যে আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয় তার রূপায়ণ সুনিশ্চিত করাই এই উপ-যোজনার লক্ষ্য।
কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকই হল তফশিলি জাতির স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টি দেখভাল করার নোডাল মন্ত্রক। যদিও তফশিলি জাতির উন্নয়নের প্রাথমিক দায়িত্ব সামগ্রিক ভাবে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও রাজ্য সরকারগুলির উপর বর্তায়, তবু গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে তৈরি সুনির্দিষ্ট প্রকল্পগুলি রূপায়ণের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে এই মন্ত্রক সম্পূরক হিসাবে কাজ করে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি তফশিলি জাতির সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য যে সব উদ্যোগ নেয় তাতে নজরদারি করার দায়িত্বও এই মন্ত্রকের।
কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকই হল তফশিলি জাতির স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টি দেখভাল করার নোডাল মন্ত্রক। যদিও তফশিলি জাতির উন্নয়নের প্রাথমিক দায়িত্ব সামগ্রিক ভাবে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও রাজ্য সরকারগুলির উপর বর্তায়, তবু গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে তৈরি সুনির্দিষ্ট প্রকল্পগুলি রূপায়ণের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে এই মন্ত্রক সম্পূরক হিসাবে কাজ করে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি তফশিলি জাতির সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য যে সব উদ্যোগ নেয় তাতে নজরদারি করার দায়িত্বও এই মন্ত্রকের।
শিডিউলড কাস্ট ডেভেলপমেন্ট ব্যুরোর অধীনে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক তফশিলি জাতি উপ-যোজনা (এসসিএসপি) কার্যকর করে। তফশিলি জাতির উপকারের জন্য উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে যে আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয় তার রূপায়ণ সুনিশ্চিত করাই এই উপ-যোজনার লক্ষ্য। এই পরিকল্পনা অনুসারে রাজ্য সরকার ও বিভিন্ন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে তাদের বার্ষিক পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে অর্থের সংস্থান করে স্পেশাল কমপোনেন্ট প্ল্যান (এসসিপি) প্রণয়ন ও রূপায়ণ করতে হয় । এ পর্যন্ত তফশিলি জাতির ভালোরকম বসবাস রয়েছে এমন ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তফশিলি জাতি উপ-যোজনা রূপায়ণ করছে। এ ছাড়া স্পেশাল কমপোনেন্ট প্ল্যানে বিশেষ সহায়তারও ব্যবস্থা করা হয়। এই সহায়তার পুরোটাই কেন্দ্রীয় বরাদ্দ। রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে একটি পয়সাও দিতে হয় না। রাজ্যে তফশিলি জাতির জনসংখ্যা, উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তুলনামূলক পশ্চাৎপদতা, দারিদ্র্যসীমার উপরে নিয়ে আসার জন্য রাজ্য পরিকল্পনার অর্থ বরাদ্দ অনুসারে কতগুলি তফশিলি জাতি পরিবারের উপকার করা সম্ভব হয়েছে, রাজ্যের পরিকল্পনায় এসসিপির জন্য কত অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে এবং তফশিলি জাতি জনসংখ্যার শতাংশ অনুযায়ী বরাদ্দের তুলনামূলক অবস্থান কী তা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সরকার একশো শতাংশ বিশেষ অনুদান দিয়ে থাকে।
দারিদ্র্যসীমার দ্বিগুণ নীচে বসবাসকারী তফশিলি জাতির মানুষজনের (শহরের ক্ষেত্রে যাদের বার্ষিক রোজগার ১ লক্ষ ৩ হাজার টাকা ও গ্রামের ক্ষেত্রে ৮১ হাজার টাকা) রোজগারের ব্যবস্থা করতে মন্ত্রকের অধীনে গঠিত জাতীয় তফশিলি জাতি অর্থ ও উন্নয়ন নিগম (এনএসএফডিসি) আর্থিক ঋণ দিচ্ছে। মন্ত্রকের আওতায় সাফাই কর্মচারী, ময়লা বহনকারী ও তাদের পরিবারগুলির জন্য আরও একটি সংস্থা গঠন করা হয়েছে — জাতীয় সাফাই কর্মচারী অর্থ ও উন্নয়ন নিগম (এনএসকেএফডিসি)। রাজ্যের যে সব এজেন্সি উন্নয়নের কাজ করে তাদের মাধ্যমে এই ধরনের মানুষজনের রোজগারের ব্যবস্থা করে দিয়ে তাদের সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানোই এর লক্ষ্য।
সূত্র: সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক
সংশ্লিষ্ট সংযোগ: Scheduled Caste Welfare - Frequently Asked Questions
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020