রাজ্য সৈনিক বোর্ড নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের অধীনস্থ একটি কল্যাণমূলক সংস্থা। এর কাজ হল রাজ্যের প্রাক্তন সৈনিকদের কল্যাণের লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেওয়া, তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। এই বোর্ড কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আওতাধীন এক্স সার্ভিসম্যান ওয়েলফেয়ার বিভাগের সঙ্গে যংয়োগ রেখে কাজ করে থাকে।
এই সংস্থাটির বোর্ডে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার মনোনীত প্রাক্তন প্রতিরক্ষা অফিসাররা থাকেন। এর কাজ হল প্রাক্তন প্রতিরক্ষা কর্মীদের কল্যাণের লক্ষ্যে এবং তাঁদের পরিবারের উপকারের জন্য বিভিন্ন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি সচারুভাবে রূপায়ণের ব্যবস্থা করা। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি প্রকল্প ছাড়াও নিম্নলিখিত প্রকল্পগুলি রূপায়ণের দায়িত্বও রাজ্য সৈনিক বোর্ডকে ন্যস্ত করা হয়েছে।
এই তহবিলের জন্য গঠিত কমিটির মাথায় আছেন রাজ্যের রাজ্যপাল। এই তহবিল থেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সাহায্য, পুস্তক প্রদান, নির্ভরশীল কন্যার বিবাহে টাকা প্রদান, সৈনিক শিশু কল্যাণ সদনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ প্রদান করা হয়। সৈনিক শিশু কল্যাণ সদনগুলিতে মূলত সৈনিকদের অনাথ সন্তানদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়। বিভিন্ন সৈনিক রেস্ট হাউসগুলির রক্ষণাবেক্ষণের টাকাও এই তহবিল থেকে আসে।
এই তহবিলের টাকা জোগাড় হয় মূলত সৈন্যবাহিনীর ফ্ল্যাগ ডে থেকে। তা ছাড়া ব্যক্তি ও বিভিন্ন সংস্থার দেওয়া চাঁদাও সংগ্রহ করা হয়। এখান থেকে সব চেয়ে গরিব প্রাক্তন সৈনিকদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়ে থাকে। তাঁদের উপর নির্ভরশীলরাও এই তহবিলের সহায়তা লাভ করেন। এই কাজে সরকারি কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সাহায্যও নেওয়া হয়ে থাকে। এই নিয়ে ব্যাপক প্রচারও করা হয়। স্কাউট বাহিনী, এনসিসির সদস্যরা ফ্ল্যাগ ডে উপলক্ষে আয়োজিত সংগ্রহ অভিযানে অংশ নিয়ে থাকে।
২০১৩ সালের ৭ এপ্রিল ব্যারাকপুর হেড কোয়ার্টার মোড়ে আর্মি র্যালির আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে ১০ হাজারেরও বেশি প্রাক্তন সৈনিক ও তাদের পরিবার অংশগ্রহণ করেছিলেন। তৎকালীন চিফ অফ দি আর্মি স্টাফ জেনারেল বি কে সিং প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে হুইল চেয়ার, প্রতিবন্ধীদের উপযোগী উন্নত ধরনের চেয়ার প্রদান করা হয়। প্রকৃতই যাঁদের সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে তাঁদের মধ্যে এই সব সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
কলকাতার সৈনিক বোর্ডের দফতর এবং জেলা সৈনিক বোর্ডগুলিতে ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়েছে। যাতে তাঁরা যে কোনও বিষয়ে দ্রুত সংযোগ স্থাপন করতে পারেন সেই লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন সৈনিক ও তাঁদের উপর নির্ভরশীল প্রায় ৮০ হাজার মানুষ সৈনিক বোর্ডের বিভিন্ন জেলা দফতরে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। সৈনিক বোর্ডের মূল অফিস তো বটেই, এমনকী জেলা দফতরগুলিও ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা দ্বারা সংযুক্ত হওয়ার ফলে যে কেউ এই তালিকা দেখে নিতে পারেন। এর ফলে দ্রুত চাকরি দেওয়ার সমস্যার কিছুটা সমাধান হয়েছে। নিয়োগকর্তারা অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে নাম চেয়ে পাঠান। ১০-১২ হাজার নাম ঘেঁটে দ্রুত নাম পাঠানোর ব্যাপারটি এত দিন পর্যন্ত বেশ কষ্টকর ছিল। এই প্রথা বদলাতে সমস্ত নথিভুক্ত প্রাক্তন সৈনিক বা তাঁদের উপর নির্ভরশীলদের নামের তালিকা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করার ভার ওয়েবেলকে দেওয়া হয়। আশা করা যায়, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ৮০ হাজার ব্যক্তি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষিত রাখার কাজ সম্পন্ন করা যাবে। এর ফলে অত্যন্ত দ্রুত প্রাক্তন সৈনিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব। এতে সামাজিক দায়ভারের প্রশ্নে রাষ্ট্র অনেক কৃতিত্বের পরিচয় রাখতে পারবে।
বর্ধমানের জেলা সৈনিক বোর্ড যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের বিধবা স্ত্রী ও প্রয়াত সৈনিকদের বিধবা স্ত্রীদের ও তাঁদের উপর নির্ভরশীলদের জন্য জন্য একটি টেলারিং প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। এই পাঠক্রমে রয়েছে সেলাই করা এবং বুননের প্রশিক্ষণ। গত আর্থিক বছরে চার জনকে সফল ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয়েছে এবং তাঁরা এখন সফল ভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে সক্ষম হয়েছেন। রাজ্যের সেরা সংস্থাগুলিকে দিয়ে তাঁদের পেশাদার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে হয়ে থাকে।
ডাইরেক্টর জেনারেল অফ রিসেটেলমেন্ট প্রাক্তন সৈনিক/তাঁদের বিধবা স্ত্রীদের বা তাঁদের উপর নির্ভরশীলদের পেশাদারি প্রশিক্ষণের জন্য তহবিল প্রদান করে থাকেন। জেলা অফিসে তাঁদের ডেকে পাঠিয়ে কোথায় বা কোন বিষয়ে আগ্রহ তা জিজ্ঞাসা করা হয়। চাহিদা জানার পর এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
প্রাক্তন সৈনিকদের কল্যাণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে পুনর্নিয়োগের ব্যবস্থা করা একটি প্রধান ব্যাপার। পশিচমবঙ্গ সরকারের প্রথা অনুযায়ী গ্রপ ‘সি’ ও গ্রুপ ‘ডি’-র চাকরির ক্ষেত্রে প্রাক্তন সৈনিকদের জন্য যথাক্রমে ৫ শতাংশ ও ১০ শতাংশ পদ সংরক্ষিত রাখা হয়। বিভিন্ন সরকারি ও সরকার অধিগৃহীত সংস্থায় প্রাক্তন সৈনিকদের কর্মসংস্থানের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে তাঁরা চাকরিও পেয়েছেন। নিম্নে তার বিবরণ দেওয়া হল-
কেন্দ্রীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় অধিগৃহীত সংস্থা |
৬৭ |
---|---|
রাজ্য সরকার ও রাজ্য সরকারের অধিগৃহীত সংস্থা |
১১২৩ |
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক |
৬৩৮ |
বেসরকারি ক্ষেত্র ও অন্যান্য |
৭০৬ |
সোসাইটিজ অ্যাক্ট অনুযায়ী রাজ্যে প্রাক্তন সৈনিক পুনর্বাসন সমিতি (ইআরএস) স্থাপন করা হয়েছে। যার কাজ হল প্রাক্তন সৈনিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এই সংস্থা প্রাক্তন সৈনিকদের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে সমস্ত সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা কর্মী সরবরাহ করে। এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করার সময় পর্যন্ত মোট ১২৫৮ জন ব্যক্তিকে রাজ্য জুড়ে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ও কেন্দ্রীয় সৈনিক বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী প্রাক্তন সৈনিকদের জন্য পশ্চিমবঙ্গে একটি নিগম প্রস্তুত করা হয়েছে। এর ৯৮ সতাংশ শেয়ারই রয়েছে পশিচমবঙ্গ প্রাক্তন সৈনিক চ্যারিটেবল রিলিফ তহবিলের হাতে। এর বোর্ড অফ ডাইরেক্ট স্থির করে রাজ্যের সমাজকল্যাণ দফতর। বোর্ড গঠন এবং এবং কার্যকলাপ পরিচালনা করার জন্য এক জন অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিককে ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। এই সংস্থা কর্তৃক্ত পুঞ্জীভূত মুনাফা প্রাক্তন সৈনিকদের ও তাদের পরিবারের কল্যাণের কাজে ব্যয় করা হবে। কী ভাবে খরচ করা হবে তা স্থির করবে এই নিগমের ডিরেক্টররা। তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে এ সম্পর্কে গাইডলাইন তৈরি করবে এবং সেই মোতাবেক খরচের ব্যবস্থা করবে।
পুনর্বাসনের জন্য স্বনিযুক্তি প্রকল্পকে বেছে নিতে উৎসাহিত করার জন প্রাক্তন সৈনিকদের নিয়ে মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। প্রাক্তন সৈনিকরা যাতে জীবিকার জন্য অপরের উপর নির্ভর না করে নিজেরাই নিজেদের ব্যবস্থা করে নিতে পারেন সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই এই উৎসাহদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার প্রাক্তন সৈনিকদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ সাহায্য প্রদান করে থাকে কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন উৎসাহিত ব্যক্তিকে এগিয়ে এসে এ ধরনের প্রকল্প চালু করতে দেখা যায়নি। কিন্তু এই ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চলছে। এক দিকে যেমন প্রচার কর্মসূচি চলছে অন্য দিকে স্বনিযুক্তির বিষয়টিকে নিশ্চয়তা প্রদান করতে প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রাক্তন সৈনিক এবং তাঁদের বিধবাদের জন্য বেশ কয়েকটি আর্থিক সহায়তা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বৃত্তি : গত আর্থিক বছরে এই বৃত্তি নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সৈনিক বোর্ডের কাছে ৪৮ জনের নাম সুপারিশ করা হয়েছে। এই আবেদনগুলি অনুমোদন পেলে ছাত্র-ছাত্রীরা পেশাদার পাঠক্রমে পড়াশোনা করার জন্য বছরে ১২ হাজার টাকা অনুদান পাবে।
প্রাক্তন সেনাবাহিনীর কর্মীদের জন্য এক্স-গ্রাসিয়া মঞ্জুরি : সরকার পেনশনভোগী প্রাক্তন সেনাকর্মীদের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে কয়েক জনকে এই বৃত্তি প্রদান করেয়। ২০১২ সালে এ ধরনের ১৬ জনকে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
সাহসী কীর্তি/উল্লেখযোগ্য কীর্তি স্থাপনের জন্য নগদ পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা : এ ব্যাপারে গত আর্থিক বছরে মোট ১৩টি আবেদন পাওয়া গিয়েছে এবং সেগুলি নিয়ে বিচারবিবেচনা চলছে। মূলত, সাহসিকতার জন্যই এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। শুধুমাত্র সেনাবহিনীতে থাকার সময়ই নয়, তার পর সামাজিক জীবন যাপন করার সময়ও তাঁরা যে সব অনন্য সাহসিকতার পরিচয় রেখেছেন সে কথা বিবেচনা করে এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে।
৭১ জন প্রাক্তন সৈনিক/তাঁদের বিধবা স্ত্রীদের এই অনুদান দেওয়া হয়েছে।
প্রাক্তন সৈনিক/তাঁদের বিধবা স্ত্রীদের কন্যার বিবাহের জন্য মোট ২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। গত বছর এই অনুদানের টাকা পেয়েছেন ২৭ জন।
মেদিনীপুর জেলা সৈনিক বোর্ড প্রয়াত সৈনিকদের অনাথ শিশুদের জন্য এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান চালায়। এখানে আবাসিক সুবিধা পেয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়শোনা করতে পারে। এই সব ছাত্রছাত্রী নিখরচায় থাকা, খাওয়া ও পড়াশোনা চালাতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এদের পড়াশোনার উন্নতির জন্য গত বছর দু’জন প্রাইভেট টিউটরও নিয়োগ করা হয়েছিল। এতে তাদের পরীক্ষার ফলাফলের বেশ কিছুটা উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
ভ্রাম্যমান ক্যান্টিনের সুযোগ : প্রাক্তন সৈনিকদের ভ্রাম্যমান ক্যান্টিনের সুযোগও প্রদান করা হয়। বিশেষ করে নন-মিলিটারি স্টেশন এলাকায় এ ধরনের ক্যান্টিনের সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। অন্যত্র এই সুবিধা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আজ পর্যন্ত এখানে আটটি এই ধরনের বিশ্রাম গৃহ রয়েছে।
দেশের এ ধরনের সমস্ত রেস্ট হাউসের মধ্যে বাগডোগরার রেস্ট হাউসটি সব চেয়ে ভালো বলে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে।
বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কর্মরত সেনার বা প্রাক্তন সেনার সন্তানদের জন্য ১২টি আসন সংরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা দফতরকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে অন্যান্য পেশাদারি শিক্ষা প্রদানের কলেজগুলিতেও যাতে এ ধরনের সংরক্ষণ চালু করা সম্ভব হয়। এর লক্ষ্য হল ছা্ত্র-ছাত্রীদের পেশাদারি শিক্ষায় শিক্ষিত করে যাতে জীবিকা খুঁজে পেতে সাহায্য করা। এই কারণে বিশেষ পেশাদার পাঠক্রমে প্রশিক্ষিত করারও ব্যবস্থা করা হয়।
প্রতি বছর ৭ ডিসেম্বর অসম সাহসী সৈনিকদের, প্রয়াত বীর সৈনিকদের সম্মানার্থে সশস্ত্র বাহিনী ফ্ল্যাগ ডে পালন করা হয়।
এই দিন যে চাঁদা সংগ্রহ করা হয় তা অভাবী প্রাক্তন সৈনিকদের এবং তাঁদের উপর নির্ভরশীলদের কল্যাণের জন্য খরচ করা হয়।
ওয়েস্টবেঙ্গল এক্স সার্ভিসম্যান চ্যারিটেবল রিলিফ ফান্ড/ডিস্ট্রিক্ট চ্যারিটেবল এক্স সার্ভিসম্যান রিলিফ ফান্ডের মাধ্যমেই সাহায্যকল্পে অর্থ ব্যয় করা হয়। সংগৃহীত চাঁদার একটি অংশ আবার কেসিবিকে দেওয়া হয় বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে যথাযথ সাহায্য করার জন্য।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত ৪৯-তম বেঙ্গল রেজিমেন্টের নিহত সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছর ৮ নভেম্বর কলেজ স্কোয়ারে রাজ্য ও কলকাতা জেলা সৈনিক বোর্ডের উদ্যোগে একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া ২০১৩ সালের ৭ এপ্রিল ব্যারাকপুর হেড কোয়ার্টার মোড়ে আর্মি র্যালির আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে ১০ হাজারেরও বেশি প্রাক্তন সৈনিক ও তাদের পরিবার অংশগ্রহণ করেছিলেন। তৎকালীন চিফ অফ দি আর্মি স্টাফ জেনারেল বি কে সিং প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে হুইল চেয়ার, উন্নত ধরনের প্রতিবন্ধীদের উপযোগী চেয়ার প্রদান করা হয়। প্রকৃতই যাঁদের সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে তাঁদের মধ্যে এই সব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ডাইরেক্টর জেনারেল অফ রিসেটলমেন্ট প্রাক্তন সৈনিক/তাঁদের বিধবা স্ত্রীদের বা তাঁদের উপর নির্ভরশীলদের পেশাদারি প্রশিক্ষণের জন্য তহবিল প্রদান করে থাকেন। জেলা অফিসে তাঁদের ডেকে পাঠিয়ে কোথায় বা কোন বিষয়ে আগ্রহ তা জিজ্ঞাসা করা হয়। চাহিদা জানার পর এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
যে সব সেনাকর্মী দেশের স্বার্থে যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন তাঁদের স্মরণে নানা সময় এনসিসিও নানা কার্যক্রমের আয়োজন করে। এর ফলে সৈনিকদের সম্পর্কে জনসচেতনতাও তৈরি হয়।
জেলা সৈনিক বোর্ডগুলি কাজ খুঁজে দেওয়ার ক্ষেত্রে যেহেতু খুবই গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাই প্রাক্তন সৈনিকদের উচিত এই বোর্ডগুলির সঙ্গে নিয়মিত সম্পর্ক রেখে চলা। জেলা বোর্চের সঙ্গে যোগাযোগে কোনও কারণে অপারগ হলে কেন্দ্রীয় বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
ক্রমিক |
জেলা সৈনিক বোর্ডের অফিস |
জেলা |
সচিব |
জেলা বোর্ডের টেলিফোন নম্বর ও ইমেল |
ফ্যাক্স |
১ |
জেলা সৈনিক বোর্ড বর্ধমান, সৈনিক ভবন, |
বর্ধমান, বীরভূম |
— |
০৩৪২-২৬৪৪৭৮২ |
০৩৪২-২৬২৫৭০৩ |
২ |
দ্য সেক্রেটারি জেলা সৈনিক বোর্ড, কলকাতা, সৈনিক ভবন ১/৪ এজেসি বোস রোড কলকাতা-২০ |
কলকাতা |
— |
০৩৩-২২২৩৩৮৯৩ |
|
৩ |
জেলা সৈনিক বোর্ড, দক্ষিণ দিনাজপুর, রঘুনাথপুর, পোস্ট - বেলতলা পার্ক, দক্ষিণ দিনাজপুর-৭৩৩১০৩ |
দক্ষিণ দিনাজপুর উত্তর দিনাজপুর |
— |
০৩৫২২-২৫৮১৭৫ |
০৩৫২২-২৫৫৪৮৮ |
৪ |
জেলা সৈনিক বোর্ড দার্জিলিঙ, সৈনিক ভবন, কাছেরি কম্পাউন্ড, পোস্ট অফিস এবং জেলা-দার্জিলিং-৭৩৪১০১ |
দার্জিলিং |
— |
০৩৫৪-২২৫৪০৫৬ |
০৩৫৪-২৫৪৩৩৮ |
৫ |
জেলা সৈনিক বোর্ড হাওড়া, নিউ ট্রেজারি বিল্ডিং, টপ ফ্লোর, হাওড়া কালেক্টরেট, পোস্ট ও জেলা-হাওড়া-৭১১১০১ |
হাওড়া হুগলি |
— |
০৩৩-২৬৪১৪৬৯৪ |
০৩৩-২৬০০৩৩৬৭ |
৬ |
জেলা সৈনিক বোর্ড জলপাইগুড়ি, কালেক্টরেট কমপ্লেক্স পোস্ট ও জেলা-জলপাইগুড়ি-৭৩৫১০১ |
জলপাইগুড়ি কোচবিহার |
— |
০৩৫৬১-২৩০৮৪৮ |
০৩৫৬১-২২৪৮১১ |
৭ |
জেলা সৈনিক বোর্ড কৃষ্ণনগর, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং, পোস্ট –কৃষ্ণনগর, নদিয়া-৭৪১১০১ |
নদিয়া |
- |
০৩৪৭২-২৫২২৮৭ |
০৩৪৭২২২৫৩০৩০ |
৮ |
জেলা সৈনিক বোর্ড মেদিনীপুর, সৈনিক ভবন, রবীন্দ্র নগর, পোস্ট- মেদিনীপুর, জেলা - মেদিনীপুর (প)-৭২১১০১ |
মেদিনীপুর পূর্ব ও পশ্চিম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া |
— |
০৩২২২-২৭৫৮৭৪ |
০৩২২২-২৭৫৪২৭ |
৯ |
জেলা সৈনিক বোর্ড ,উত্তর ২৪ পরগনা, মাইনরিটি অ্যাফেয়ার্স কমপ্লেক্স, বনমালিপুর, পোস্ট-বারাসত-৭৪৩২০১ |
উত্তর ২৪ পরগনা |
— |
০৩৩-২৫৬২৮৫৩৮ |
০৩৩-২৫৫২৩৫৩৫ |
১০ |
জেলা সৈনিক বোর্ড দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নিউ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং ওয়েস্ট লবি, (তৃতীয় তল) আলিপুর-৭০০০২৭ |
দক্ষিণ ২৪ পরগনা |
— |
০৩৩-২৪৭৯০৫৪২ |
০৩৩-২৪৭৯৩৪৫৬ |
১১ |
জেলা সৈনিক বোর্ড মুর্শিদাবাদ, ৭/এ ব্যারাক স্কোয়ার, পোস্ট -বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ |
মুর্শিদাবাদ |
— |
০৩৪৮২-২৭৭৪৫৯ |
|
১২ |
জেলা সৈনিক বোর্ড মালদা |
মালদা |
— |
০৩৫১২-২২৩৫৪৬ |
|
সূত্র : রাজ্য সৈনিক বোর্ড, নারী ও সমাজকল্যাণ দফতরের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৩-১৪, পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020